- Home
- Entertainment
- Bollywood
- Lata Mangeshkar a Golden Era: এক স্বর্ণযুগের ইতিহাস লতা মঙ্গেশকর, চির নিদ্রায় ভারতের নাইটেঙ্গেল
Lata Mangeshkar a Golden Era: এক স্বর্ণযুগের ইতিহাস লতা মঙ্গেশকর, চির নিদ্রায় ভারতের নাইটেঙ্গেল
ভারতের এক স্বর্ণযুগের ইতিহাস লতা মঙ্গেশকর। ভারতকে বিশ্বের দরবারে পৌঁছে দিয়ে সেরার সেরা তকমা যাঁরা ছিঁনিয় এনেছেন বারে বারে, গর্বিত করেছেন ভারতকে, তাঁদের মধ্যে অন্যতম কান্ডারি হলেন সুর সম্রাজ্ঞী লতা মঙ্গেশকর। যাঁর কণ্ঠে স্বয়ং সবস্বতীর বাস বললে খুব একটাস ভুল বলা হবে না। লতা মঙ্গেশকরের আগের নাম হেমা থাকলেও বাবার "ভাব বন্ধন" নাটকে "লতিকার" চরিত্রে প্রভাবিত হয়ে হেমার নাম বদল করে রাখা হয় লতা।
- FB
- TW
- Linkdin
লতা মঙ্গেশকরের প্রথম নাম হেমা। ১৯২৮ সালের ২৮ সেপ্টেম্বর মারাঠি পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন লতা। একটি পত্রিকার খবর অনুযায়ী তার বাবার নাম দীননাথ মঙ্গেশকর, যিনি একজন নাট্য অভিনেতা ও গায়ক ছিলেন। আগের নাম হেমা থাকলেও বাবার "ভাব বন্ধন" নাটকে "লতিকার" চরিত্রে প্রভাবিত হয়ে হেমার নাম বদল করে রাখা হয় লতা।
লতা ১৯৪৪ সালে মারাঠি ছবি 'কিটি হাসাল' এর জন্য প্রথম গান গেয়েছিলেন। তার আগে মঞ্চে উপস্থিতি দেখা যেত লতা মঙ্গেশকরের। ১৯৭৪ সালে তিনি প্রথম ভারতীয় হিসেবে রয়্যাল অ্যালবার্ট হলে সঙ্গীত পরিবেশন করেন। ১৯৮৯ সালে ভারত সরকার তাঁকে দাদাসাহেব ফালকে পুরস্কারে ভূষিত করে। লতা মঙ্গেশকরের অবদানের জন্য ২০০১ সালে তাঁর হাতে তুলে দেওয়া হয় ভারতের সর্বোচ্চ সম্মান ভারতরত্ন, এম. এস. সুব্বুলক্ষ্মীর পর এই পদক পাওয়া তিনিই দ্বিতীয় সঙ্গীতশিল্পী।
গোয়ার পরিবার মঙ্গেশি-র সঙ্গে ছন্দ মিলিয়ে মঙ্গেশকর পদবিটি গ্রহণ করেছিলেন, লতা মঙ্গেশকরের প্রথম নাম ছিল লতিকা মঙ্গেশকর। পরবর্তীতে এই নাম পাল্টে রাখা হয় লতা, লতিকা হল লতা মঙ্গেশকরের বাবার একটি পাঠের চরিত্র থেকে। পাঁচ ভাই বোনের মধ্যে লতা মঙ্গেশকরই ছিলেন সব থেকে বড়।
লতা ১৯৪৪ সালে মারাঠি ছবি 'কিটি হাসাল' এর জন্য প্রথম গান গেয়েছিলেন। তার আগে মঞ্চে উপস্থিতি দেখা যেত লতা মঙ্গেশকরের। ১৯৭৪ সালে তিনি প্রথম ভারতীয় হিসেবে রয়্যাল অ্যালবার্ট হলে সঙ্গীত পরিবেশন করেন। লতা মঙ্গেশকর (Lata Mangeshkar), এক কথায় বলতে গেলে এই নাম সিনে দুনিয়া তথা ভারতের শিল্প ও সংস্কৃতির এক স্বর্ণযুগ অধ্যায়, যেখানে পরতে-পরতে জড়িয়ে রয়েছে সুরেলা ইতিহাস (Indian History)।
ভারতকে বিশ্বের দরবারে পৌঁছে দিয়ে সেরার সেরা তকমা যাঁরা ছিঁনিয়ে এনেছেন বারে বারে, গর্বিত করেছেন ভারতকে, তাঁদের মধ্যে অন্যতম কান্ডারি হলেন সুর সম্রাজ্ঞী লতা মঙ্গেশকর (Lata Mangeshkar)। যাঁর কণ্ঠে স্বয়ং সবস্বতীর বাস বললে খুব একটা ভুল বলা হবে না। ভারতের সেই নাইটেঙ্গেল এক সময় কাজ শুরু করেছিলেন মাত্র ২৫ টাকার বিনিময়। তাঁর কণ্ঠ যা দেশের অমূল্য সম্পদে পরিণত হয়, গুণীজনদের চোখে পড়তে খুব একটা সময় নেয়নি।
এক হাজারেরও বেশি ভারতীয় ছবিতে গান করেছেন। এছাড়া ভারতের ৩৬টি আঞ্চলিক ভাষাতে ও বিদেশি ভাষায় গান গাওয়ার একমাত্র রেকর্ডটি তারই। লতা মঙ্গেশকর ১৯২৯ সালের ২৮শে সেপ্টেম্বর মধ্যপ্রদেশে জন্মগ্রহণ করেন। তার পিতা ছিলেন পণ্ডিত দীনানাথ মঙ্গেশকর, যিনি একজন মারাঠি ও কোঙ্কিণী সঙ্গীতজ্ঞ এবং মঞ্চ অভিনেতা ছিলেন। তার মা ছিলেন গুজরাতি, নাম শেবন্তী।
শৈশবে বাড়িতে থাকাকালীন কে এল সায়গল ছাড়া আর কিছু গাইবার অনুমতি ছিল না তার। তবে শুনলে অবাক হতে হয়, এই প্রবাদপ্রতীম শিল্পীর বাড়িতে ছিল না কোনও রোডিও। বয়স যখন ১৮ তখন প্রথম রেডিও কেনেন তিনি। তবে মজার গল্প হল যখন শুনলেন কে এল সায়গল প্রয়াত, তখন তিনি রেডিও ফেরত দিতে চলে গিয়েছিলেন। এভাবেই গানের সঙ্গে তাঁর পরিচয়।
মান-অভিমান ভুলে কেবল কাজ ভালোবেসে যে সব কিছুকে পেছনে ঠেলে সরিয়ে দেওয়া যায়, তেমনই শিষ্টাচার কাজের প্রতি অগাধ ভালবাসা ও শ্রদ্ধা না থাকলে খুব একটা চোখে পড়ে না। নানান কারণ বশত ফিল্মিস্থানের সঙ্গে মনোমালিন্য, যার ফলে সেখানে গান গাইতে পারবেন না লতা (Lata Mangeshkar), এমনটাই ধারনা ছিল হেমন্ত মুখোপাধ্যায়ের (Hemanta Mukherjee), এদিকে আনন্দমঠ তখন তৈরি হচ্ছে, বন্দে মাতরম গানটির জন্য একমাত্র পছন্দ লতা মঙ্গেশকরকে, কিন্তু তাঁর উত্তর জানা ছিল সকলের।
কিন্তু সকলকে অবাক করে দিয়ে তিনি রাজি হয়ে গিয়েছিলেন, টানা তিন দিনের রিহার্সল দিয়ে অবশেষে ২০ থেকে ২১ টেকে গানটি রেকর্ড করা হয়, ছিল না কোনও রাগ, ছিল না ক্লান্তি, গানকে ঠিক একটাই শ্রদ্ধা ভক্তি করেন এই শিল্পী, যা বারে বারে বিভিন্ন সুরকার থেকে গায়ক গায়িকার আত্মকথায় উঠে আসে।