- Home
- World News
- Bangladesh News
- করোনা সংক্রমণের মধ্যেই প্রকৃতির চোখ রাঙানি, ছবিতে দেখুন বাংলাদেশের বন্যা
করোনা সংক্রমণের মধ্যেই প্রকৃতির চোখ রাঙানি, ছবিতে দেখুন বাংলাদেশের বন্যা
- FB
- TW
- Linkdin
বাংলাদেশের বন্যা পূর্বভাস ও সতর্কতা কেন্দ্রের প্রধান আরিফুজ্জামান ভুঁইয়া বর্তমান পরিস্থিতিতে গত এক দশকের সবথেকে ভয়াবহ বন্যা বলে চিহ্নিত করেছেন। তাঁর কথায় ২৩০টি নদী রয়েছে বাংলাদেশে। যারমধ্যে ভারতের সঙ্গে তাঁরা ৫৩টি নদী ভাগ করে নেন।
বাংলাদেশের এক তৃতীয়াংশই রয়েছে জলের তলায়। ১.৫ মিলিয়ন মানুষ বন্যার কবলে পড়েছেন। দেশের অধিকাংশ গ্রামই ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ভিটেমাটি ছেড়ে বহু মানুষই আশ্রয় নিয়েছেন ত্রাণ শিবিরে।
স্থানীয় এক বাসিন্দাদের কথায় যাতায়াতের জন্য নৌকাই একমাত্র ভরসা। বন্যার কারণে খাবারের তীব্র সংকট দেখা দিয়েছে বলেও অভিযোগ উঠেছে। ত্রাণ শিবিরেও আর জায়গা নেই বলেই অনেকে অভিযোগ করেছেন।
গত জুন মাসের শেষ সপ্তাহ থেকেই এই দেশে বন্যা পরিস্থিতি চলছে। জুলাইয়ের মাঝামাঝি এসেই পরিস্থিতি উন্নতি হয়নি। দেশেই অধিকাংশ নদীর জলই বিপদসীমার ওপর দিয়ে বইছে।
তিস্তা ও ব্রহ্মপুত্র এলাকায় জল বেড়েছে। জলমগ্ন কুড়িগ্রাম, রংপুর, জামালপুর সহ বিস্তীর্ণ এলাকা। স্থানীয়দের কথায় বছর দেশেক আগেও এমন পরিস্থিতি তৈরি হত না। আগে দুটি অববাহিকা এলাকায় জল আলাদা আলাদা সময় বাড়ত। কিন্তু এবছরই একসঙ্গে জল বেড়েছে।
বন্যা পূ্র্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্রের তরফে বলা হয়েছে ব্রহ্মপুত্রের জল এবার দীর্ঘ দিন ধরেই বিপদসীমার ওপর দিয়ে বইছে। উত্তর মধ্য বাংলাদেশে জল বইছে বিপদসীমার ৪০ সেন্টিমাটার ওপর দিয়ে।
স্থানীয় এক কৃষকের কথায় তাঁদের ঘরবাড়ি বন্যার কবলে পড়ে জলমগ্ন হয়েছে। নষ্ট হয়েছে ফসলও। চাল, ভূট্টার ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে।
শুধু বাংলাদেশ যে একাই বন্যাপরিস্থিতি সম্মুখীন হয়েছে তা নয়। ভারত, নেপালের মত প্রতিবেশী দেশগুলিও মুখ্যমুখী হয়েছ এই সমস্যার।
বাংলাদেশ প্রশাসনের দাবি ভারতের তুলনায় বাংলাদেশের বন্যা বেশিদিন স্থায়ী হয়। তাঁদের কথায় বাংলাদের বন্যা প্রায় ১৮ জিন পর্যন্ত স্থায়ী হতে পারে। কিন্তু ভারতের বন্য পরিস্থিতি তৈরি হওয়ার মাত্র ১০ দিনের মধ্যেই নদীগুলির জল নামতে শুরু করে।
বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের বন্যা ও জল ব্যবস্থাপনা ইনস্টিটিউট আগেই ব্রহ্মপুত্র অববাহিকায় বন্য পরিস্থিতি তৈরি হতে পারে বলে আশঙ্কা করেছিল। বিশ্বের তাপমাত্রা বেড়ে যাওয়ায় মৌসুমী বায়ু আগের তুলনায় অনেকবেশি শক্তিশালী হয়েছে বলেই মনে করে এই সংস্থার গবেষকরা।