- Home
- Entertainment
- Bollywood
- বিয়ে-দুর্ঘটনা-ব্রেস্ট ক্যান্সারে জর্জরিত জীবন, একাধিক ব্যর্থ হলেও কীভাবে ঘুরে দাঁড়িয়েছেন মহিমা
বিয়ে-দুর্ঘটনা-ব্রেস্ট ক্যান্সারে জর্জরিত জীবন, একাধিক ব্যর্থ হলেও কীভাবে ঘুরে দাঁড়িয়েছেন মহিমা
- FB
- TW
- Linkdin
বলিউডের প্রতিভাবান অভিনেত্রীদের মধ্যে অন্যতম মহিমা চৌধুরী। ৪৯-এ পা দিলেন বলিউডের 'পরদেশ' নায়িকা মহিমা চৌধুরী। অভিনেত্রীকে শুভেচ্ছায় ভরিয়ে দিয়েছেন ভক্তরা। সকলেই অভিনেত্রীকে ভালবাসায় ভরিয়ে দিয়েছেন।
সালটা ১৯৯৭। 'পরদেশ' ছবি দিয়ে বলিউডে পা রেখেই মুহূর্তেই দর্শক মনে নিজের জায়গা পাকিয়ে নিয়েছিলেন। বলিউডের কিং খান শাহরুখের সঙ্গেই প্রথম পর্দায় ডেবিউ করেন বাঙালি অভিনেত্রী মহিমা চৌধুরী।
বলিউডে পা রাখার কয়েক বছরের মধ্যেই তিনি যেন ফিল্মি দুনিয়া থেকে হারিয়ে গিয়েছিলেন মহিমা। তার মলিন হাসিতেই ঝড় উঠেছিল আট থেকে অষ্টাদশীর হৃদয়ে। তার ওই হাসি দেখার জন্য মুখিয়ে থাকতেন পুরুষরা।
কেরিয়ারের শীর্ষে থাকাকালীন অনেক দুর্দান্ত ছবি উপহার দিয়েছেন মহিমা ।'পরদেশ' সিনেমায় তার পর্দাউপস্থিতি এতটাই মনে ধরেছিল যে তাকে নিয়ে অনেক স্বপ্ন দেখেছিলেন ভক্তরা। কিন্তু সেটা আর পূরণ হয়নি। ব্যক্তিগত জীবনে নানা প্রতিকূল পরিস্থিতির সম্মুখীন হতে হয়েছে মহিমাকে।
মাস কয়েক আগেই মহিমা জানিয়েছিলেন ব্রেস্ট ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়েছিলেন মহিমা চৌধুরী। এমনকী চিকিৎসা চলাকালীন কাজ করেছেন এবং মা হিসেবেও সমস্ত দায়িত্ব পালন করছেন মহিমা। তবে ব্যক্তিগত জীবনে নানা রকমের সমস্যায় পড়েছিলেন মহিমা।
এক সাক্ষাৎকারে নিজের জীবনের ভয়াবহ অভিজ্ঞতার কথা তুলে ধরেছিলেন অভিনেত্রী মহিমা। তিনি জানিয়েছেন, বলি অভিনেত্রী কাজল এবং অজয় দেবগণের সঙ্গে 'দিল ক্যায়া করে'ছবির শুটিং চলছিল বেঙ্গালুরুতে। সেই শুটিং চলাকালীনই বড়সড় গাড়ি দুর্ঘটনার সন্মুখীন হয়েছিলেন মহিমা। শুধু প্রাণে বেঁচে ফিরেছিলেন অভিনেত্রী। দুর্ঘটনার জেরে গাড়ির সামনের কাঁচ ভেঙে তার সারা মুখে ফুটে গিয়েছিল।
মহিমা আরও জানিয়েছিলেন, হাসপাতালে পৌঁছনোর সঙ্গে সঙ্গে তার অস্ত্রোপচার করা হয়েছিল। একটা বা দুটো নয়, ৬৭ টি কাঁচ তার সারা মুখে ফুটে গিয়েছিল। সেই ক্ষত সারাতে বেশ অনেক বছর সময়ও লেগে গিয়েছিল। অপারেশনের পর ডাক্তাররা তাকে অন্ধরার ঘরে থাকার নির্দেশ দেন। এই সময় বেশ অনেকগুলি ছবির কাজ ছিল তার হাতে। কিন্তু দুর্ঘটনার পর নিজেকে সরিয়ে নিয়েছিলেন বি-টাউন থেকে।
মুখটা এতটাই ক্ষতবিক্ষত হয়ে গিয়েছিল যে লোকেরাও বলতে শুরু করেছিল, 'এর চেহারাই পুরো নষ্ট হয়ে গিয়েছে।'সকলের থেকে এক কথা শুনতে শুনতে নিজের প্রতি আস্থা হারিয়ে ফেলেছিলেন মহিমা। পরে ধীরে ধীরে তিনি যখন ক্ষত সারিয়ে উঠে স্বাভাবিক জীবনে ফিরতে শুরু করেন,সেই সময় ডিজাইনার নীতা লুল্লা তাঁকে বিরাট সঙ্গ দিয়েছিলেন।
শুধু তাই নয়, মহিমাকে ফের নতুন করে কাজ শুরু করারও পরামর্শ দেন নীতা। তারপরই মহিমাকে'ইয়াদ পিয়া কী আনে লাগি'-তে দেখা যায় এবং অক্ষয় কুমারও তাঁর মনের জোর বাড়াতে সাহায্য করেন । তারপরেই নতুন রূপে 'ধড়কন'-এ দেখা যায় মহিমাকে। মহিমা চৌধুরী জানিয়েছেন, ওই দুর্ঘটনাই তাঁর ফিল্মি কেরিয়ার নষ্টের পিছয়ে দায়ী।
২০০৬ সালে ববি মুখোপাধ্যায়ের সঙ্গে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হয়েছিলেন মহিমা চৌধুরী। তবে বিবাহিত জীবনও মোটেই সুখকর ছিল না। ২০১৩ সালে ববির সঙ্গে বিবাহবিচ্ছেদ হয়ে যায় মহিমার। বর্তমানে তাদের একটি কন্যাসন্তান রয়েছে, যার নাম আরিয়ানা। বিচ্ছেদের পর মেয়ে আরিয়ানাকে নিজের কাছেই রেখেছেন মহিমা চৌধুরী। জীবনে একাধিকবার ব্যর্থ হয়ে আজ সমস্ত কিছুকে পরাজয় করে সফল মহিমা চৌধুরী।