- Home
- Entertainment
- Bollywood
- বালা সাহেবকে সামনে রেখে শিবসেনাকে আক্রমণ, সোনিয়াকে খোঁচা, 'ভিখারি বনেছি', বললেন কঙ্গনা
বালা সাহেবকে সামনে রেখে শিবসেনাকে আক্রমণ, সোনিয়াকে খোঁচা, 'ভিখারি বনেছি', বললেন কঙ্গনা
- FB
- TW
- Linkdin
যার জেরে মুম্বই সরকার রীতিমত চটে যায় মহারাষ্ট্র সরকার। তাঁর মুম্বই ফেরা নিয়েও প্রতিবাদ শুরু হয় মুম্বইয়ের রাস্তা থেকে বিমানবন্দরেও।
বলিউড তারকারাও তাঁর বিরুদ্ধে টুইটারে আক্রমণ শানিয়েছেন। তবে কঙ্গনা যে দমে যাওয়ার মানুষ নন, তা নিয়ে কারও কোনও সন্দেহ নেই।
শিবসেনার প্রতিষ্ঠাতা ও প্রাধন প্রয়াত বালা সাহেব ঠাকরে এবং সনিয়া গান্ধীকে আক্রমণ করে বসলেন কঙ্গনা। নারীত্বকে হাতিয়ার করেই তীর ছুঁড়লেন তাঁদের দিকে।
বালা সাহেব ঠাকরে পুরনো একটি সাক্ষাৎকারের ভিডিও টুইটার হ্যান্ডেলে শেয়ার করেন, যেখানে তাঁকে বলতে দেখা যাচ্ছে, বালাসাহেব ঠাকরেকে তিনি আদর্শ বলে মানেন। কিন্তু, সেই বালাসাহেব ঠাকরেও এককালে আশঙ্কা করেছিলেন যে তাঁর দলের অবস্থা কংগ্রেসের মতোই হবে। এই সময়ে বেঁচে থাকলে কী মনে করতেন? সে প্রশ্নও এই টুইটে করেছেন কঙ্গনা।
সেই আশঙ্কাকে টেনে কঙ্গনা লেখেন, "মহান নেতা বালা সাহেব ঠাকরে কাছে খুব পছন্দের একজন মানুষ প্রতিমূর্তি, তাঁর এই আশঙ্কা যখন ছিল, তখন আমি জানতে চাই আজ নিজের দলের এই অবস্থা দেখলে ওনার অনুভূতি কী হত।"
বালা সাহেব ঠাকরেকে সামনে রেখে কেবল শিবসেনাকে যে আক্রমণ করেছেন তাই নয়, কংগ্রেসের সভাপতি সনিয়া গান্ধীকেও নারীত্ব নিয়ে খোচা দেন কঙ্গনা।
তিনি লেখেন, "কংগ্রেসের সভাপতি মাননীয়া সনিয়া গান্ধী, মুম্বইতে আমার প্রতি আপনার সরকারের ব্যবহার আপনাকে কি এক ফোঁটাও প্রভাবিত করেনি। আপনার কি খারাপ লাগছে না? ভারতীয় সংবিধানে মৌলিক অধিকার রক্ষার বিষয়ে আপনি কি নিজের সরকারকে অনুরোধ করতে পারছেন না?"
কঙ্গনা আরও লেখেন, "আপনি বড় হয়েছেন পশ্চিমে, থাকছেন এই দেশে। মহিলাদের লড়াইয়ের বিষয় আশা করি আপনি জানেন। ইতিহাস আপনার এই নীরব এবং নিষ্ক্রিয় থাকা মনে রাখবে। আপনার সরকার একজন মহিলাকে হেনস্তা করছে। আইন-শৃঙ্খলার বিদ্রূপ তৈরি করেছে। আশা করছি আপনি এই বিষয় চিন্তা ভাবনা করবেন।"
বালা সাহেব ঠাকরের শিবসেনাকে খোঁচা এবং সোনিয়া গান্ধীকে আক্রমণ, নিজের অফিসের প্রায় ধ্বংসাবশেষ দেখে কঙ্গনা যে রীতিমত ফুঁসছেন তা নিয়ে কোনও সন্দেহ নেই।
জানা যায়, সখের অফিসের এই অবস্থা দেখে মন খারাপও হয় অভিনেত্রীর। টুইটে লেখেন, "১৫ জানুয়ারি আমি এই অফিসটা খুলেছিলাম, যারপরই করোনা থাবা বসায়। সকলের মত আমার কাছেও কাজ ছিল না। এখন ফের অফিস সারিয়ে তোলার মত পয়সা আমার কাছে নেই। আমি অফিসের ধ্বংসবশেষগুলি নিজের কাছে সযত্নে রেখে দেব এই বিশ্বে একজন মহিলার উঠে দাঁড়াবার চিহ্ন হিসাবে।"