- Home
- Entertainment
- Bollywood
- জানেন কি, ঐশ্বর্য না থাকলে না খেয়েই থাকতে হয় অভিষেককে, কারণ জানলে আঁতকে উঠবেন
জানেন কি, ঐশ্বর্য না থাকলে না খেয়েই থাকতে হয় অভিষেককে, কারণ জানলে আঁতকে উঠবেন
- FB
- TW
- Linkdin
বি-টাউনে প্রথমসারির তারকা দম্পতি জুটি অভিষেক বচ্চন এবং ঐশ্বর্য রাই বচ্চন। বিয়ের এত বছর পার হয়ে গেলেও তাদের সম্পর্ক যেন অটুট। ১৯৯৭ সালে প্রথম দেখা হয় দুজনের। বলি অভিনেতা ববি দেওলই তাকে প্রথম আলাপ করিয়ে দিয়েছিল ঐশ্বর্যর সঙ্গে। ২০০০ সালে 'ঢাই অকসর প্রেম কি' ছবিতে তাদের প্রথম বন্ধুত্ব শুরু হয়। তারপরই 'কিউ হো গ্যায়া না' ছবির সময় থেকেই তাদের নিয়ে জোর গুঞ্জন শুরু হয়।
'গুরু' সিনেমাতেই তাদের প্রেম যেন আরও জমে ওঠে। এবং ছবি সুপারহিট হবার পরই ২০০৭ সালে বিয়ে করেন এই সুপারহিট জুঁটি। বর্তমানে তাদের একটি মেয়ে রয়েছে। যার নাম আরাধ্যা। বচ্চন পরিবারের বন্ডিংয়ের কথা প্রায় সকলেরই জানা। শ্বশুর এবং শাশুড়ির নয়নের মণি ঐশ্বর্য রাই বচ্চন। নিজেদের ফ্যামিলি বন্ডিংয়ের কথা প্রায়শই বলে থাকেন অভিষেক বচ্চন।
তবে জানেন কি, ঐশ্বর্য রাই বচ্চন না থাকলে নাকি না খেয়েই থাকতে হয় অভিষেক বচ্চনকে। কথাটা শুনে চোখ কপালে উঠলেও এটাই সত্যি। তবে কোথায় গিয়ে এমন অভিজ্ঞতার শিকার হতে হয়েছে জুনিয়র বচ্চনকে, তা জানলে নিজেও অবাক হয়ে যাবেন।
আসলে বাড়িতে নয়, কোনও হোটেলে থাকলেই এমনটা আকছার হয় অভিষেক ও ঐশ্বর্যর সঙ্গে। অভিষেক বচ্চন নাকি হোটেলের রুম সার্ভিসে ফোন করে খাবার অর্ডার করতে পারেন না। আর এই কাজটি করতে হয় ঐশ্বর্যকে। সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে গোপন কথা ফাঁস করলেন অভিষেক বচ্চন।
অভিষেক বচ্চন জানান, অচেনা মানুষদের সঙ্গে কথা বলতে তার নাকি অদ্ভুত লাগে। এবং সেই কারণেই এই কাজটা করতে হয় খোদ ঐশ্বর্যকে। কোথায় বেড়াতে গেলে খাবার অর্ডার করা বিষয়টি পুরো স্ত্রী-কেই সামলাতেই হয়। আর ঐশ্বর্য না করলেই না খেয়েই কাটাতে হয় অভিষেককে।
অভিষেক জানান, তিনি এতটাই লজ্জিত ও সচেতন বোধ করেন যে হোটেলের লবিতে পা রাখতেও চান না প্রোমোশনাল ইভেন্টের সময়, যদি কেউ তাকে না রাস্তা দেখায়। তবে কেন এমনটা হয় তাও খোলসা করে জানিয়েছেন অভিনেতা।
অভিষেক জানান, তিনি কোনওদিন এমন কোনও সেটে কাজ করতে পারবেন না যেখানকার পরিবেশ ঠিক নয়। কাজ করার জন্য ইতিবাচক পরিবেশের প্রয়োজন হয়। এবং এই কারণের জন্য অনেকে হয়তো হাসি ঠাট্টাও করে কিব্তু তারপরেও নিজে থেকে কোথায় এগিয়ে যেতে সমস্যা হয় অভিষেকের।
অভিষেক আরও জানান, হয়তো আমি হোটেলে বসে আছি প্রেস ট্যুরের জন্য। কেউ যদি আমার সঙ্গে না থাকে আমি একা মোটেই লবিতে যেতে পারব না। কোথাও একা প্রবেশ করতেই আমার ভীষণ ভয় লাগে। তাই সবসময় এমন কাউকে পাশে দরকার, যে আমাকে রাস্তাটা দেখিয়ে গিয়ে পারে।
আউটডোর নিয়ে কথা প্রসঙ্গে অভিষেক জানিয়েছেন, সাধারণত স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে যা নিয়ে কথা হয়,তুমি খেয়েছ কিনা, কেমন কাটল তোমার সারাদিন, আমাদের মোটেই তেমনটা হয় না। ঐশ্বর্য আমাকে ফোন করে জানতে চায়,তুমি কি খেতে চাও বলো? তারপর ও আমার জন্য খাবারের অর্ডার করে দেয়। ও এটাও জানে যে ফোন না করলে আমি না খেয়েই থাকব। আমি রুম সার্ভিসে ফোন করতে পারি না। এই সমস্যাটা আমার আছে। বিশেষত অচেনা মানুষের সঙ্গে কথা বলতে গেলেই সমস্যা বাড়ে।