'আত্মহত্যা করে সব শেষ করে ফেলতে চেয়েছিলাম', বিস্ফোরক ইলিয়ানা ডি'ক্রুজ
লকাডউনে বেড়েছে আত্মহত্যার হার। মানসিক অবসাদে ভুগছেন অসংখ্য মানুষ। আত্মহত্যার প্রসঙ্গতে যে নাম অত্যন্ত বিরল তা হল ইলিয়ানা ডিক্রুজ। তিনিও এক সময় আত্মহত্যা করার কথা ভেবেছিলেন অভিনেত্রী। শরীরের এই ব্যাধির দরুণ আত্মহত্যা করে সব শেষ করে দেওয়ার কথা ভেবেছিলেন। এই ব্যধিটির কারণে শরীরে অসমঞ্জস্যতা দেখা দেয়। এর ফলে ইলিয়ানা নিজের ফিগার নিয়ে অত্যন্ত হতাশ হয়ে পড়েন। মানসিক অবসাদেও ভুগেছেন বহুদিন। এখন অবশ্য সেই মানিসক অবস্থার অনেকটাই উন্নতি হয়েছে বলে জানিয়েছিলেন ইলিয়ানা।
- FB
- TW
- Linkdin
বছর তিনেক আগেই ২১ ওয়ার্ল্ড কংগ্রেস অফ মেন্টাল হেল্থে এই বিষয়, খোলাখুলি আলোচনা করেন। তিনি জানান, এই ডিসঅর্ডারের কারণে মানসিকভাবে ভেঙে পড়েছিলেন ইলিয়ানা।
ইলিয়ানা বলেন, "আমি সবসময় খুব হতাশ থাকতাম। মানসিক অবসাদে ভুগছিলাম অজান্তেই। টেরই পাইনি কখন আমার এই হাতাশা মানসিক অবসাদে বদলে গিয়েছে।"
তিনি আরও জানিয়েছিলেন, "বডি ডিসঅর্ডারটা ঠিক কী আমি এর বিষয় কিছুই জানতাম না। তবে এটুকু জানতাম যে আমি আর বাঁচতে চাই না। সবকিছু শেষ করে ফেলতে চেয়েছিলাম।"
এই বলেই তিনি বলতে থাকেন যে আত্মহত্যার কথাও বলতে চেয়েছিলেন ইলিয়ানা। স্কুলজীবনে তিনি ঠাট্টা ইয়ার্কির শিকার হতে হয়েছিল অভিনেত্রীকে।
ইলিয়ানা মানসিক অবসাদ নিয়ে এক সময় লড়াই শুরু করেন। তাঁর বক্তব্য, "কোনও সমস্যায় পড়লে চুপচাপ বসে থেকো না। এটুকুই বলব সবাইকে।"
"আমাদের সকলের সঙ্গে কথা বলা উচিত। নিজেকে গুটিয়ে রাখলেই মানসিক অবসাদ আরও বাড়তে থাকবে। বরং সাহায্যের হাত বাড়াতে থাকো। কেউ না কেউ ঠিক এগিয়ে আসবেই।"
"মানসিক অবসাদ মোটেই কোনও সাধারণ জিনিস নয়। বড়ো রূপ নিতে বিন্দুমাত্র সময় নেয় না অবসাদ। তাই বোঝামাত্রই সাহায্য চাইতে দ্বিধাবোধ করো না।"
ইলিয়ানার কথায়, আমরা যেভাবে শারীরিক কোনও সমস্যা হলে ডাক্তারের কাছে যাই তেমনই মানসিক অবসাদেরও চিকিৎসা সেভাবেই করা উচিত।
কথা বলার লোক পাশে থাকলেই মানসিক অবসাদ আর আমাদের উপর জাঁকিয়ে বসে না। ইলিয়ানাও নিজেকে এইভাবেই ধীরে ধীরে স্বাভাবিক জীবনে ফিরিয়ে আনেন।
ইলিয়ানা এই মানসিক অবসাদে বহুদিন ধরে ভুগেছেন। এক সময় আর পাঁচটা মেয়েকে দেখে তিনি ভাবতেন এবং নিজের চেহারা নিয়ে হতাশ চিন্তাভাবনায় ডুবে থাকতেন।
ধীরে ধীরে এই মানসিক অবসাদ থেকে নিজের পরিবারের সাহায্যে বেরিয়ে এসেছেন। আজও অভিনেত্রীর এই ব্যাধি সারেনি তবে মানসিকভাবে তিনি এখন সম্পূর্ণ সুস্থ।