এই কয়টি খাবার ফুরিয়ে যাওয়ার আগেই এনে ফেলুন, না হলে হতে পারে অমঙ্গল
বাস্তু মতে, বাড়িতে নেতিবাচক এনার্জি বেশি তৈরি হলে, তার জন্য আর্থিক অভাব দেখা দিতে পারে। দেখা দিতে পারে শারীরিক জটিলতা। আবার ইতিবাচক এনার্জি বেশি থাকলে একদিকে যেমন আর্থিক উন্নতি ঘটে তেমনই ঘটে কর্মে উন্নতি। বাস্তু শাস্ত্র অনুসারে, বাস্তুদোষের প্রথম কারণ হলে ঘরের দিক দর্শন। যে কারণে, আজকাল অনেকেই বাড়ি তৈরি করার আগে বাস্তু মত জেনে নিচ্ছেন। বাস্তু মতে, বাড়িতে শোওয়ার ঘর ও রান্নাঘর কিংবা বাথরুম সঠিক দিকে না হলে এর থেকে নেতিবাচক এনার্জি তৈর হয়। যা আমাদের জীবনে খারাপ প্রভাব ফেলে। তেমনই নানা কারণে তৈরি হতে পারে বাস্তুদোষ। আমরা প্রতিদিন এমন কিছু ভুল কাজ করে থাকি, যার জন্য তৈরি হতে পারে বাস্তুদোষ।
- FB
- TW
- Linkdin
শাস্ত্র মতে বাড়িতে দোষ থাকলে তার প্রভাব পড়ে প্রতিটি ব্যক্তির জীবন। তাই সঠিক নিয়ম মেনে ঘর সাজান। এমনকী, আপনার যে আচরণ থেকে অশুভ শক্তি তৈরি হতে পারে, সে আচরণের পরিবর্তন করুন। তবে, আচরণ পরিবর্তন সহজ হলেও হুট করে ঘরের দিক পরিবর্তন করা সহজ নয়। তবে, শাস্ত্রে রয়েছে এর প্রতিকার।
বাস্তু শাস্ত্রে রয়েছে সব সমস্যা সমাধানের পথ। শাস্ত্রে একাধিক টোটকার হদিশ আছে। যা মেনে চললে সব সমস্যা সমাধান করা সম্ভব। তাই যদি অনুভব করেন আপনার বাড়িতে কোনও বাস্তুদোষ আছে, তাহলে তার থেকে মুক্তির পথ খুঁজতে পারেন। আর সেই টোটকা মেনে চললে উপকার পাবেন।
আজ টোটকা রইল রান্না ঘর নিয়ে। বাড়ির একটি গুরুত্বপূর্ণ স্থান হল রান্না ঘর। এই স্থানে দেবী অন্নপূর্ণা বিরাজ করেন। তাই রান্নাঘরের সজ্জা সঠিক না হলে হতে পারে বিপদ। রান্না ঘরে বাস্তুদোষ থাকলে তা প্রতিটি স্বাস্থ্যের ওপর প্রভাব পড়বে। তাই এবার থেকে রান্নাঘর সজ্জার ক্ষেত্রে বিশেষ গুরুত্ব দিন। কোথায় কী রাখছেন তা খেয়াল রাখুন।
শুধু সঠিক দিশায় গ্যাস কিংবা চালের কৌটো রাখলেই হল না। রান্নাঘর বাস্তু মুক্ত করতে খেয়াল রাখতে হবে আরও কয়টি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে। রান্না ঘরে থাকা খাবার নিয়েও রয়েছে বিশেষজ্ঞদের মতামত। কয়েকটি খাবারের উল্লেখ আছে শাস্ত্রে। যা পুরোপুরি শেষ হতে দেবেন না। এই কয়টি খাবার ফুরিয়ে যাওয়ার আগেই আনিয়ে নিন। তা না হলে হতে পারে অমঙ্গল।
হলুদের কৌটোর দিকে সব সময় খেয়াল রাখুন। হলুদ শেষ হতে দেবেন না। হলুদ শেষ হওয়ার আগেই আনিয়ে নিন। শাস্ত্র হলুদকে শুভ হিসেবে বিবেচনা করা হয়। তা ঘরে থাকার অর্থ সংসারে শুভ প্রভাব পড়বে। আর হলুদ শেষ হওয়ার অর্থ আপনার পরিবারে অমঙ্গল হতে পারে। এর ফলে কোষ্ঠীতে বৃহস্পতির দোষ দেখা দিতে পারে।
খেয়াল রাখবেন নুনের কৌটো যেন কখনওই ফাঁকা না হয়। নুন শেষ হয়ে গেলে হতে পারে বাস্তুদোষ। নুন দিয়ে একাধিক টোটকা পালন করা হয়। শাস্ত্র মতে, নুন শুভ উপকরণ। ঘরের দোষ কাটাতে নুন জল দিয়ে ঘর মুছতে পারেন। অথবা একটি পাত্রে নুন নিয়ে ঘরের এক কোণায় রেখে দিন। এতে দূর হবে সকল নেতিবাচক শক্তি।
চালকে দেবী অন্নপূর্ণা মনে করা হয়। তাই চাল শেষ হওয়ার অর্থ অন্নাভাব। ভুলেও চাল শেষ হতে দেবেন না। কৌটো ফাঁকা হওয়ার আগেই কিনে আনুন। তা না হলে হতে পারে বাস্তুদোষ। চালের অভাব হলে সংসারে অমঙ্গল দেখা দেবে। এবার থেকে মেনে চলুন এই টোটকা। তা না হলে সংসারে অমঙ্গল ঘটতে পারে।
আটাও শেষ হতে দেবেন না। এতে মান সম্মানে খারাপ প্রভাব পড়বে। রান্না ঘরের উপকারী উপাদানের মধ্যে আটা অন্যতম। তাই আটা শেষ হওয়া অশুভ মনে কারা হয়। এবার থেকে মেনে চলুন এই টোটকা। তা না হলে সংসারে দেখা দিতে পারে অমঙ্গল। শাস্ত্রে উল্লেখ রয়েছে, এমন টোটকা।
রান্নাঘর সজ্জায় মনে রাখুন কয়টি জিনিস। রান্না ঘরে বেসিন আর গ্যাসের ওভেন ভুলেও পাশাপাশি রাখবেন না। এতে বাস্তু দোষ দেখা দিতে পার। বাস্তু, মতে, গৃহিনীদের সব সময় পূর্ব দিকে মুখ করে রান্না করা উচিত। এতে সকলের স্বাস্থ্য ভালো থাকে। দাম্পত্য কলহ, আর্থিক ক্ষতি থেকে স্বাস্থ্য হানির মতো সমস্যা দেখা দিতে পারে।
রান্না ঘরের কল দিয়ে অনেক সময় টপ টপ শব্দে জল পড়ে। সে বিষয় খেয়াল রাখুন। টপ টপ শব্দে জল পড়া মোটেও শুভ নয়। এতে সংসারে অমঙ্গল দেখা দিতে পারে। সঙ্গে বাড়িতে কোনও চাকরি প্রার্থী থাকলে তার উন্নতিতে ব্যঘাত ঘটতে পারে। এবার থেকে মেনে চলুন এই বিশেষ জিনিস। না হলে হতে পারে সমস্যা।