কেরিয়ার শেষ, স্টারডাম শেষ, ডিপ্রেশন গিলে খেয়ে ছিল শাহরুখ-আমিতাভদের
বলিউড , দূর থেকে তা সকলের কাছেই স্বপ্নপূরী। কিন্তু এই মায়ানগরীর অন্দরমহলে লুকিয়ে থাকা একতাকিত্ব, প্রতিযোগিতা, অবসাদ যে কখন কাকে গ্রাস করে তা বোঝা দায়। কত সুপারস্টার চোখের জলে নিজের জীবন দিয়েছে, আবার কিছু তারকা কঠিন সময় লড়াই করে ফিরে এসেছেন হাসি মুখে। দেখা যাক কোন কোন তারকা অবসাদকে কাটিয়ে সাফল্যের শীর্ষে ..
- FB
- TW
- Linkdin
অমিতাভ বচ্চনঃ নব্বইয়ের দশকে নিজের একটি প্রযোজনা সংস্থা খুলেছিলেন। কিন্তু তার মধ্যে দিয়ে একের পর এক মুক্তি পাওয়া ছবি সুপার ফ্লপ। ক্ষতির মুখ দেখতে শুরু করেছিলেন অমিতাভ। তখনই অবসাদে ভোগেন অভিনেতা। কিন্তু পরিস্থিতির সঙ্গে লড়াই করে ফিরে এসেছিলেন কেবিসি-র মধ্যে দিয়ে।
শাহরুখ খানঃ একবার শ্যুটিং-এর সময় শাহরুখ খানের হাত ভেঙে যায়। তখন তাঁর হাতে একের পর এক ছবির প্রস্তাব। হঠাৎ করে বাড়িতে অসুস্থ হয়ে বসে পড়াতে অবসাদ গ্রাস করেছিল তাঁকে। রীতিমত চিকিৎসা করে সুস্থ হয়ে উঠেছিল শাহরুখ খান।
দীপিকা পাড়ুকোনঃ মানসিক সমস্যা বা অবসাদ নিয়ে এখন মানুষ খোলামেলা আলোচনা করে থাকেন। সেই পথেই হেঁটেছিলে হেঁটেছিলেন দীপিকা। একের পর এক হিট ছবি উপহার দিলেও ব্যক্তিগত জীবনের নানা ওঠা পড়া সহ্য করতে পাড়েননি তিনি। একসময় একাকিত্ব গ্রাস করেছিল তাঁকে। কিন্তু সময়ের সঙ্গে সঙ্গে তা কাটিয়ে ওঠেন দীপিকা।
অনুষ্কা শর্মাঃ সাফল্যের শীর্ষ থাকার সত্ত্বেও অনুষ্কা এক সময় অবসাদে ডুবে গিয়েছিলেন। এক সাক্ষাৎকারে তিনি জানিয়েছিলেন, খিটখিটে হয়ে উঠেছিলেন, অ্যাংজাইটিতে ভুগছিলেন তিনি। তবে তড়িঘড়ি ওষুধ খেয়ে, চিকিৎসা করান অনুষ্কা।
সঞ্জয় দত্তঃ একসময় সঞ্জয় দত্ত অবসাদে ডুবে গিয়েছিলেন। তখন তিনি জেলে, গ্রেফতার হওয়ার পর দীর্ঘ সময় যখন যখন কারাবন্দি ছিলেন, ঠিক তখনই অবসাদ গ্রাস করেছিল তাঁকে। কেরিয়ার শেষ হয়ে যাওয়ার ভয় থেকে শুরু করে সন্মানহানি। কিন্তু নিত্য প্রাণায়ম করতেন সঞ্জয়।
করণ জোহারঃ যে পরিচালকের হাত ধরে একের পর এক তারকারা উঠে এসেছে বলিউডে, সেই পরিচালকই এক সময় অবসাদে ভুগছিলেন। এক বৈঠকের মাঝে তাঁর মনে হয়েছিল, হার্ট অ্যাটাক হবে। ছুঁটে গিয়েছিলেন ডাক্তারের কাছে। জানিয়েছিলেন ডিপ্রেসন। করণের মতে যখন কাছের বলতে তেমন কেউ থাকে না, তখন মানুষ এভাবেই অবসাদের শিকার হন।
টাইগার শ্রফঃ অবসাদ কাটিয়ে ফিরে আসার তালিকাতে নাম রয়েছে টাইগার শ্রফেরও। প্রথম দিকে তাঁর ছবি সেভাবে সাফল্যের মুখ দেখেনি। ফ্রাইং জেট ফ্লপ হওয়ার পরই অবসাদে ঢুবে ছিলেন টাইগার। মেরিটেশন করে ফিরেছিলেন স্বাভাবিক ছন্দে।