বিবাহিত হওয়া সত্ত্বেও 'এক রাতের সঙ্গম', কেন এমনটা করেছিলেন নওয়াজ
বলিউড অভিনেতা নওয়াজ সিদ্দিকি। আজ তার ৪৬ তম জন্মদিন। বলিউডের যাত্রাপথ খুব একটা সুখকর ছিল না। নিজের পাঁকাতে অনেক বাঁধার সম্মুখীন হতে হয়েছিল অভিনেতাকে। কিন্তু নিজের মনের অদম্য ইচ্ছাতে কঠিন যাত্রাপথ জয় করে আজ তিনি বলিউডের সফল ও সেরা অভিনেতা। নওয়াজ নিজের ব্যক্তিগত জীবনকে সকলের সামনে নিয়ে এসেছিলেন। একদিকে কঠিন যাত্রাপথ অন্যদিকে ব্যক্তিগত জীবনের কথা বলতে নিয়ে 'ওয়ান নাইট স্ট্যান্ডের ' কথাও প্রকাশ্যে জানিয়েছিলেন অভিনেতা। কিন্তু বিবাহিত হওয়া সত্ত্বেও কেন এই 'ওয়ান নাইট স্ট্যান্ড ' করেছিলেন অভিনেতা, জানুন বিশদে।
- FB
- TW
- Linkdin
বলিউডের অন্যতম সেরা অভিনেতা নওয়াজউদ্দিন সিদ্দিকি তার জীবনীতে বলিউডের কঠিন যাত্রাপথ এবং ব্যক্তিগত জীবন সকলের সামনে তুলে ধরেছিলেন।
নওয়াজের আত্মজীবনীর সমস্তটাই লেখা রয়েছে 'অ্যান অর্ডিনারি লাইফ ' বইতে। সেই বইতে নিজের অন্তরঙ্গতার কথা জানিয়েছেন অভিনেতা।
তার লেখা বই থেকেই ওয়ান নাইট স্ট্যান্ড সম্পর্কে জানা গেছে। নিউইয়র্কে গিয়েই সেই অভিজ্ঞতার শিকার হয়েছিলেন অভিনেতা। নিজের ব্যক্তিগত জীবনকে প্রকাশ্যে এনে চূড়ান্ত অপমানিতও হয়েছিলেন নওয়াজ।
সালটা ২০০৬-২০১০। সদ্যই তখন ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রি নওয়াজকে লক্ষ করা শুরু করেছে। সেই সময়েই এক বন্ধুর সঙ্গে নিউইয়র্কের সোহোতে একটি ক্যাফেতে গিয়েছিলেন নওয়াজ।
ক্যাফেতে যাওয়ার পর সেখানকার এক ওয়েট্রেস অবাক দৃষ্টিতে নওয়াজের দিকে তাকিয়ে ছিল। তারপরই ওয়েট্রেসর প্রশ্ন আপনি কি অভিনেতা?
নওয়াজের সটান উত্তর হ্যাঁ। নওয়াজ তাকে পাল্টা জিজ্ঞাগা করেছিল আমার কোন চবি আপনি দেখেছেন? গ্যাংস অব ওয়াসিপুর? তখন সে উত্তর দেয় না না , এটা নয়, মনে করার চেষ্টা করছি।
ওয়েট্রেস কিছুক্ষণ পরই নওয়াজকে জানায় ' লাঞ্চবক্স' । তারপর সেই ওয়েট্রেসের সঙ্গে বেশ সখ্যতা জমে ওঠে বলি অভিনেতার। এবং নিউইয়র্কে থাকা নিয়ে তাদের কথাবার্তা চলতে থাকে। এবং সেই ওয়েট্রেসের সঙ্গেই ওয়াই নাইট স্ট্যান্ডের অভিজ্ঞতা হয়েছিল নওয়াজের।
এছাড়াও নওয়াজের বই থেকে তার ব্যক্তিগত জীবনের আরও অনেক কিছুই উঠে এসেছে। ব্যক্তিগত কারণের জন্য নওয়াজ আত্মহত্যা করতে চেয়েছিলেন।
অভিনেতারা যখন মীরা রোডের কাছে থাকত, তখন লোকাল ট্রেনই অভিনেতার লাইফলাইন ছিল। স্টেশনেই বেশিরভাগ সময় কাটাতেন অভিনেতা। একদিন তার ফোন আসার পর নওয়াজ স্টেশনের লাইনের দিকে তাকিয়ে ছিল, কখন ট্রেন আসবে।
আরও জানা যায়, স্টেশনে ট্রেন আসার পর ট্রেনের লাস্ট হর্ণও বেজে উঠেছে। এদিকে নওয়াজ ভাবছে ট্রেনে ঝাঁপ দিয়ে নিজের জীবনটা এখনই শেষ করে দেব। ভালবাসা নেই, টাকা নেই , কাজ নেই। জীবনে কিছুই নেই অভিনেতার। ঠিক সেই সময়েই কেউ যেন নওয়াজকে কষিয়ে থাপ্পড় মেরেছিল। এবং কেন তিনি এটা করছেন এই প্রশ্নই তাকে সেইদিন ফিরিয়ে দিয়েছিল।
তারপর ট্রেন হু হু করে চলে গেল। এবং সেইদিন থেকেই নওয়াজ ডিসিশান নেয় জীবনে কোনও সম্পর্কেই তিনি আর ইমোশনাল হবেন না। এবং নিজেও কখনও দুর্বল হয়ে পড়বেন না। এমনকী নিদের স্ত্রীর প্রতিও না।