- Home
- Entertainment
- Bengali Cinema
- বিজয়ার গয়না বিক্রি থেকে নিজের শেষ সম্বলটুকু হারানো, 'পথের পাঁচালী'র প্রতি ফ্রেমে লেখা সত্যজিতের সংগ্রাম
বিজয়ার গয়না বিক্রি থেকে নিজের শেষ সম্বলটুকু হারানো, 'পথের পাঁচালী'র প্রতি ফ্রেমে লেখা সত্যজিতের সংগ্রাম
কলকাতার হাসপাতাল বেডের উপর শুয়ে অসুস্থ সত্যজিৎ রায়। হাতে অস্কার। হাপাতে হাপাতেই ধন্যবাদ জানিয়ে চলেছেন অস্কারের জ্যুরিদের। মৃত্যুসয্যায় অস্কার হাতে স্পিচ দেওয়া ঠিক কতটা কষ্টকর, ভাবলেই গায়ে কাঁটা দেয় সত্যজিৎ-ভক্তদের। তবে তাঁর কাছে বিষয়টি ছিল অত্যন্ত সুখকর। চার দশক ধরে ছবি বানানোর পর অবশেষে অস্কার চিহ্নিত করল তাঁকে। সেলুলয়েডের পৃথিবীতে আসার আগে তিনি একেবারেই কল্পনা করেননি যে ভারতের শেষ্ঠ চলচ্চিত্র পরিচালকের মধ্যে অন্যতম হয়ে উঠবেন।
- FB
- TW
- Linkdin
ব্রিটিশ বিজ্ঞাপনী সংস্থায় মোটা টাকার চাকরি। ১৯৪৩ সালে এমন চাকরি পাওয়াটাই ছিল দুর্লভ।
তবে সেই ৯টা ৫টার ছকে বাঁধা চাকরি যে এক শিল্পীকে আটকাতে পারল না।
তবে এই গতে বাঁধা চাকরি তাঁকে রূপোলি পর্দার পথ দেখালো। সিগনেট প্রেসে বেশ ভাল পোস্টেই চাকরি পেলেন সত্যজিৎ।
বাংলা বইয়ের প্রচ্ছদ আঁকতে আঁকতেই ফিল্মমেকিংয়ের দিকে ঝুঁকতে থাকেন তিনি।
বনলতা সেন, জিম করবেটের ম্যান ইটার্স অফ কুমায়ুন, রূপসী বাংলা নয়া রূপ পেল তাঁরই হাত ধরে।
'আম আঁটির ভেঁপু' নিয়ে কাজ করতে করতে পরে ফেললেন মূল উপন্যাসটি। বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের মূল উপন্যাস নিজে কাজ শুরু করার ভাবনা বদলে ফেলল ভারতীয় চলচ্চিত্র জগৎকে।
তবে ফিল্মমেকিংয়ে অভিনেতা-অভিনেত্রী এবং চিত্রনাট্য ছাড়াও যে অর্থ প্রয়োজন ছিল, তা জোগাড় করতে গিয়ে প্রায় নিশ্ব হয়ে গিয়েছিলেন তিনি।
নিজের এবং স্ত্রী বিজয়া রায়ের শেষ সম্বলটুকু চলচ্চিত্র তৈরির জন্য ব্যয় করার পর তাঁর দিকে সাহায্যের হাত বাড়ান তৎকালীন মুখ্যমন্ত্রী বিধানচন্দ্র রায়।
মারাত্মক সংগ্রাম, কঠোর পরিশ্রমের পর ১৯৫৫ সালে মুক্তি পায় 'পথের পাঁচালী'। নিশ্চিন্দিপুর, অপু-দূর্গা, কাশবনের মধ্যে দিয়ে রেলগাড়ি দেখা, এই দৃশ্য গুলি যেন ভোলার নয়।
অর্থ সঙ্কটের মাঝেও এমন ছবি তৈরি করে কেবল বাংলাই নয়, ভারতীয় চলচ্চিত্র জগৎকে অন্য দিশা দেখালেন সত্যজিৎ রায়।