অশান্তি ও ঝামেলা মুক্ত জীবন কাটাতে, মেনে চলুন বাস্তুর এই নিয়মগুলি
আমাদের জীবনটাকে আমরা নিজেরাই আরও সুন্দর করে তুলতে পারি। এর জন্য নিজের বসত বাড়িটিকে করে তুলুন দোষ মুক্ত। অনেক ক্ষেত্রেই দেখা যায় আর্থিক স্বচ্চলতা থাকলেও মানষিক শান্তি থাকে না সংসারে। ছোটখাটো বিষয় নিয়েই সংসারে লেগে রয়েছে নানা সমস্যা। রাতে ঠিক করে ঘুম হয়না। মোটের উপর মানসিক শান্তি জীবন থেকে হারিয়ে যেতে বসেছে। যদি আমরা বাস্তু তন্ত্রের কিছু নিয়ম মেনে চলি। তবে অনেক ক্ষেত্রেই আমরা বাস্তুদোষ কাটিয়ে উঠতে পারবো সহজেই। তাই এই সমস্যার সমাধান সহজে করার জন্য, আপনাদের মেনে চলতে হবে কিছু সহজ কিছু নিয়ম।
- FB
- TW
- Linkdin
সবার প্রথমে ঘুমানোর দিক ঠিক করা উচিৎ। ছাত্র জীবনে পূর্ব দিকে মাথা দিয়ে ঘুমানো সবচেয়ে ভালো । আর আপনি যদি কর্মজীবী হন তাহলে দক্ষিণ দিকে শোওয়া সবথেকে ভালো হবে।
সবার প্রথমে ঘুমানোর দিক ঠিক করা উচিৎ। ছাত্র জীবনে পূর্ব দিকে মাথা দিয়ে ঘুমানো সবচেয়ে ভালো । আর আপনি যদি কর্মজীবী হন তাহলে দক্ষিণ দিকে শোওয়া সবথেকে ভালো হবে।
আপনি যদি ছবি নিয়ে শৌখিন হয়ে থাকেন,সেক্ষেত্রেও বেডরুমের কিছু বাস্তু রীতি রয়েছে। বেডরুমে জন্তু-জানোয়ারের ছবি কিংবা কোনও যুদ্ধের ছবি না লাগানোই ভালো। আপনি যদি কোনও ফুলের ছবি দেওয়ালে টানান সবথেকে ভালো হয়। তবে তারও একটা দিক আছে, দক্ষিণ দিকই হল ছবি টানানোর জন্য উত্তম দিক।
আপনি যদি রঙিন মাছ পছন্দ করেন ,সেক্ষেত্রে বেডরুমটা এড়িয়ে চলাই ভালো। এটা আপনি লিভিং বা ড্রয়িং রুমে রাখতে পারেন।
বেডরুমে ড্রেসিং টেবিল না রাখাই ভালো। রাখলেও আয়নার কোনও অংশতেই যেন খাটের দিকটা না দেখা যায়। সে ক্ষেত্রে সবথেকে ভালো ঘুমানোর আগে আয়নার উপরে যদি কোনও কভার পরিয়ে দেওয়া যায়। কারণ বাস্তু মত অনুযায়ী, যদি ঘরে কোনও নেঘেটিভ এনার্জি থাকে সেটা যাতে কোনও অবস্তাতেই আয়নায় প্রতিফলিত হয়ে আপানার দিকে না পোঁছতে পারে।
বেডরুমের জানালার দিক টা সবসময় ফাঁকা রাখলে সবথেকে ভালো হয়। সূর্যরশ্মি প্রবেশের পথ যদি খোলা থাকে খুব ভালো হয়।
আপনি যদি দেওয়াল ঘড়ি টানান তাহলে উত্তর দিকই সবথেকে ভালো, বেডরুমের ক্ষেত্রেও সেটাই প্রযোজ্য।
বেড রুম সব সময় পূর্ব দিক কিংবা দক্ষিণ দিকে হওয়া প্রয়োজন। যে দিকেই আমরা মাথা রেখে ঘুমোই না কেন ,খাটের সেই দিকটায় যদি পুরোটাই দেওয়াল থাকে, সব থেকে ভালো। খাটটি কাঠের তৈরি হলে আরও ভালো। যেহেতু ঘুমন্ত অবস্তায় আমরা প্রায় ধ্যান মুদ্রার মত অবস্থাতেই থাকি। ফলে সেই সময় আমাদের শরীরে কসমিক এনার্জির সঞ্চার হয়। তাই লোহা বা অন্য যে কোনও মেটালের তৈরি খাট এনার্জির উত্তম পরিবাহক। আর কাঠ যেহেতু এনার্জি পরিবহণে অক্ষম, তাই কাঠের খাটে ঘুমানো সবথেকে ভালো।