নিজের জীবনের সত্যকে আড়ালেই রাখতে চান মাধুরী, আজও তাড়িয়ে বেড়ায় সেই ভয়
- FB
- TW
- Linkdin
সালটা ১৯৮৪। অবোধ ছবিতে মাধুরীর অভিনয় খুবই আলোচিত হয়েছিল। তাপসের চরিত্রের নাম ছিল শঙ্কর। এবং মাধুরীর চরিত্রের নাম ছিল গৌরি। তারপর থেকেই তিনি এভারগ্রীন অভিনেত্রীর তকমা পেয়েছেন।
১৯৯১ সালে সাজন ছবির শ্যুটিংয়ের সময় থেকে সঞ্জয়-মাধুরীর ঘনিষ্ঠতা বেড়ে যায়। তখন থেকেই তাদের সম্পর্ক গুঞ্জন শোনা যায়। সেই ছবির সময়েই সঞ্জয় দত্ত বিয়েও করেছিলেন।
নব্বইয়ের দশকে সঞ্জয় দত্তের সঙ্গে তার সম্পর্ক খবরের শিরোনামে ছিল। এমনকী সঞ্জয় দত্ত তা স্বীকারও করেছিলেন।
সঞ্জয় দত্তের বায়োপিক সঞ্জু তেও মাধুরীর একটি দৃশ্য থাকবে বলে শোনা গিয়েছিল। কিন্তু মাধুরী নিজেই সেই দৃশ্যে কাঁচি চালিয়েছিলেন।
মাধুরী বর্তমানে সুখী দাম্পত্যে রয়েছেন । তিনি কখনওই চাননি তার অতীত বর্তমানে নেমে আসুক। সুখী জীবনে অতীতের ছায়া যাতে না আসে তাই তিনি এমনটা করেছিলেন।
সঞ্জয় দত্তের সঙ্গে সম্পর্ক ছিল মাধুরীর। তাঁদের মধ্যে সম্পর্কের গভীরতা যখন বাড়তে থাকে, তখনই গ্রেফতার হন সঞ্জয় দত্ত। মুম্বই হামলার সময় সঞ্জয়কে গ্রেফতার করা হয়েছিল। তখন পুলিশ তাকে একটা ফোন কলের অনুমতি দিয়েছিল। এবং সূত্র থেকে জানা গেছে, সঞ্জয় মাধুরীকেই কলটা করেছিলেন।
সঞ্জু ছবিতে একটি দৃশ্য ছিল যেখানে সঞ্জয় দত্ত গ্রেফতার হওয়ার পর কোনও অভিনেত্রীকে ফোন করেছিলেন। সেই ফোন কলটি অভিনেত্রীর মা ধরেছিল। তিনি জানিয়েছিলেন যে অভিনেত্রী তার সঙ্গে কোনও সম্পর্ক রাখতে চান না। আর এটা যে মাধুরী ছাড়া আর কেউ নন, তা সবারই জানা ছিল।
সঞ্জয় দত্তের এই গ্রেফতারির পরই অভিনেতার থেকে নিজেকে সরিয়ে নিয়েছিলেন মাধুরী। এমনকী জেলেও দেখা করতে যাননি অভিনেত্রী। তারপরই তাদের সম্পর্কে চিড় ধরে।
তারপর সঞ্জয়কে নিয়ে প্রশ্ন উঠলেই মাধুরী কোনও উত্তর দিতেন না। সর্বদাই নীরব থাকতেন।
তিনি কোনওদিনই স্বীকার করেননি যে সঞ্জয়ের সঙ্গে তার সম্পর্ক ছিল।
১৯৯৯ সালে শ্রীরাম নেনে-র সঙ্গে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হয়েছিলেন মাধুরী দীক্ষিত। তারপরই মার্কিন যুক্তরাষ্টে চলে যান মাধুরী।
সময় যত পেরিয়েছে পরিস্থিতিরও তত বদল হয়েছে। বর্তমানে সঞ্জয় দত্তও নিজের পরিবারের সঙ্গে খুশি রয়েছে।