ঐতিহ্যময় ও শক্তিশালী স্বস্তিক চিহ্ন, জেনে নিন এর ১২০০০ বছরের প্রাচীন ইতিহাস
হিন্দুধর্মের আদিতম ধর্মগ্রন্থ চার বেদ – ঋক্, সাম, যজুঃ ও অথর্ব। এগুলির মধ্যে ঋগ্বেদ প্রাচীনতম। ১৫০০ থেকে ৮০০ খ্রিষ্টপূর্বাব্দের মধ্যবর্তী সময়ে এই গ্রন্থগুলি রচিত হয়। পল্লব ও গুপ্তযুগ পর্যন্ত এগুলি গুরুশিষ্য পরম্পরায় মৌখিক প্রথার মাধ্যমে প্রচলিত ছিল। এর পর থেকে মৌখিক প্রথার সঙ্গে সঙ্গে লিপিবদ্ধ করার প্রথাও চালু হয়। সেই গ্রন্থতেও উল্লেখ ছিল এই চিহ্নের।
- FB
- TW
- Linkdin
স্বস্তিক একটি সংস্কৃত শব্দ। সাধারণ অর্থে কল্যাণ বা মঙ্গল বোঝায়। এর নির্দিষ্ট কোন অর্থ নেই। ‘স্বস্তিকা’ শব্দটি একটি সংস্কৃত শব্দ ‘স্বস্তিকা’ যার অর্থ ‘সুস্থ হওয়া’, ‘শুভ অস্তিত্ব’ এবং ‘শুভকামনা’। তবে এটি বিভিন্ন দেশে বিভিন্ন নামে পরিচিত - যেমন চিনে ‘ওয়ান’, জাপানে ‘মনজি’, ইংল্যান্ডে ‘ফাইলফোট’, জার্মানিতে ‘হাকেনক্রয়েজ’ এবং গ্রিসে ‘টেট্র্যাস্কিলিয়ন’ বা ‘তেত্রাগামাদিয়ন’।
যেহেতু সূর্য নিজেই সৌভাগ্য, সৃষ্টি এবং জীবনের প্রতীক, তাই সূর্য দেবতার সঙ্গে স্বস্তিকার একধরনের সম্পর্ক টানতে চেয়েছেন অনেকেই। তবে সকল দিক এবং মত অনুসারেই স্বস্তিক শুভের চিহ্ন। জ্যোতিষীদের মতে, যাত্রা শুরু করার আগে বা কোনও শুভ কাজে যাওয়ার আগে এই চিহ্ন দেখে বেরনো খুব শুভ।
হাজার বছর ধরে হিন্দু, বৌদ্ধ এবং জৈন ধর্মের অনুসারীদের কাছে গুরুত্বপূর্ণ স্থান দখল করে রেখেছে প্রতীকটি। সংস্কৃত শব্দ স্বস্তিকা। সাধারণ অর্থে কল্যাণ বা মঙ্গল। হাজার বছর ধরে হিন্দু, বৌদ্ধ এবং জৈন ধর্মের অনুসারীদের কাছে গুরুত্বপূর্ণ স্থান দখল করে রেখেছে প্রতীকটি।
যে কোনও মঙ্গল অনুষ্ঠানে, মন্দিরে এমনকি হিটলারের পতাকাতেও এই চিহ্ন ব্যবহার করা হয়েছিল। গবেষকদের মতে এই চিহ্ন প্রাক আর্য যুগের।
১১ হাজার বছরেরও বেশি পুরনো এই চিহ্ন। ভারতীয় সংস্কৃতির সুখ, শান্তি ও সমৃদ্ধির প্রতীক এই চিহ্ন। হিন্দু শাস্ত্র মতে, প্রাচীণ এই চিহ্ন দরজায় বা বাড়ির মূল প্রবেশ দ্বারে থাকা শুভ।
সনাতন ধর্ম অনুযায়ী, পরিবারের সুখ, শান্তি ও সমৃদ্ধির প্রতীক এই চিহ্ন। তাই বাড়ির মূল দরজার এই চিহ্ন ব্যবহার করলে পরিবারে সুখ শান্তি বজায় থাকে।
পরিবারের সৌভাগ্য বজায় রাখতে দরজায় একইসঙ্গে ঠাকুরের স্থানেও এই চিহ্ন আঁকার পরামর্শ দেন বাস্তু বিশেষজ্ঞরা।
তবে যেই স্থানে চিহ্ন আঁকবেন, সেই স্থান যেন পরিষ্কার থাকে। যাতায়াতের পথে থেকে উঁচুতেই এই চিহ্ন রাখতে হবে।