- Home
- Entertainment
- Bollywood
- ১৭ বছর বয়সে দেহব্যবসায়, সেখান থেকে আজ বলিউডের স্টার, প্রেরণা দেওয়া এক অসামান্য কাহিনি
১৭ বছর বয়সে দেহব্যবসায়, সেখান থেকে আজ বলিউডের স্টার, প্রেরণা দেওয়া এক অসামান্য কাহিনি
| Published : Mar 15 2020, 08:05 PM IST / Updated: Dec 02 2020, 08:22 PM IST
১৭ বছর বয়সে দেহব্যবসায়, সেখান থেকে আজ বলিউডের স্টার, প্রেরণা দেওয়া এক অসামান্য কাহিনি
Share this Photo Gallery
- FB
- TW
- Linkdin
110
জন্মদাাত্রী মা-কে চোখে দেখেননি কখনও। খোঁজও পাননি তাঁর। বাবা-কে? তাও জানানে না। কথায় বলে, "আকেলি লড়কি খুলি হুই তিজোরি কি তরহা হোতি হ্যয়", এমনটাই ঘটেছিল সাগুফতার সঙ্গে।
210
একবেলা খাবার জোটে তো পরের বেলা পেট ভরানো দায়। পালিত মা-এর অর্থাভাব কষ্ঠে দুমড়ে দিত সাগুফতা-কে। শেষমেশ তিনি নেমে পড়েন দেহ ব্যবসায়। বয়স তখন মাত্র ১৭। এভাবেই টানাা ১০ বছর দেহ বেচে সংসার চালিয়েছেন তিনি। কিন্তু, অর্থ ও নিশ্চয়তা খোঁজে পাড়ি দেওয়া সাগুফতা এরপর বার-ডান্সারের পেশা বেছে নেন। কিন্তু, বার-ডান্সে নিষেধাজ্ঞা আসতেই হয়ে যান বার-সিঙ্গার। এভাবেই জীবনের মোড়ে মোড়ে তাঁর চরিত্র বদলেছেন সাগুফতা।
310
ভাবতেন এমন জীবন থেকে হয়তো আর নিস্তার নেই। রাতদিন প্রার্থনা। যদি কিছু অসম্ভব ঘটে। বার-সিঙ্গার হিসাবে কাজ করার সময় এক মনের মানুষের সঙ্গে পরিচয়। এই সম্পর্ক পুরোটাই ছিল প্লেটনিক। সাগুফতার কথায় ওই ব্যক্তির মনে হয়েছিল তাঁর ঠিকানা অন্য কোথাও, অথচ তিনি ফালতু কাজে সময় নষ্ট করছেন। ওই ব্যক্তির হাত ধরেই একদিন মহেশ ভাটের সঙ্গে পরিচয় ঘটে সাগুফতার।
410
সাগুফতার ছোট থেকে লালিত-পালিত হয়েছিলেন অভিনেত্রী আনওয়ারি বেগমের কাছে। আনওয়ারি তাঁকে দত্তক নিয়েছিলেন। কিন্তু, একটা সময় কাজের অভাবে আনওয়ারি-র আর্থিক দৈন্যতা শুরু হয়। প্রবল অর্থাকষ্ঠে জীবন কাটতে থাকে আনওয়ারি ও সাগুফতরা। এই সময় কলগার্লের পেশায় প্রবেশ ঘটেছিল সাগুফতার।
510
এমনও সময় আসে যে ভিক্ষা করতে হয়েছে সাগুফতা-কে। মহেশ ভাটের সঙ্গে পরিচয়ের পর সাগুফতা-র প্রথন ছবি ও-লমহে। মহেশ ভাট ফোন করে মোহিত সুরির সঙ্গে ছবি নিয়ে কথা বলতে বলেছিলেন। সাগুফতা জানিয়েছেন এই ফোনের দিনও তিনি বারে নাচছিলেন। মহেশ ভাট বলেছিলেন এসব ছেড়ে দিতে। সাগুফতা জানিয়েছিলেন, ঠিকঠাক কাজ না পেলে তাঁর পক্ষে এই কাজ ছাড়া সম্ভব নয়।
610
ও লমহে সিনেমার কাহিনি লেখার আগে তাঁর জীবনের ছোট-ছোট কিছু মুহূর্তকে পরবর্তী সময়ে আশিকি-টু-এর কাহিনি-তে স্থান দিয়েছিলেন। আশিকি-টু-এর নায়িকা যখন নায়কের কথায় কাজ ছাড়তে চেয়ে যে সংলাপটি বলেছিল, সেই একই সংলাপ-ই বাস্তবে মহেশ ভাট-কে বলেছিলেন সাগুফতা।
710
সাগুফতার কেরিয়ারে রয়েছে একাধিক হিট সিনেমা- ও লমহে, রাজ, মার্ডার-২, জিসম-২, জন্নত-২, রাজ-থ্রি-ডি, হামারি অধুরি কাহানি-র মতো ছবি। এছাড়াও সড়ক-২-এৎ কাহিনিও তাঁর লেখা। ২০২০ সালে মুক্তি পাওয়ার কথা এই ছবিটি-র।
810
২০১৯ সালে একটি বাংলা ছবি-ও পরিচালনা করেছিলেন সাগুফতা। ছবির নাম মন জানে না। এটি একটি অ্যাকশন থ্রিলার। বক্স অফিসে চলেনি ছবিটি। ছবির নায়িকা ছিলেন মিমি চক্রবর্তী ও যশ দাসগুপ্ত।
910
আশিকি-টু-এর কাহিনি-তে তাঁর জীবনের প্রবল প্রভাব রয়েছেে বলেই দাবি করেন সাগুফতা। তিনি জানিয়েছেন, এই ছবির কাহিনি-র পরতে পরতে ছড়িয়ে রয়েছে তাঁর অনুভূতির কথা, তাঁর জীবন সংঘর্ষের কথা।
1010
আজ বলিউডের ক্যামেরার পিছনে-র অন্যতম শক্তিশালী চরিত্র হিসাবে মানা হয় সাগুফতা-কে। তিনি যে শুধু মহেশ ভাটের সঙ্গে পরিচয়-কে ভাঙিয়ে সাফল্যের সিঁড়ি-তে ওঠেননি তা একবাক্যে সকলে স্বীকার করেন। বরং সকলেই বলেই আস্তাকুড়ে থেকে এক খাঁটি হিরে-কে খুঁজে বের করেছেন মহেশ ভাট। আর তাঁকে দিয়েছেন এক নয়া দিশা। যাতে ভেলা নিয়ে ভেসে পড়েছেন সাগুফতা। তাঁর কাহিনি সকলের কাছে প্রেরণা-র হয়ে ওঠুন এটাই প্রার্থনা।