জীবনের সমস্ত পাপ থেকে মুক্তি দেয় এই ব্রত, জেনে নিন এই একাদশী পালনের নিয়ম
পাপমোচনি একাদশীর অর্থ হল সমস্ত পাপ থেকে পরিত্রাণ পেতে যা একজনের জীবনে ঘটে থাকতে পারে। পাপমোচনী একাদশী পাপ থেকে মুক্তি দেয় এমন একাদশী বলে মনে করা হয়। ভক্তরা একাদশীতে উপবাস করে, কিছু নিয়ম মেনে শ্রী বিষ্ণুর পূজা করে।
- FB
- TW
- Linkdin
হিন্দু ধর্মে একাদশীর গুরুত্ব অপরিসীম । একাদশীর উপবাস ভগবান বিষ্ণুর উদ্দেশ্যে উৎসর্গ করা হয়। বছরে ২৪টি একাদশী হয়। একেক একাদশীর নাম ও তাৎপর্য একেক রকম। পাপমোচনী একাদশী ২০২২ চৈত্র মাসের কৃষ্ণপক্ষে পালিত হয় ।
এই দিনে নিয়ম অনুসারে ভগবান বিষ্ণুর পূজা করা হয়। নাম অনুসারে, পাপমোচনি একাদশীর অর্থ হল সমস্ত পাপ থেকে পরিত্রাণ পেতে যা একজনের জীবনে ঘটে থাকতে পারে। পাপমোচনী একাদশী পাপ থেকে মুক্তি দেয় এমন একাদশী বলে মনে করা হয়। ভক্তরা একাদশীতে উপবাস করে, কিছু নিয়ম মেনে শ্রী বিষ্ণুর পূজা করে।
আসুন জেনে নেওয়া যাক পাপমোচনী একাদশী কখন।
পাপমোচনী একাদশী তিথি
পাপমোচনী একাদশী তিথি রবিবার ২৭ মার্চ, ২০২২-এ সন্ধ্যা ৬ টা বেজে ৪ মিনিটে শুরু হবে। চলবে একাদশী তিথি সোমবার ২৮ মার্চ, ২০২২-এ বিকেল ৪ টা বেজে ১৫ মিনিটে শেষ হবে।
উপবাসের সময় মঙ্গলবার ২৯ মার্চ - সোমবার ২৮ মার্চ সকাল ৬ টা বেজে ১৫ মিনিট থেকে রাত ৮ টা বেজে ৪৩ মিনিট পর্যন্ত। এছাড়া দ্বাদশী শেষ হয় পারণ তিথিতে – দুপুর ২ টো বেজে ৩৮ মিনিটে।
একাদশীর দিন ভোরে ঘুম থেকে উঠে স্নান করে বাড়ির মন্দিরে গিয়ে ভগবান নারায়ণের সামনে একাদশীর উপবাস ব্রত করুন। তারপর একটি বেদি তৈরি করুন এবং পূজার আগে তার উপর ৭ প্রকারের শস্য, যেমন ধান, কালো তিল, জোয়ান, চাল, অরহর ডাল, যব রাখুন।
বেদীর উপরে ঘট রাখুন এবং আম বা অশোকের ৫ টি পাতা দিয়ে সাজান। এরপর বেদীতে নারায়ণের ছবি বা শালগ্রাম শিলা স্থাপন করুন। এরপর ভগবানকে হলুদ ফুল, মৌসুমি ফল ও তুলসি অর্পণ করুন। এর পর এই একাদশীর ব্রত কথা শুনুন। ওম নমো ভগবতে বাসুদেবায় মন্ত্র যতবার সম্ভব জপ করুন।
ধূপ ও প্রদীপ দিয়ে নারায়ণের আরতি করুন। ভগবানকে নৈবেদ্য অর্পণ করুন। মনে রাখবেন শুধুমাত্র সাত্ত্বিক জিনিসই ভগবানকে নিবেদন করা হয়। ভোগে তুলসী অবশ্যই অন্তর্ভুক্ত করুন। ভগবান বিষ্ণুর কাছে তুলসী খুবই প্রিয়। ভগবান বিষ্ণুর সঙ্গে দেবী লক্ষ্মীর পূজা করুন।
দুঃস্থকে খাদ্য বা প্রয়োজনীয় জিনিস দান করুন। ব্রত শুরু করার সময় ব্রহ্মচর্য বজায় রাখুন। এইদিনে অ্যালকোহল এবং তামাক সেবন কঠোরভাবে নিষিদ্ধ। পরদিন সকালে আবার ভগবান নারায়ণের পূজা করুন। ব্রাহ্মণকে খাবার খাওয়ান। এর পরে, একটি শুভ সময়ে ব্রত ভঙ্গ করুন।