শিবলিঙ্গে ভুলেও অর্পণ করবেন না এইগুলি, হতে পারে মারাত্মক সঙ্কট
হিন্দু বর্ষপঞ্জী অনুসারে, মহাশিবরাত্রি প্রতি বছর ফাল্গুন মাসের কৃষ্ণপক্ষের চতুর্দশী তিথিতে পড়ে। সেই তিথি অনুযায়ী আজ দেশজুড়ে পালিত হচ্ছে মহাশিবরাত্রি ব্রত। এই তিথি শিব ভক্তদের জন্য সবচেয়ে বিশেষ দিন। এই তিথিতে দেবাদিদেব মহাদেবে-কে সন্তুষ্ট করতে শিবলিঙ্গে নানা উপাচার অর্পণ করা হয়। তবে এই বিষয়ে অবশ্যই জেনে রাখা উচিত যে, এমন কিছু জিনিস রয়েছে যা শিবলিঙ্গে অর্পণ করা যায় না। এই জিনিসগুলি কি এবং কেন তাদের শিবলিঙ্গে উত্সর্গ করা হয় না, তা জেনে নিন।
- FB
- TW
- Linkdin
তুলসী- হিন্দু ধর্মে তুলসীর বিশেষ তাত্পর্য থাকলেও মহাদেব-কে তুলসী পাতা উত্সর্গ করা নিষিদ্ধ।
তিল- শিবলিঙ্গে তুলসীর মত তিলও দেওয়া নিষিদ্ধ। বিশ্বাস করা হয় যে তিলটি ভগবান বিষ্ণুর ঘাড়ে থেকে উদ্ভূত, তাই এটি শিবকে অর্পণ করা হয় না।
ভাঙা চাল- ভাঙা চালও শিবকে অর্পণ করা হয় না। শাস্ত্র অনুসারে ভাঙা চাল অসম্পূর্ণ ও অপরিষ্কার।
সিঁদুর - শিবকে লাল অথবা হলুদ সিঁদুর অর্পণ করাও অমঙ্গলজনক বলে বিবেচিত হয়।
গোটা নারকেল - শিবলিঙ্গে গোটা নারকেল দেওয়া হয় না। দিলে তা ভেঙ্গে দেওয়া উচিৎ। কারণ নারকেল দেবী লক্ষ্মীর প্রতীক হিসাবে বিবেচিত হয়। দেবী লক্ষ্মী ভগবান বিষ্ণুর সঙ্গে সম্পর্কিত তাই গোটা নারকেল শিবলিঙ্গে অর্পণ করা হয় না।
শঙ্খ- শঙ্খ কখনও শিবের উপাসনায় ব্যবহৃত হয় না। শঙ্খচূর নামে এক রাক্ষস ছিলেন ভগবান বিষ্ণুর ভক্ত, যিনি শিবকে বধ করতে উদ্ধত হয়েছিলেন। শঙ্খচূরের প্রতীক হিসাবে শঙ্খ বিবেচিত হয়। এই কারণেই শিব উপাসনায় শাঁখ ব্যবহার হয় না।
কেতকি ফুল- শিবের উপাসনায় কেতকী ফুল অর্পণ করা নিষিদ্ধ বলে মনে করা হয়। একটি নিঁখুত বেলপাতাতেই তিনি সন্তুষ্ট।