- Home
- Entertainment
- Bollywood
- রেখার সঙ্গে চরম ঘনিষ্ঠতায় মত্ত অমিতাভ,অন্তরঙ্গ দৃশ্য দেখে হাউ হাউ করে কেঁদে ফেলেছিলেন জয়া
রেখার সঙ্গে চরম ঘনিষ্ঠতায় মত্ত অমিতাভ,অন্তরঙ্গ দৃশ্য দেখে হাউ হাউ করে কেঁদে ফেলেছিলেন জয়া
- FB
- TW
- Linkdin
রিল থেকে রিয়েল বারেবারে পেজ থ্রি-র শীর্ষে উঠে এসেছেন এই জুটি। সত্তরের দশক থেকে আজও তাদের রোম্যান্টিক জুঁটি দশর্কমনে হিট।বলিউডের অমর প্রেমের জুটি বলতে গেলেই প্রথমেই উঠে আসে রেখা এবং অমিতাভের নাম। অমিতাভ এবং রেখা 'দো আনজানে', 'মিস্টার নটওয়ারলাল', 'সিলসিলা', 'মুকদ্দর কা সিকন্দর', 'গঙ্গা কি সৌগন্দ', 'নমক হারাম' এবং 'রাম বলরাম' এর মতো ছবিতে দুর্দান্ত অভিনয় করেছিলেন।
পর্দায় 'মুকদ্দর কা সিকান্দর'ছবিতে রেখা ও অমিতাভের প্রেমের দৃশ্য চলছে। সিনেমা হলের একেবারে সামনে আসনে বসে সেই দৃশ্য দেখছিলেন জয়া বচ্চন। হঠাৎই চোখের কোণায় জল। তারপরই অবিরাম অশ্রু গালে বেয়ে ঝরতে লাগল। ঠিক এইভাবেইন দৃশ্যটির বর্ণনা করেছিলেন রেখা।
রেখা জানিয়েছিলেন, সেদিন হলের প্রজেকশন রুমে পর্দার পাশ থেকে তিনি স্পষ্ট দেখতে পাচ্ছিলেন জয়া বচ্চনকে। তবে জয়ার পিছনের সিটে বসা অমিতাভের নজরে পড়েনি সেই কান্না। একটি সাক্ষাৎকারে সেদিনের পুরো ঘটনাটির বর্ণনা দিয়েছিলেন রেখা। যা নিয়ে শোরগোল পড়ে গিয়েছিল নেটদুনিয়ায়।
সালটা ১৯৭৮। 'মুকদ্দর কা সিকান্দর' ছবিই নাকি শেষ ছবি আগামী তিন বছরের জন্য। কানাঘুষোতে শুনেছেন অমিতাভ আর কোনও ছবি করবেন না তার সঙ্গে । তবে এর কোনও কারণ জানা ছিল না রেখার। ঠিক এই সময়েই প্রথমসারির পত্রিকাকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে এই ঘটনার কথা তুলে ধরেছিলেন রেখা। এমনকী জয়া দেখেও তিনি কষ্ট পেয়েছিলেন, সেটাও জানিয়েছিলেন সাক্ষাৎকারে।
রেখা আরও জানিয়েছিলেন,'মুকদ্দর কা সিকান্দর' ছবিটি মুক্তির আগে গোটা বচ্চন পরিবারের জন্য ছবিটির আগাম স্ক্রিনিংয়ের ব্যবস্থা করা হয়েছিল। প্রজেকশনের ঘরে আমিও ছিলাম। জয়া সামনের সিটে বসেছিল। আমার আর অমিতাভের ঘনিষ্ঠ দৃশ্য দেখে জয়ার চোখ দিয়ে সমানে জল ঝরছিল অঝোর ধারায়। তারপরই রেখাকে সবাই বলেছিল অমিতাভ আর তার সঙ্গে ছবি করবেন না। এমনকী এ ব্যাপারে নাকি প্রযোজকদের সঙ্গে কথা বলেছিলেন তিনি।
বি-টাউনে পুরো বিষয়টি নিয়ে শোরগোল পড়ে গিয়েছিল। রটে গিয়েছিল যে অমিতাভের এই সিদ্ধান্তের জেরেই নাকি রেখা এবং জয়ার মুখ দেখাদেখি বন্ধ হয়ে গিয়েছিল। কেরিয়ার তখন মধ্যগগণে। ১৯৭৮ সালেরপর ১৯৮১ সালে যশ চোপড়া রেখা-অমিতাভ-জয়াকে নিয়ে তৈরি করেছিলেন সিলসিলা। তার আগে পর্যন্ত এক অদ্ভুত শীতল সম্পর্ক ছিল তিনজনের।
নিজের মুখে এই ঘটনার বর্ণনা দিয়েও বহুদিন বাদে আবারও এক সাক্ষাৎকারে পুরো ঘটনাকে গুজব বলে উড়িয়ে দিয়েছিলেন রেখা। তবে রেখা গুজব বললেও তা মানতে মোটেই রাজি না ভক্তরা। বরং রেখার সঙ্গে অমিতাভের সম্পর্ক এখনও নেটদুনিয়ায় হটকেক।
সালটা ১৯৭৬। 'দো আনজানে' ছবির শুটিং চলাকালীন তাদের প্রেমের গুঞ্জন শুরু হয়। তারপর সম্পর্ক নিয়ে কথা উঠলেই কখনও স্বীকার করেননি অমিতাভ। এমনকী ১৯৮৪ সালে ফিল্মফেয়ারে তাদের ডেটিং নিয়ে প্রশ্ন উঠেছিল। সেই সময়েও অমিতাভ রেখার সঙ্গে সম্পর্কে অস্বীকার করেছিল। অমিতাভ যখন বারেবারে নিজেদের সম্পর্ক অস্বীকার করছিলেন তখন রেখা জানিয়েছিলেন, নিজের ইমেজ রক্ষার করা জন্যই তিনি এটা অস্বীকার করছেন। এমনকী অমিতাভের প্রতি তার ভালবাসা, অনুভূতি সম্পর্কে লোকে কী ভাবেন, তাতে তিনি কিছু মাথা ঘামান না।