- Home
- World News
- Bangladesh News
- ভারতকে পদ্মার ইলিশ দিয়েও মিলছে না পেঁয়াজ, মান বাঁচাতে ইমরানেরই স্মরণ নিলেন ক্ষুব্ধ হাসিনা
ভারতকে পদ্মার ইলিশ দিয়েও মিলছে না পেঁয়াজ, মান বাঁচাতে ইমরানেরই স্মরণ নিলেন ক্ষুব্ধ হাসিনা
চিন ভারতের প্রতিবেশীদেশগুলিকে কব্জা করার চেষ্টা করছে। পাকিস্তান ও নেপালের ক্ষেত্রে তারা সফলও। বাংলাদেশের দিকেও নজর রয়েছে জিনপিংয়ের। এমনকি অতীত ভুলে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরাণ খানও বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর দিকে সখ্যতার হাত বাড়িয়েছেন। এই নিয়ে দুশ্চিনায় রয়েছে ভারত। তাই সম্প্রতি এদেশের বিদেশ সচিব বাংলাদেশ সফরে যান। দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে ভারতের পাশে থাকারও আশ্বাস দেন হাসিনা। কিন্তু ভারত পেঁয়াজ রপ্তানি বন্ধ করতেই দুইদেশের সম্পর্কে তার প্রভাব পড়তে শুরু করেছে।
- FB
- TW
- Linkdin
১০০ টন ইলিশ এপার বাংলায় এল বাংলাদেশ থেকে। কিন্তু সেই দেশেই এবার পেঁয়াজ রফতানি বন্ধ করেছে ভারত সরকার। দিল্লির এই সিন্ধান্তে স্বভাবতই অখুশি হাসিনা। যা তুন করে দুদেশের সম্পর্কে প্রভাব ফেলতে শুরু করেছে।
গত বছর পুজোর আগে এপার বাংলাকে ইলিশ উপহার দিয়েছিল বাংলাদেশ। হাসিনার সরকার এবারও পুজোর আগে ইলিশ উপহার দিয়ে সৌহার্দের উদাহরণ রেখেছেন। তবে এবার ভারত পেঁয়াজ রপ্তানি বন্ধ করায় বাংলাদেশে ক্ষোভের সঞ্চার হয়েছে। বাংলাদেশী জনগণ ইতিমধ্যেই সোশ্যাল মিডিয়ায় ভারতের বিরুদ্ধে নিজেদের ক্ষোভ উগড়ে দিতে শুরু করেছেন।
গত বছরও ২৯ সেপ্টেম্বর পেঁয়াজ রফতানি বন্ধ করেছিল ভারত। তার পর থেকে বাংলাদেশে পেঁয়াজের দাম অস্বাভাবিক বেড়ে যায়। পরিস্থিতি বাগে এমনকী হাসিনার সরকারও দেশবাসীকে পেঁয়াজ ছাড়া রান্নার পরামর্শ দেয়।
পেঁয়াজ রপতানি বন্ধের পুনরাবৃত্তি হল চলতি বছরেও। কিছুদিন আগে প্রবল বৃষ্টিতে ভেসে গিয়েছিল কর্ণাটক। সেই সঙ্গে শেষ হয়ে গেছে খেতের পেঁয়াজ। ফলে যে পেঁয়াজ এখন বাজারে আসার কথা ছিল, তা আসেনি। বৃষ্টিতে একইভাবে পেঁয়াজের ক্ষতি হয়েছে মধ্যপ্রদেশ, গুজরাতের মতো রাজ্যেও। গুদামে রাখা পেঁয়াজেও পচেছে বৃষ্টির জলে। এই অবস্থায় দেশের বাজারে পেঁয়াজের যোগান দিতে সম্প্রতি তা বিদেশে রফতানি বন্ধের সিদ্ধান্ত নেয় ভারত সরকার।
ভারত রফতানি বন্ধ করতেই বাংলাদেশের অনেক জায়গায় পেঁয়াজের দাম কেজি প্রতি ৮০ থেকে ১০০ টাকায় পৌঁছে গিয়েছে। আগামী কয়েকদিনে পেঁয়াজের দাম সেখানে আকাশছোঁয়া হবে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
দেশে পেঁয়াজের বাজারে সরবরাহ সংকটের বিষয়টি আঁচ করতে পেরে তাই চলতি সেপ্টেম্বর মাসের শুরু থেকেই মিশর, চিন, তুরস্ক, মায়ানমার ও পাকিস্তান থেকে পেঁয়াজ আমদানি শুরু করে দিয়েছেন বাংলাদেশের ব্যবসায়ীরা।
৫ দেশ থেকে যে পেঁয়াজ আসবে সবই সমুদ্রপথে জাহাজে করে আসবে। এমনকি মায়ানমার থেকেও পেঁয়াজ আসবে সুমদ্রপথে।
তবে হঠাৎ করে ভারত সরকারের পেঁয়াজ রফতানি বন্ধের সিদ্ধান্তে ব্যাপক প্রতিক্রিয়া তৈরি হয়েছে ঢাকায়। এই পরিস্থিতিতে পাকিস্তান ও চিন সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছে শেখ হাসিনার দিকে।
এই অবস্থায় আগামী দিনে ভারত থেকে আর পেঁয়াজ আমদানি করতে হবে না, দাবি উঠছে।
এমনিতে পাকিস্তানের সঙ্গে সবসময়ই সম্পর্কে উত্তেজনা রয়েছে ভারতের। বর্তমান সময়ে চিন ও নেপালের সঙ্গেও সম্পর্ক তলানিতে ঠেকেছে। এমনকী বেশ কিছু ইস্যু নিয়ে বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্কেও জটিলতা তৈরি হয়েছিল। যদিও সাম্প্রতিক সময়ে পরিস্থিতির চাপে সেই সম্পর্ক নতুন করে ঝালিয়ে নিতে চাইছিল দিল্লি। কিন্তু পেঁয়াজ রফতানি বন্ধ হতেই দুদেশের সম্পর্কে তার প্রভাব পড়ল।