নবরাত্রিরের নয় দিন সেজে উঠুন ভিন্ন রঙের পোশাকে, জেনে নিন কোন দিন কোন রঙ শুভ
শাস্ত্র মতে, নবরাত্রি প্রধানত দুবার পালিত হয়। এক বার চৈত্র মাসে ও অপরটি আশ্বিন মাসে। প্রতি বছর আশ্বিন মাসের শুক্লপক্ষের প্রতিপদ তিথি থেকে শারদীয়া নবরাত্রি শুরু হয় এবং দশমী তিথিতে দেবী দুর্গা প্রতিমা বিসর্জনের মাধ্যমে শেষ হয়। এবছর নবরাত্রি চলবে ২৬ সেপ্টেম্বর থেকে ৫ অক্টোবার। এই শারদীয়া নবরাত্রি শাস্ত্র মতে, একটি গুরুত্বপূর্ণ উৎসব। এই দিন দেবীর নয় শক্তির পুজো হয়ে থাকে। শারদীয়ার নবরাত্রির ১০ তম দিনটি বিজয়াদশমী হিসাবে পালিত হয়। এই নয় দিন দেবীর আশীর্বাদ পেতে পোশাকে নজর দিন। ৯ দিন নয়টি ভিন্ন রঙের পোশাক পরুন। এতে মিলবে দেবীর আশার্বাদ। জেনে নিন কোন দিন কোন রঙের পোশাক পরবেন।
- FB
- TW
- Linkdin
নবরাত্রির প্রথম দিন পরতে পারেন হলুদ। এই দিন দেবী শৈলপুত্রীর পুজো করা হয়। দেবী শৈলপুত্রী পর্বত রাজা হিমাবতের কন্যা। মা শৈলপুত্রী হলুদ রং খুব পছন্দ করেন। এমনই ধারণা প্রচলিত। এই দিন হলুদ পরলে সৌভাগ্য লাভ করতে পারেন। তাই এই দিন বেছে নিন হলুদ রঙের পোশাক। পুজো করার সময় অবশ্যই এই টোটকা মেনে চলুন।
নবরাত্রির দ্বিতীয় দিনে পরতে পারেন সবুজ রঙের পোশাক। দ্বিতীয় দিন মা ব্রক্ষ্মচারিণীর পুজো করা হয়। তিনি সবুজ রঙ পছন্দ করেন। এই দিন সবুজ রঙের পোশাক পরলে ব্যক্তির সকল ইচ্ছে পূরণ হবে। এবার পুজোর সময় এই রঙের পোশাক পরে দেবীর আরাধনা করুন। মিলবে কৃপা।
নবরাত্রিরের এক এক দিন, দেবীর এক এক রূপের পুজো হয়ে থাকে। দেবী চন্দ্রঘন্টা পুজিত হন তৃতীয় দিন। এই দিনে বাদামী রঙের পোশাক পরুন। এই রঙের পোশাক পরলে দেবী প্রসন্ন হন। এই রঙ দেবীর খুবই পছন্দের। সে কারণে, যে যে ভক্তরা বাদামী রঙের পোশাক পরে দেবীর পুজো করেন, তারা দেবীর আশীর্বাদ লাভ করেন।
নবরাত্রিরের চতুর্থ দিন পরতে পারেন কমলা রঙের পোশাক। এদিন মায়ের কুষ্মাণ্ডা রূপের পুজো হয়ে থাকে। এই দিনটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ। শাস্ত্র মতে, এই কমলা রঙ দেবী কুষ্মাণ্ডার খুবই পছন্দের। সে কারণে এই দিন মায়ের পুজো করলে উজ্জ্বলতা, জ্ঞান ও প্রশান্তি বৃদ্ধি পাবে। মেনে চলুন এই বিশেষ টোটকা।
পঞ্চম দিন দেবী স্কন্দমাতার পুজো করা হয়ে থাকে। এই দিনে মায়ের পুজো করার সময় সাদা কাপড় পরিধান করুন। সাদা রঙ খুবই শুভ। মেনে চলুন এই বিশেষ টোটকা। তাই নবরাত্রির পঞ্চম দিনে পুজো করুন সাদা পোশাক পরে। দেবী স্কন্দমাতার পুজো করতে সাদা রঙের পোশাক পরুন।
লাল রঙের পোশাক পরুন ষষ্ঠীর দিন। এই দিন মায়ের কাত্যায়নী রূপের পুজো হয়ে থাকে। লাল বস্ত্র পরুন এই দিন। নবরাত্রিরে ষষ্ঠীর দিন পুজো করতে লাল রঙের পোশাক পরুন। মেনে চলুন এই টোটকা। এই দিন লাল রঙের পোশাকে সেজে উঠুন। এতে মা কাত্যায়নীর কৃপা পাবেন। এই টোটকা বেশ উপকারী।
নবরাত্রির সপ্তম দিনে মা কালরাত্রির পুজো হয়ে থাকে। এই দিন মা কালরাত্রি পুজো করার জন্য ভক্তদের নীল রঙের পোশাক পরার কথা উল্লেখ আছে শাস্ত্রে। হিন্দু শাস্ত্রে, যেমন রয়েছে বিভিন্ন পুজো ও তিথির উল্লেখ। তেমনই উল্লেখ আছে বিভিন্ন টোটকার। এই দিন নীল রঙের পোশাক পরলে মিলবে উপকার।
নবরাত্রিরের অষ্টমীর দিন পরতে পারেন গোলাপী রঙের পোশাক। মা দুর্গার অষ্টম রূপ মহাগৌরীর পুজো করা হয় এই দিন। এই দিনে মাকে খুশি করার জন্য ভক্তদের গোলাপী রঙের পোশাক পরতে পারেন। এতে মা মহাগৌরীর কৃপা পাবেন। এই টোটকা বেশ উপকারী। মিটবে জীবনের সকল জটিলতা।
নবরাত্রিরের নবম দিন দেবী দুর্গার নবম রূপের পুজো হয়। এই দিন সিদ্ধিদাত্রীর পুজো করা হয়। এই দিন বেগুনি রঙের পোশাক পরুন। মিটবে জীবনের সকল জটিলতা। সৌভাগ্য লাভ করতে পারেন। ঘটবে উন্নতি। মেনে চলুন বিশেষ টিপস। এই টোটকা বেশ উপকারী। এই দিন নবম দিন দেবী দুর্গার নবম রূপের পুজো হয়। এই দিন যেমন নিষ্ঠার সঙ্গে পুজো করবেন। তেমনই বেগুনি রঙের পোশাক পরুন।
শাস্ত্র মতে, একটি গুরুত্বপূর্ণ উৎসব। এই দিন দেবীর নয় শক্তির পুজো হয়ে থাকে। ৯ দিন নয়টি ভিন্ন রঙের পোশাক পরুন। এতে মিলবে দেবীর আশার্বাদ। প্রতি বছর আশ্বিন মাসের শুক্লপক্ষের প্রতিপদ তিথি থেকে শারদীয়া নবরাত্রি শুরু হয় এবং দশমী তিথিতে দেবী দুর্গা প্রতিমা বিসর্জনের মাধ্যমে শেষ হয়। এই নয় দিন এই কয়টি রঙের পোশাকে সেজে উঠুন।