অবাক করা সংলাপ, ১০ টি বিষয় যা দিল বেচারা দেখার পর ভাবিয়ে তুলছে দর্শকদের
সুশান্ত সিং রাজপুতের শেষ ছবি মুক্তির পর থেকেই নেট দুনিয়ায় উঠেছিল ঝড়। কীভাবে সকলের অগোচরে মৃত্যুর দিকে এগিয়ে গেলেন অভিনেতা, কেউ কী আঁচ করতে পারেননি বিন্দুমাত্র! প্রশ্ন উঠেছিল বিভিন্ন মহলে। এবার সুশান্তের মুক্তি পাওয়া শেষ ছবি সেই মৃত্যু যন্ত্রণাকেই যেন তরতাজা করে তুলল।
- FB
- TW
- Linkdin
দিল বেচারা ছবির পরতে-পরতে চমক। একের পর এক ঘটনা যেন ক্ষতিকের মধ্যেই মনে করিয়ে দেয়, সুশান্তের মৃত্যু। শুরুতেই ছবির সংলাপ, আমি অ্যাস্ট্রোনট, পরের সপ্তাহে নাসায় যাচ্ছি...।
ছবির মাঝে বদলে গেল মোড়। মৃত্যু ক্রমেই গ্রাস করতে শুরু করল সুশান্তকে। তখন থেকেই চোখের জল বাধ মানে না, সুশান্তের মুখের সংলাপ আমি মরছি না।
ছবির গতি যতই এগোত থাকে ভেঙে পড়তে থাকে সুশান্ত। কাছের মানুষকে হারিয়ে যন্ত্রণা কতটা ভয়াবহ হতে পারে তারই ব্যাখ্যা দিয়ে যান অভিনেতা।
শেষে সুশান্ত জানান, তিনি মৃত্যু ঘটার আগেই নিজের স্মরণ সভা দেখ যেতে চান। ছবির চরিত্র ডেকে পাঠায় বন্ধু ও বান্ধবিকে।
ছবির চরিত্র ম্যানি অর্থাৎ সুশান্ত জানান, মারা যাওয়ার পর তিনি এখানে বসেই সকলের কথা শুনবেন। দেখবেন সবাইকে।
স্মরণ সভায় কথা বলতে উঠে বন্ধু একটা বছর বয়স বাড়িয়ে দেন সুশান্তের তথা চরিত্র ম্যানির। তখন অভিনেতা তা সুদরে দিয়ে তাঁর বর্তমান বয়স বলেন, অবাক হয়ে বন্ধু বলেন, তুমি কি আর এক বছরও থাকবে না।
এখানেই শেষ নয়, বন্ধু ম্যানির স্মৃতি চারণ করতে গিয়ে বলেন, ম্যানির হাসিটাই মন জয় করে নিয়েছিল, ওঁর চলে যাওয়ার পরও সেই হাসিটা থেকেই যাবে। বাস্তবেও ঠিক এমনটাই ঘটে।
ছবিতে ম্যানি চরিত্রের একট ছবি করার কথা, মৃত্যুর মুখে ঢলে পড়ার আগেই সেই ছবির কাজ শেষ করেন ম্যানি।
ম্যানি অর্থাৎ গল্পে সুশান্তের মৃত্যুর পর সেই ছবি মুক্তি পায়, যা সঞ্জনা সাঙ্ঘি অর্থাৎ কাজি একাই দেখে, বাস্তবেও সঞ্জনা সুশান্তকে ছাড়াই দেখলেন দিল বেচারা।
সুশান্ত ছবিতে ম্যান, মৃত্যর আগে লিখে দিয়ে যান একটি চিঠি, দেখানে লেখা থাকে একযে ছিল রাজা এক যে ছিল রানি, রাজা চলে গেছে, হয়ে গিয়েছে রানি। বাস্তবেও ঠিক তেমনটাই ঘটে।