- Home
- Entertainment
- Bollywood
- ড্রাগসের নেশাতেই নয় যৌনমিলনেও চরম আসক্ত ছিলেন সঞ্জয়, মুন্নাভাইয়ের শয্যাসঙ্গীর সংখ্যা কত জানেন
ড্রাগসের নেশাতেই নয় যৌনমিলনেও চরম আসক্ত ছিলেন সঞ্জয়, মুন্নাভাইয়ের শয্যাসঙ্গীর সংখ্যা কত জানেন
বলিউডের বিতর্কিত পুরুষ মানেই সঞ্জয় দত্ত সকলের শীর্ষে। একের পর এক হিট ছবিতে অভিনয় করলেও তার জীবন জুড়ে রয়েছে কন্ট্রোভার্সি। ৬২-তে পা দিলেন বলিউডের মুন্নাভাই। বান্ধবীর সংখ্যা হাতে গুনে শেষ করা যাবে না। শোনা যায় ৩০০-র বেশি প্রেমিকা ছিল সঞ্জয়ের। ষাট পেরিয়েও আজ অটুট সঞ্জু ম্যাজিক। একাধিক নারীসঙ্গ, শারীরিক সম্পর্কে লিপ্ত সঞ্জয় কত মেয়ের যে শয্যাসঙ্গী হয়েছে তাও নাকি গুনে শেষ করা যাবে না।
- FB
- TW
- Linkdin
৬২-তে পা দিলেন বলিউডের মুন্নাভাই। বলিউডের মুন্নাভাই সঞ্জয় দত্তের জীবনটাই যেন একটা চলচ্চিত্র। অভিনেতা হওয়ার পাশপাশি তার যৌবনের নেশায় বুঁদ ছিল হাজারও নারী। বান্ধবীর সংখ্যা হাতে গুনে শেষ করা যাবে না। ৩০০-র বেশি প্রেমিকা ছিল সঞ্জয়ের। ষাট পেরিয়েও আজ অটুট সঞ্জু ম্যাজিক।
একাধিক নারীসঙ্গ, শারীরিক সম্পর্কে লিপ্ত সঞ্জয় কত মেয়ের যে শয্যাসঙ্গী হয়েছে তাও নাকি গুনে শেষ করা যাবে না। তবে এহেন অভিনেতাকে নাকি একসময় সমকামী ভাবতেন মা নার্গিস। ছেলের এত প্রেমিকা থাকা সত্ত্বেও কেন ছেলেকে এমনটা ভাবতেন তা প্রকাশ্যে এসেছে সঞ্জয়ের আত্মজীবনীতে।
সঞ্জয়কে নিয়ে একবার কথা বলতে গিয়ে প্রিয় বন্ধুকে নার্গিস জানিয়েছিলেন, যে কোনও ছেলে বন্ধু এলেই ঘরের দরজা বন্ধ করে দেন সঞ্জয়।
তারপর থেকেই সঞ্জয়কে নিয়ে আরও সন্দেহ বাড়তে থাকে মা নার্গিসের। এরপরই সঞ্জয়কে সমকামী ভাবতে শুরু করেন নার্গিস। সঞ্জয়ের আত্মজীবনীতে ছোট বোন প্রিয়া দত্ত একথা তুলে ধরছেন।
ছোটবেলা থেকেই পড়াশোনার প্রতি তেমন আগ্রহ ছিল না। বাবার নির্দেশেই কলেজে গিয়ে স্নাতক হয়েছিলেন তিনি। সঞ্জয় দত্তের বাবা-মা দুজনেই চলচ্চিত্র জগতের সঙ্গ যুক্ত ছিলেন। আর্থিক স্বচ্ছল পরিবারে কোনওদিনই অর্থের অভাব ছিল না।
বাবা সুনীল দত্ত ছেলের এই বিষয়গুলি না বুঝলেও মা নার্গিস বুঝতে পেরেছিলেন। সঞ্জয়কে সন্দেহ করলেও স্বামী সুনীলকে তিনি এই বিষয়ে কিছু জানাননি। পরে ভেবেছিলেন সঞ্জয় হয়তো ঠিক হয়ে যাবে।
ড্রাগসের নেশায় এতটাই বুঁদ হয়েছিলেন সঞ্জয় যে বাবা ছেলেকে সিনেমার কাজে ব্যস্ত রাখার চেষ্টা করেছিল। একদিন ছেলেকে প্রথম ছবির জন্য নিজের অফিসেও ডেকে পাঠিয়েছিল সুনীল দত্ত, সেই সময়ও নেশায় চুর ছিল সঞ্জয়, সেইদিন ছেলেকে ওই অবস্থায় দেখে অবাক হয়েছিল সুনীল।
বাবা-মা দুজনেই নিজেদের কেরিয়ার নিয়ে ব্যস্ত। সেই সময়েই কলেজে গিয়ে মাদকাসক্ত হয়ে পড়েন সঞ্জয়। গাঁজা, মদের নেশায় জড়িয়ে পড়েন সঞ্জয়। ছেলের এই বদভ্যাস জেনে সকলের থেকে লুকিয়ে যেতেন নার্গিস।
সঞ্জয়ের প্রথম ছবি মুক্তি পাওয়ার আগেই মা নার্গিস দত্তের শরীর ক্রমশ খারাপ হয়ে যাচ্ছিল। ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়েই ছেলের প্রথম ছবি রকি মুক্তি পাওয়ার আগে মারা যান নার্গিস। নার্গিসকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল। আর তখনই ১৯৮১ সালে সঞ্জয়ের প্রথম ছবি মুক্তির দিন ৪ মে নির্ধারন করা হয়েছিল।