জীবনের সমস্ত বাধা ও সঙ্কট দূর করতে আরাধনা করুন বজরঙ্গবলির
হিন্দু পুরাণ মতে হনুমানের জন্ম হয় ভগবান শিবের বরে, হনুমান এর মাতা অঞ্জনা হলেন ভগবান শিবের পরম ভক্ত, স্বয়ং ভগবান শিব অঞ্জনার ভক্তিতে তুষ্ট হয়ে তাকে বীর সন্তানের জননীর বর প্রদান করে ৷ হনুমানকে বিশেষ স্থান দেয়া হয়েছে পূরাণ কাহিনিতে। রামায়ণ বর্ণিত হনুমান পবননন্দন হিসেবে হিন্দুদের নিকট পূজনীয়। রামায়ণের মূল চরিত্র রাম যাকে হিন্দুরা ভগবান বিষ্ণুর অবতার হিসেবে দাবি করে তার অনুগত চরিত্র হিসেবে পাওয়া যায় এই হনুমানকে। তিনি বায়ুদেবতার পুত্র। হিন্দুদের কাছে হনুমান রামভক্ত হিসেবে পরিচিত।
- FB
- TW
- Linkdin
আজ হনুমান জয়ন্তী বিশেষ এই দিনে কয়েকটি নিয়ম মেনে হনুমানজীর আরাধনা করতে পারলেই মলতে পারে আপনার সার্বিক উন্নতি, মিলবে সৌভাগ্য। বজরঙ্গবলি প্রতিটি ভক্তের কামনা ও বাসনা পূরণ করেন।
জীবনের অতি সঙ্কটেও তাঁকে স্মরণ করলে জীবন সুন্দর হয়ে ওঠে। বজরঙ্গবলির পছন্দের খাবার লাড্ডু, কলা, ক্ষীর৷ এছাড়াও মেটে সিঁদুর দিয়ে পুজো করলে তিনি বেশ প্রসন্ন হন৷
জেনে নেওয়া যাক কোন নিয়মে হনুমানজীর পুজো করলে সকল বাধা কাটিয়ে উঠতে পারবেন, সেই নিয়মগুলি সম্বন্ধে জেনে নেওয়া যাক।
এই দিনে যদি উপোস করে হনুমানজী আরাধনা করতে পারেন তবে আপনার জীবনে সৌভাগ্য ফিরে আসবেই।
পুজো করে তবে উপোস ভঙ্গ করতে হবে। জীবনের সমস্ত প্রতিকূলতা কাটিয়ে ওঠার জন্য প্রতি মঙ্গলবার, হনুমানজীর পুজো করুন।
শুদ্ধ মনে, শুদ্ধ বস্ত্রে লাল ফুল অর্পণ করুন হনুমানজীর উদ্দেশ্যে, আপনার জীবনের সমস্ত বাধা কেটে যাবে ধীরে ধীরে। পুজো শেষে হনুমান চল্লিশা পাঠ করুন।
সম্ভব হলে মঙ্গলবার দিনটি নিরামিষ আহার গ্রহণ করুন। হনুমানজীর পুজো করে সেদিন নিরামিষ আহার গ্রহণ করা উচিৎ, তবে এই বিষয়ে কোন বাধ্যবাধকতা নেই।
মঙ্গলবারের জন্য লাল রং অত্যন্ত শুভ বলে মনে করা হয়। তাই এদিনে লাল বস্ত্র পরিধান করুন, সমস্ত বাধা-বিপত্তি কেটে যাবে।