- Home
- Astrology
- Horoscope
- সূর্যগ্রহণের সময় গর্ভবতী মহিলারা ভুলেও এই কয়টি কাজ করবেন না, হতে পারে মারাত্মক ক্ষতি
সূর্যগ্রহণের সময় গর্ভবতী মহিলারা ভুলেও এই কয়টি কাজ করবেন না, হতে পারে মারাত্মক ক্ষতি
- FB
- TW
- Linkdin
শাস্ত্র মতে, গ্রহণের সময় কালে গর্ভবতী মহিলারা বাড়ির বাইরে বের হবেন না। এতে গর্ভস্থ বাচ্চার ক্ষতি হতে পারে। আসলে, এই সময় সূর্যের বিকিরণের দিকে তাকানো ক্ষতিকর। এই সময় সূর্য থেকে কিছু ক্ষতিকারক রশ্মি বিকশিত হয়। যা শরীরের ক্ষতি করে থাকে। এই রশ্মি গর্ভস্থ বাচ্চার জন্যও ক্ষতিকর।
গ্রহণের সময় ঘুমাবেন না। শাস্ত্র মতে এই সময় ঘুমানো গর্ভবস্থ বাচ্চার জন্য ক্ষতিকর। ঘুমানো সময় আমাদের শরীরের বিভিন্ন কার্যকলাপের পরিবর্তন হয়। এই সময় গর্ভবস্থ বাচ্চার বিকাশ ঘটে। তাই গ্রহণের সময় না ঘুমানোই ভালো। এতে শরীরের ক্ষতি হয়ে থাকে। যার প্রভাব পড়ে গর্ভস্থ বাচ্চার ওপর।
ভুলেও খাদ্য গ্রহণ এমনকী জল পান নয়। শাস্ত্র মতে, এই সময় রান্না করাও উচিত নয়। বৈজ্ঞানিক তথ্য অনুসারে, গ্রহণের সময় সূর্যের রশ্মি পৃথিবীতে প্রবেশ করতে পারে না। এর ফলে তাপমাত্রা হ্রাস পায়। সঙ্গে বায়ুমন্ডলে বিভিন্ন ব্যাকটেরিয়া ও জীবাণুর উপস্থিতি লক্ষ্য করা যায়। সে কারণে, এই সময় রান্না করলে কিংবা খাবার খেলে খাদ্যে সেই সকল ব্যাকটেরিয়া বা জীবাণু থাকতে পারে।
গর্ভবতী মহিলারা সূচ ও ছুরি ব্যবহার করবেন না গ্রহণের সময়। দূরে রাখুন কাঁচির মতো ধারালো জিনিস। শাস্ত্র মতে, এই সময় রক্তক্ষরণ হলে তা বাচ্চার জন্য ক্ষতিকরণ। গর্ভবস্থ বাচ্চার স্বাস্থ্যের কথা মাথায় রেখে গ্রহণের সময় যে কোনও ধারালো জিনিসের থেকে দূরে থাকুন বহু মায়েরা।
গর্ভবতী মহিলার গ্রহণের সময় বিশেষ নিয়ম মেনে চলুন। গ্রহণের প্রভাব পড়ে বিভিন্ন রাশির ওপর। এর প্রভাবে গর্ভস্থ বাচ্চা ও মায়ের ওপর পড়ে। শাস্ত্র মতে, গ্রহণের খারাপ প্রভাবে দুজনের ক্ষতি হতে পারে। তাই এই সময় মহা মৃত্যুঞ্জয় মন্ত্র বা শান্তনা গোপাল মন্ত্র পাঠ করুন।
গ্রহণের পর স্নান করার রীতি প্রচলিত বহু যুগ ধরে। স্নান করে শুদ্ধ হন সকলে। এবছর গ্রহণের সময় অবশ্যই এই জিনিস মেনে চলুন। গ্রহণ শেষে গর্ভবতী মায়েরা স্নান করুন। আসলে এই সময় বায়ুমণ্ডলে বিভিন্ন ধরনের ব্যাকটেরিয়ার প্রভাব দেখা দেয়। এর থেকে বাঁচতে গ্রহণ শেষে স্নান করে নিন।
স্নানের পর বরদের প্রণাম করুন। তাঁদের আশীর্বাদ দিন। গৃহদেবতার পুজো করুন। গ্রহণের খারাপ প্রভাব পড়ে গর্ভবতী মা ও বাচ্চার শরীরে। দেবতার কৃপায় ও গুরুজনদের আশীর্বাদে এই খারাপ সময় কেটে যেতে পারে। তাই অবশ্যই এই নিয়ম মেনে চলুন।
বৈজ্ঞানিক মতে, যখন চাঁদ একই সময় সূর্যের মাঝখানের চলে আসে। এই মুহূর্তটিতে চাঁদ সূর্যকে আড়াল করে দেয়। এবং সূর্যরশ্মি পৃথিবীতে পৌঁছাতে বাধা দেয়। এই বিরল ঘটনাকে সূর্যগ্রহণ বলা হয়। এই সময় পৃথিবীতে সূর্যরশ্মি প্রবেশে বাধা পায়। সে কারণে বায়ুতে বিভিন্ন জীবাণু ও ব্যাকটেরিয়ার উপস্থিতি লক্ষ্য করা যায়। এর খারাপ প্রভাব পড়ে মানুষের শরীরে।
সে কারণে গ্রহণে সময় একাধিক নিয়ম মেনে চলার নির্দেশ হয়ে যাকে। শাস্ত্র অনুসারে, এই সময় গর্ভবতীদের খুব সাবধান থাকতে হয়। তাদের ও গর্ভবস্থ বাচ্চার জন্য এই সময়টা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এই সময় সতর্ক না থাকলে মা ও বাচ্চার ক্ষতি হতে পারে। তাই ৩০ এপ্রিল সূর্যগ্রহণের সময় মেনে চলুন এই বিশেষ নিয়ম।
শাস্ত্রে, গ্রহণের গুরুত্ব রয়েছে বিস্তর। এই গ্রহণের প্রভাব পড়ে বিভিন্ন রাশির ওপর। শাস্ত্র মতে, গ্রহণের প্রভাব পড়ে বিভিন্ন রাশির ওপর। এতে মানুষের জীবনে খারাপ অথবা ভালো উভয় সময় শুরু হয়। কারও জীবনে উন্নতি ঘটে তো কারও অবনতি। সামনে শনিবার সূর্যগ্রহণ ভারতে দশ্যমান না হলেও, এর প্রভাব অবশ্যই পড়বে বিভিন্ন রাশির ওপর।