- Home
- Entertainment
- Bollywood
- স্বামীকে ছেড়ে প্রাক্তন প্রেমিকের কাছে কেন ফেরেননি ঐশ্বর্য, ক্ষোভ উগরে দিয়েছিলেন সলমন
স্বামীকে ছেড়ে প্রাক্তন প্রেমিকের কাছে কেন ফেরেননি ঐশ্বর্য, ক্ষোভ উগরে দিয়েছিলেন সলমন
শারীরিক নির্যাতন,সন্দেহ, পরকীয়া, মারধর সব কিছুই সহ্য করতে হয়েছে প্রাক্তন মিস ইন্ডিয়া ঐশ্বর্যা রাই বচ্চনকে, তার পিছনে একটাই কারন সলমন খান । বি টাউনের চর্চিত কাপলদের মধ্যে অন্যতম ঐশ্বর্য ও সলমন। তাদের প্রেম থেকে ব্রেক আপ সবটাই যেন চর্চিত বিষয়। সেই গদগদ প্রেম আজ অতীত। বর্তমানে কথা বলা তো দূরহস্ত মুখ দেখাও বন্ধ। কিন্তু সম্প্রতি তাদের ছবি 'হাম দিল দে চুকে সনম' ২১ বছর পূর্ণ করল, আর এই ছবির পিছনেও রয়েছে এর গভীর ইতিহাস।
- FB
- TW
- Linkdin
বলিউডে আসার আগে বেশ কয়েকটি দক্ষিণী ছবিতেই নজর কেড়েছিলেন ঐশ্বর্য। প্রাক্তন বিশ্ব সুন্দরী ঐশ্বর্যা রাই বচ্চনও নিজের কেরিয়ার শুরু করেছিলেন তামিল ছবি দিয়ে। ১৯৯৭ সালে মনিরত্নমের ছবি 'ইরুভার'-এ তাকে প্রথম দেখা গিয়েছিল।
বলিউডের প্রাক্তন বিশ্বসুন্দরী। বি-টাউনে একের পর এক অভিনেতার সঙ্গে বারবার নাম জড়িয়েছে ঐশ্বর্য রাই বচ্চনের। অভিনয় থেকে রিলেশন সবসময়েই লাইমলাইটের শীর্ষে থেকেছেন বচ্চন বধূ।
বলিউডে পা রাখার পর হাম দিল দে চুকে সানাম, তাল, দেবদাস, মহব্বতে, একের পর এক হিট ছবি উপহার দিয়েছেন প্রাক্তন মিস ইন্ডিয়া। সমস্ত পরিচালক-প্রযোজকরাই তাদের ছবিতে কাস্ট করতে চাইছিলেন ঐশ্বর্যকে।
কেরিয়ার যখন মধ্যগগণে,তখনই 'হাম দিল দে চুকে সনম' সিনেমায় সলমন খানের সঙ্গে ডেটিং করছিলেন ঐশ্বর্য। সেই ছবিতেই ঐশ্বর্যকে প্রথম দেখেছিলেন সলমন। ছবির চলাকালীন চুটিয়ে প্রেম করছিলেন দুজনে।
সঞ্জয় লীলা বনশালির 'হাম দিল দে চুকে সনম' ছবির ২১ বছর পূর্ণ হল। কিন্তু সলমন ছবির ক্লাইম্যাক্স নিয়ে সন্তুষ্ট ছিলেনা না। আর এটি নিয়ে গভীর আলোচনাও করেছিলেন সঞ্জয় লীলা বনশালির সঙ্গে।
বিশেষ করে ছবির দ্বিতীয় ভাগ নিয়ে একদম দ্বিমত ছিলেন। কারণ স্বামী অজয়ের কাছে ফিরে আসার ঐশ্বর্যর সিদ্ধান্ত নাকি তার পছন্দ হয়নি।
সলমন নিজে একটি সাক্ষাৎকারে জানিয়েছিলেন, ছবিটির শেষ হওয়ার পিছনে তার কোনও মত নেই। ঐশ্বর্যর নাকি তার স্বামীকে ছেড়ে তার প্রেমিকের কাছেই ফিরে যাওয়া দরকার ছিল। ছবির ক্লাইম্যাক্সের জন্য তিনি দীর্ঘদিন বনশালির উপর রেগেও ছিলেন।
সলমন খান যখন ঐশ্বর্যর সঙ্গে রিলেশনে ছিলেন তখ নাকি তাকে বিয়ে করতেও চেয়েছিলেন। তবে ঐশ্বর্যর কেরিয়ার তখন মধ্যগগণে ছিল। তাই বিয়ে করতে চাননি। টানা ২ বছর ডেটিংয়ের পর তাদের বিচ্ছেদ হয়ে যায়।
কেরিয়ার থেকে ব্যক্তিগত জীবন, সবেতেই সিদ্ধান্ত নিতে শুরু করেন সলমন। পরিচালক সুভাষ ঘাই পরিচালিত 'তাল ' ছবিতে অফার আসে ঐশ্বর্যর। কিন্তু সুভাষ ঘাইয়ের সঙ্গে অন্য নায়িকাদের অনেক গসিপই বাজারে ছড়িয়েছিল। সলমন তখন অ্যাশকে ছবিতে কাজ করতে বারণ করে। কিন্তু অ্যাশ সেই ছবি করতে রাজি নন। ছবিটি বক্স অফিসে হিটও করেছিল। সূত্র থেকে জানা যায় এক পার্টিতে সুভাষ ঘাই ঐশ্বর্যা নিয়ে এমন কিছু বলেছিলেন যার কারণে সুভাষকে চড়ও মারেন সলমন।
নিজের হাতে বি-টাউনে ঐশ্বর্যাকে প্রতিষ্ঠা করেছিলেন সলমন। তাদের অনেকটাই নিজের ভেবে নিয়েছিলেন তাকে। আর তখই হরিণ শিকার মামলায় নাম জড়ায় ভাইজানের। এর মধ্যে প্রাক্তন প্রেমিকা সোমিকে নিয়ে নানা জল্পনা শোনা যায়।
তারপর থেকেই মদের প্রতি আসক্তি আর ঐশ্বর্যর প্রতি অধিকার ফলানো শুরু হয় সলমনের। নিজেদের পাগলপান্তির জন্যই বারবার শিরোনামে আসে তাদের বহুলচর্চিত প্রেম।
ঐশ্বর্য নিজেও আর এই সম্পর্ক রাখতে চাননি। এমনকী তার পরিবারও সলমনকে মেনে নেয় নি। 'কুছ না কাহো' ছবির সেটে গিয়েও অসভ্য আচরণ করেছিলেন সলমন। ছবিতে ঐশ্বর্যর বিপরীতে অভিষেককেই দেখা গিয়েছিল।
একবার নয়, একাধিকবার শারীরিক নির্যাতনের শিকার হয়েছেন ঐশ্বর্য। যদিও সলমন একথা আজও স্বীকার করেননি। ইন্ডাস্ট্রির সকল অভিনেতাদের সঙ্গেই ঐশ্বর্যকে সন্দেহ করতেন সলমন। তারপর তাদের বিচ্ছদের খবরে উত্তাল হয় সোশ্যাল মিডিয়ায়।