শনির দশায় জর্জরিত, সমস্যা কাটাতে মঙ্গলবার করুন বজরঙ্গবলির পুজো
রামায়ণের মূল চরিত্র রাম যাকে হিন্দুরা ভগবান বিষ্ণুর অবতার হিসেবে দাবি করে তার অনুগত চরিত্র হিসেবে পাওয়া যায় এই হনুমানকে। তিনি বায়ুদেবতার পুত্র। হিন্দুদের কাছে হনুমান রামভক্ত হিসেবে পরিচিত। হিন্দু ধর্মের একজন দেবতা যিনি রামের একনিষ্ঠ ভক্ত। হিন্দু পুরাণে হনুমানকে বিশেষ স্থান দেয়া হয়েছে। রামায়ণ বর্ণিত হনুমান পবননন্দন হিসেবে হিন্দুদের নিকট পূজনীয়। শনির দোষ কাটাতে মঙ্গলবারে মেনে চলুন এই নিয়মগুলি-
| Nov 24 2020, 10:57 AM IST
- FB
- TW
- Linkdin
)
জ্যোতিষশাস্ত্রের মতে, শনির দোষ দূর করতে মঙ্গল ও শনিবার হনুমানের সামনে প্রদীপ জ্বালিয়ে হনুমান চলিশা পাঠ করা উচিত।
Subscribe to get breaking news alerts
তামার পাত্র, দুধ, কাপড়, সিঁদুর, প্রদীপ, তেল, ধূপ কাঠি, ফুল, নৈবেদ্যর জন্য ফল, ঘরে তৈরি মিষ্টি, নারকেল। হনুমানজির পুজোতে সাধ্য মত দিয়ে নিজের মনের মত পুজো করুন। সমস্ত বাধা বিপত্তি কাটাতে মঙ্গলবার আরাধনা করুন বজরঙ্গবলির।
বজরঙ্গবলির উপাসনা পদ্ধতি
বাড়ির মন্দিরে বজরঙ্গবলির পুজো করলে প্রথমে গণেশের পুজো করুন। গণেশকে স্নান করিয়ে ফুল, ধূপ, প্রদীপ দিয়ে পুজো দিয়ে তারপর হনুমানের পুজো করুন। হনুমানএর মূর্তি স্নান করান। প্রণাম মন্ত্র জপ করুন এবং ভগবান হনুমানকে সিঁদুরের তিলক লাগান।
একটি প্রদীপ জ্বালান প্রসাদ অর্পণ করুন ফল, মিষ্টি, ফুল দিন। এক এক করে উপাসনার সমস্ত জিনিস ঈশ্বরের কাছে অর্পণ করুন। ঘি বা তেল এর প্রদীপ জ্বালান, আরতি করুন। হনুমান চল্লিশা পাঠ করুন, পুজোর পরে প্রসাদ বিতরণ করুন।
বজরঙ্গবলির পুজায় প্রসাদ হিসাবে সম্ভব হলে গুড়, নারকেল ও লাড্ডু দিন। বিকেলে গুড়, ঘি, গমের ময়দা দিয়ে তৈরি রুটি মিশ্রণ এবং সন্ধ্যায় কলা, আপেল ফল দিয়ে পুজো দেওয়া উচিত।
বিশেষ করে লাল বা হলুদ ফুল দিয়ে হনুমানের পুজো করুন। পদ্ম, গাঁদা, গোলাপ ইত্যাদির এই ফুলগুলিতে বিশেষ গুরুত্ব রয়েছে। হনুমানজিকে জাফরান দিয়ে লাল চন্দনের তিলক লাগান।