সরোজ খানকে অশ্রাব্য ভাষায় গালিগালাজ, তাঁকে কাজ না দেওয়ার হুমকি সলমনের
সলমন খানের সঙ্গে বলিউডের বিভিন্ন ব্যক্তিত্বের সমস্যার প্রসঙ্গ তুললে সে তালিকার কোনও শেষ থাকবে কি না সন্দেহ। ঐশ্বর্য রাই বচ্চন, অভিষেক বচ্চন, বিবেক ওবেরয়, অরিজিৎ সিং সহ এই তালিকায় এক সময় ছিল সরোজ খানেরও নাম। আজ তাঁর প্রয়াণে সলমনের সঙ্গে তাঁর সাংঘাতিক সমস্যার কথা না তুললেই নয়। বলিউডে নিজের যাত্রাপথ শুরু করার সময় সলমনের সঙ্গে অজান্তেই সমস্যায় জড়িয়ে পড়েন সরোজজি। তাঁকে রীতিমত হুমকিও দিয়েছিলেন সলমন খান।
| Published : Jul 03 2020, 04:35 PM IST / Updated: Jul 03 2020, 04:39 PM IST
- FB
- TW
- Linkdin
সেই সময় সমমন খানের বলিউডের যাত্রাপথ সবেমাত্র শুরু হয়েছে। সুপারস্টার তো দূরের ব্যাপার, তারকা হিসেবেও তিনি নিজের পরিচিতি তৈরি করে উঠতে পারেননি দর্শকমহলে।
সেই সময় আন্দাজ আপনা আপনা ছবিটি এসে পড়ে তাঁর ঝুলিতে। ছবিতে ছিলেন আমির খান, রবীনা টন্ডন, করিশ্মা কাপুর, শক্তি কাপুর এবং পরেশ রাওয়াল সহ অনেকেই।
সলমন খান এবং আমির খানের স্ক্রিন স্পেস সমান সমান থাকলেও সলমনের কিছু বিষয় ছিল আপত্তি। যেমন চিত্রনাট্য অনুযায়ী, রবীনার সঙ্গে আমিরের জুটি তাঁর ব্যক্তিগতভাবে পছন্দ হয়নি।
অন্যদিকে যে বিষয়টি তিনি সবচেয়ে বেশি ঝামেলার সৃষ্টি করেন তা হল নাচের কোরিওগ্রাফি। তাঁর মতে সরোজ খান নাকি আমিরকে বেশি এবং ভাল নাচের স্টেপগুলি দিয়ে কোরিওগ্রাফ করাচ্ছেন।
সেই দিক দিয়ে সলমনের নাচের স্টেপগুলি অত্যন্ত ফ্যাকাশে। তারকা হননি তাতে কি, সলমনের মেজাজের দাপট সেই সময় এক রকম ছিল সকলের ক্ষেত্রে।
সরোজ খানের উপর ক্ষোভ উগরে দিয়ে বলেছিলেন, "আমির খানের সঙ্গে খুব বন্ধুত্ব। ওকে বেশি সুযোগ দেওয়া হচ্ছে, ওর নাচ যাতে ভাল হয় সেই চেষ্টা করছ তো তুমি।"
তিনি আরও বলেন, "আমি যখন জনপ্রিয় হয়ে যাব তখন তোমার সঙ্গে একটা কাজও করব না।" এই বলেই সরোজ খানের সঙ্গে অশ্রাব্য ভাষায় গালিগালাজ করে কথা বলেন।
আমিরের প্রতি হিংসার প্রভাব যে সরোজ খানের উপর এভাবে পড়তে পারে তা কেউই কখনও কল্পনা করেননি। সরোজজি অবশ্য মুখে কুলুপ এঁটে বসে থাকেননি। বরং তিনি এর প্রতিবাদ করেন।
তিনি বলেন, "পরিচালক তাঁকে যেভাবে নির্দেশ করেছে তিনি ততটুকুই পালন করেছেন। পরিচালকের ছবির চিত্রনাট্য অনুযায়ী যদি মনে হয়ে থাকে আমিরের নাচের দৃশ্য তোমার থেকে আলাদা হবে তাই হয়েছে।"
"তোমার যদি এতে খারাপ লেগে থাকে, আমার কিছু করণীয় নেই। রুটি-রুজি আল্লাহ দেন তুমি নও।" এই কথাটি সলমনের অহংয়ে এমনভাবে আঘাত করে যে সলমন আর মাস্টারজির দিকে মুখ ফিরিয়েও তাকাননি।
টানা কুড়ি বছর কোনও কাজ করেননি তাঁরা। পরে অবশ্য আর্থিক সমস্যায় পড়তেই সরোজজি সলমনের কাছে সাহায্যের হাত বাড়িয়েছিলেন। সেই সময় সাহায্য করেন সলমন এবং নিজের ছবিতে সোরজ খানের কোরিওগ্রাফি রাখেন।