- Home
- Entertainment
- Bollywood
- নিত্যদিন ড্রাগ ও মদের নেশায় চুর এই তারকারা, শেষ করে দিয়েছে কেরিয়ার নয়তো প্রাণ
নিত্যদিন ড্রাগ ও মদের নেশায় চুর এই তারকারা, শেষ করে দিয়েছে কেরিয়ার নয়তো প্রাণ
সুশান্ত সিং রাজপুত মৃত্যু মামলায় মূল অভিযুক্ত অভইনেত্রী রিয়া চক্রবর্তী সম্প্রতি গ্রেফতার হয়েছেন মাদকচক্রের জড়িত থাকার অভিযোগে। ১৪ দিন তাঁকে রাখা হবে বিচার বিভাগীয় হেফাজতে। ইতিমধ্যেই তাঁর কেরিয়ার নিয়ে শুরু হয়েছে বিভিন্ন মতামত, অনুমান। নেটিজেনদের কথায় ড্রাগ, মৃত্যু মামলায় তাঁর নাম জড়ানো, আইনি অভিযোগে ছিন্ন বিচ্ছিন্ন হওয়ার পর রিয়ার কেরিয়ার বলে আর কিছুই থাকবে না। বলিউডে তিনি কোনও ছবিতে থাকবেন কি না সেই নিয়ে চলছে নানা তর্কবিতর্ক। অথচ বছরের পর বছর মাদক সেবন করে বলিউডে কাজ করার চেষ্টা করছিলেন কিংবা করছেন অনেকে। ড্রাগ ও মদের নেশায় চুর থেকে কেরিয়ারে খানিক ক্ষতি হয়েছে বইকি, ক্ষতবিক্ষত হয়েছে ব্যক্তিগত জীবনও। চিনে নিন সেই তারকাদের।
| Published : Sep 08 2020, 11:09 PM IST
- FB
- TW
- Linkdin
রণবীর কাপুরঃ তিনি নিজে মুখে স্বীকার করেছিলেন ফিল্ম স্কুলে পড়াশোনার সময় তিনি গাঁজার সেবন করতেন। এমনকি রকস্টার ছবির সময়ও তিনি মাদক সেবন করেন 'জানার্দন জাঁকার' চরিত্রটি সঠিক বোঝার জন্য।
সঞ্জয় দত্তঃ ফুসফুস ক্যান্সারে আক্রান্ত অভিনেতা এবং তাঁর সঙ্গে ড্রাগের সম্পর্ক বহু পুরনো। ওপেন বুকের মত সকলেই এ বিষয় জানেন। সূত্রের খবর, তাঁর এই ড্রাগ অ্যাডিকশনের কারণেই তখনকার প্রেমিকা টিনা মুনিম তাঁকে ছেড়ে চলে যান। পাশাপাশি কেরিয়ারও কয়েক ধাপ নিচে নেমে আসে।
ধর্মেন্দ্রঃ বর্ষীয়ান অভিনেতা ধর্মেন্দ্রও ১৫ বছর ধরে মদের নেশায় অ্যাডিক্টেড থাকতেন। তিনি ইয়ামলা পাগলা দিওয়ানা ছবির প্রচারের সময় স্বীকার করেন মদের অ্যাডিকশন তাঁর কেরিয়ার শেষ করে দেয়।
মীনা কুমারীঃ ট্যাজেডি ক্যুইন সাহেব বিবি এবং গোলাম ছবিতে মদ্যপ, মানসিক অবসাদগ্রস্থ স্ত্রীয়ের চরিত্রে অভিনয় করে প্রশংসা কুড়োন। তবে এই চরিত্র যে কবে তাঁর ব্যক্তিগত জীবনের সঙ্গে মিশে যেতে থাকে তা টের পাননি তিনি নিজেই। বিবাহবিচ্ছেদের পর তিনি মদের অ্যাডিকশনে বুঁদ হয়ে যান। মাত্র ৪০ বছর বয়সেই লিভার সিরোসিসে মৃত্যু হয় তাঁর।
রাজেশ খান্নাঃ ১৫ টি ব্যাক টু ব্যাক হিট ছবি। বলিউডে একাই রাজ করেছিলেন বহু বছর। স্টারডম হজম না করতে পেরে মদের নেশা চুর হয়ে থাকতেন নিত্যদিন। যার ফলে অসুস্থও হয়ে পড়েন দ্রুত এবং কেরিয়ারে ইতি টানতে বাধ্য হন তিনি।
দিব্যা ভারতীঃ বলিউডের রেইনিং ক্যুইন। তাঁকে পর্দায় দেখে আজও মন ভাল হয়ে ওঠে দর্শকের, তিনিই কিনা ব্যক্তিগত জীবনে অ্যালকহলিক ছিলেন। যা কেবল তাঁর কেরিয়ারই নয় ছিনিয়ে নিয়েছিল প্রাণ। ছ'তলা থেকে পড়ে যাওয়ার পর তদন্তে জানা যায় তিনি সাংঘাতিক মদ্যপান করেছিলেন।
পারভিন বাবিঃ মৃত্যু, মদ্যপান, ড্রাগসের প্রসঙ্গ উঠলেই উঠে আশে পারভিন বাবির কথা। পরিচালক মহেশ ভাটের সঙ্গে তাঁর ব্রেক আপের পর এলএসডি ড্রাগে মত্ত থাকতেন এই গ্ল্যামারাস অভিনেত্রী। যা সম্পূর্ণরূপে তাঁর কেরিয়ার শেষ করে দেয়।
মনীষা কইরালাঃ ক্যান্সারকে হার মানিয়ে তিনি এখন অনুপ্রেরণা। তবে এক সময় কেরিয়ারে পিক-এ থেকে মদ এবং মাদকের প্রতি আসক্তি শেষ করে দিয়েছিল তাঁকে। বিবাহবিচ্ছেদের কারণে তিনি মানসিক অবসাদে ভুগতেন বলে জানা যায়।
ফারদিন খানঃ এই অভিনেতাকে আর ক'জন মনে রেখেছেন তা নিয়ে রয়েছে সন্দেহ। যদিও বেশ কিছু হিট ছবিতে হিরোর ভূমিকায় ছিলেন তিনি। ২০০১ সালের অক্টোবর মাস নাগাদ তাঁর বিরুদ্ধে কোকেন কেনার অভিযোগ আসে।
ইয়ো ইয়ো হানি সিংঃ ব়্যাপার কাম গায়কের নাম এখন কোনও বিগ্রেড ছবিতেও শোনা যায় না। বাদশাহ পুরোপুরি তাঁর জায়গায় জাঁকিয়ে বসেছেন। এর পিছনে কোনও ষড়যন্ত্র নয় দায়ী ড্রাগস এবং মদ। এই দু'টি জিনেসের প্রতি হানি সিংয়ের আসক্তি শেষ করে দিয়েছে তাঁর পেশাগত জীবন।