ইন্ডাস্ট্রিতে পা রাখার পরই নাম পাল্টেছেন, এই বলি তারকাদের চেনেন
কথায় বলে, 'নামে কি আসে যায়'। নাম যাই হোক না কেন মানুষকে চেনা যায় তার কাজের মাধ্যমে। কিন্তু, ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রিতে নাম একটা বড় বিষয়। কারণ নাম ভালো না হলে কেমন যেন একটা নাক সিঁটকোন অনেকেই। তাই এই ইন্ডাস্ট্রিতে পা রাখার সঙ্গে সঙ্গেই নিজের আসল নাম ত্যাগ করেছেন বহু তারকা। তাঁদের বেশিরভাগই এখন সুপারস্টার। দেশজোড়া খ্যাতি তাঁদের। আর সেই খ্যাতির আড়ালে কোথায় হারিয়ে গিয়েছে তাঁদের সেই আসল নাম। যা হয়তো অনেকেই জানেন না। এক ঝলকে দেখে নিন ইন্ডাস্ট্রিতে পা রেখে কোন কোন তারকা নিজের আসল নাম বদলে ফেলেছেন।

বলিউড তারকাদের মধ্যে অন্যতম সফল তারকা তিনি। নিজের অভিনয় দক্ষতার মাধ্যমে জল করে নিয়েছিলেন দর্শকদের মন। পাঁচ দশকের বেশি সময় ধরে বলিউডে রাজত্ব করেছেন তিনি। তবে দিলীপ কুমার (Dilip Kumar) তাঁর আসল নাম নয়। অবিভক্ত ভারতের পেশোয়ারে জন্ম হওয়া এই তারকার আসল নাম হল মহম্মদ ইউসুফ খান। বলিউডে ট্র্যাজেডি কিং নামেও পরিচিত তিনি।
বলিউডের অ্যাঙ্গরি ইয়ং ম্যান তিনি। তাঁর খ্যাতি ছড়িয়ে রয়েছে দেশ বিদেশ সর্বত্র। এখনও বড় পর্দা কাঁপান তিনি। অভিনয় দক্ষতার জোরে দর্শক মনে তিনি জায়গা করে নিয়েছেন। বড় পর্দার পাশাপাশি ছোট পর্দাতেও তিনি বেশ জনপ্রিয়। সেখানে তাঁর সঞ্চালনা দর্শকদের নজড় কেড়েছে। সবার প্রশংসা কুড়িয়ে নিয়েছেন তিনি। তবে অমিতাভ (Amitabh Bachchan) তাঁর আসল নাম নয়। জন্মের পর তাঁর নাম রাখা হয়েছিল ইনকিলাব শ্রীবাস্তব। কিন্তু, পরে সেই নাম পরিবর্তন করা হয়। তখন অবশ্য তাঁর টাইটেল শ্রীবাস্তবই ছিল। কিন্তু, জাতিভেদ প্রথায় অবিশ্বাসী হরিবংশ রাই বচ্চন সেই টাইটেল পরিবর্তন করে 'বচ্চন' রেখেছিলেন।
বলিউডের ভাইজান (Bhaijan) তিনি। বলিপাড়ার তিন খানের মধ্যে তিনি অন্যতম। সেলিম খানের পুত্র হয়েও নিজের অভিনয় দক্ষতার মাধ্যমে দর্শকদের মন জয় করে নিয়েছেন তিনি। তিন দশকেরও বেশি সময় ধরে একাধইক হিট ছবি তিনি উপহার দিয়েছেন। রোম্যান্টিক ও অ্যাকশন হিরো হিসেবে তার অভিনয় বক্স অফিসে অনেক সুপারহিট হিট সিনেমা উপহার দিয়েছে। আর তাঁর আসল নাম আব্দুল রশিদ সালিম খান।
তাঁর অভিনয় নিয়ে কোনও প্রশ্ন থাকে না দর্শক মনে। যে কোনও চরিত্রের জন্য নিজের সবটুকু দিয়ে প্রস্তুত হন তিনি। আর সেই কারণে বলিউডে মিস্টার পারফেকশনিস্ট (mister perfectionist) হিসেবে তাঁর পরিচয় রয়েছে। তাঁর বেশিরভাগ ছবিই হিট। আমিরের আসল নাম হল মহম্মদ আমির হুসেন খান।
রোম্যান্টিক, অ্য়াকশন ও কমেডি যে কোনও ধরনের ছবিতেই অত্যন্ত সাবলীল অজয়। তিন দশক ধরে প্রায় ১০০-র বেশি ছবিতে তিনি অভিনয় করেছেন। যে কোনও ছবিতেই নিজেকে প্রমাণ করেছেন তিনি। এখন অভিনয়ের পাশাপাশি ছবির প্রযোজনা ও পরিচালনা করতেও দেখা যায় তাঁকে। তাঁর আসল নাম হল বিশাল ভীরু দেবগন। কিন্তু, ইন্ডাস্ট্রিতে পা রাখার সঙ্গে সঙ্গেই নিজের নাম পরিবর্তন করেছিলেন তিনি।
জন্মের পর অক্ষয়ের নাম ছিল রাজীব হরি ওম ভাটিয়া। ১৯৮৭-তে মুক্তি পাওয়া মহেশ ভাটের পরিচালনায় 'আজ' ছবির হাত ধরে বলিউডে পা রেখেছিলেন অক্ষয়। ছবিতে কয়েক সেকেন্ডের জন্য দেখা গিয়েছিল তাঁকে। আর সেই ছবিতে অভিনেতা কুমার গৌরবের নাম ছিল অক্ষয়। সেই নামটিই বেশ পছন্দ হয়েছিল অভিনেতার। তারপরই নিজের নাম বদলে অক্ষয় কুমার রাখেন তিনি।
নবাব পরিবারের এই সুপুত্র বলিউডের রাজপুত্র নামে পরিচিত। মনসুর আলি খান পতৌদি ও শর্মিলা ঠাকুরের পুত্রের আসল নাম সাজিদ আলি খান। ৯০-এর দশক থেকে অভিনয়ের কেরিয়ার শুরু করেছিলেন তিনি। তার মধ্যে একাধিক হিট ছবি উপহার দিয়েছেন দর্শকদের। অ্যাকশন, কমেডি, রোম্যান্টিক সব ধরনের চরিত্রেই যথেষ্ট সাবলীল তিনি।
বর্তমান প্রজন্মের অন্যতম সফল হিরোদের মধ্যে একজন হলেন তিনি। 'পদ্মাবত' সিনেমায় তাঁর অভিনয় সমালোচকদের মন জয় করে নিয়েছে। তাঁর অভিনীত কিছু হিট সিনেমাগুলি হল 'ব্যান্ড বাজা বারাত', 'লেডিজ ভার্সেস রিকি ভেল', 'লুটেরা', 'রাম লীলা' ইত্যাদি। তাঁর আসল নাম রণভীর সিং ভানানি।
বর্তমান প্রজন্মের অন্যতম সফল অভিনেত্রীদের মধ্যে তিনি একজন। জন্মসূত্রে তিনি একজন বিদেশি নাগরিক। কিন্তু, তা সত্ত্বেও বলিউডে চুটিয়ে কাজ করছেন তিনি। ইতিমধ্যেই বলিউডের প্রথম সারির একাধিক তারকার সঙ্গে কাজ করেছেন। গ্ল্যামার ও অভিনয় দক্ষতার মাধ্যমে জয় করে নিয়েছেন দর্শকদের মন। তাঁর আসল নাম কেট টরকুট।
হাসি ও অভিনয় দক্ষতার মাধ্যমে দর্শক মনে জায়গা করে নিয়েছেন তিনি। বলিউডের তিন খানের সঙ্গেই স্ক্রিন শেয়ার করেছেন। আর সবার সঙ্গেই তাঁর রয়াসন ছিল একেবারে চোখে পড়ার মতো। 'দিল সে', 'চোরি চোরি চুপকে চুপকে', 'কাল হো না হো', 'বীর জারা'-র মতো ছবিতে অভিনয় করেছেন তিনি। তাঁর আসল নাম প্রীতম জিন্টা।