প্রথম ডেটিংয়েই ৫ ঘন্টা সময় কাটিয়েছিলেন সানি, কীভাবে সামলেছিলেন ড্যানিয়েল
- FB
- TW
- Linkdin
একটি সাক্ষাৎকারে সানি জানিয়েছিলেন, লাস ভেগাসে এক বান্ধবীর সঙ্গে থাকতেন সানি। সেখানেই এক রোস্তোরাঁয় ড্যানিয়েলের সঙ্গে প্রথম দেখা হয়েছিল সানির।
ব্যান্ডের শো করতে গিয়ে প্রথম দেখাতেই সানির সৌন্দর্যে প্রেমে পড়ে গেছিলেন ড্যানিয়েল। সেদিন সানির কাছে এসেই তার নাম জিজ্ঞাসা করেছিল ড্যানিয়েল। এমনকী ফোন নম্বর ও ইমেল আইডি চেয়ে নেন ড্যানিয়েল।
তারপরই সানিকে নিজের মনের কথা জানান ড্যানিয়েল। কিন্তু ড্যানিয়েলের ভালবাসার কথা শুনেও সানি রাজি হননি। সানির দিক থেকে কোনওরকম সাড়াও মেলেনি।
তারপর থেকে যতবারই সানি সেই রেস্তোরাঁতে গেছে ফুলের তোড়া পেয়েছে। এবং ইমেলের পর ইমেল জমেছে সানির আইডিতে।
তারপর থেকে যতবারই সানি সেই রেস্তোরাঁতে গেছে ফুলের তোড়া পেয়েছে। এবং ইমেলের পর ইমেল জমেছে সানির আইডিতে।
যদিও সেই সময়টাতে সানি মানসিক ভাবে ভেঙে পড়েছিলেন। একদিকে মায়ের মৃত্যু অন্যদিকে সম্পর্ক বিচ্ছেদ তাকে যেন পুরোপুরি ভাবে ভেঙে দিয়েছিল।
অবশেষ সমস্ত কিছু থেকে বেরিয়ে একদিন ড্যানিয়েলের সঙ্গে ডেটে যান সানি। নিজেই বুঝতে পারছিলেন না এটা ঠিক হচ্ছে না ভুল। প্রথম দিন ডেটে গিয়েই একে অপরের সঙ্গে প্রায় ৫ ঘন্টা সময় কাটিয়েছিলেন।
তারপর থেকে ভাললাগার শুরু। তারপর থেকে একে অপরকে ফুল দেওয়া-নেওয়া চলতেই থাকে। দীর্ঘ তিন বছর ডেটিংয়ের পর ২০১১ সালে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হয়েছেন দুজনে।
সানি আরও জানিয়েছেন পুরো রীতি মেনে তারা বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হয়েছেন। এবং ঐতিহ্যকে বজায় রেখেই তারা গাটছড়া বেঁধেছেন।
প্রতিবছর জন্মদিনে অ্যাডভেঞ্চার ট্রিপ প্যাকেজ উপহার দেন ড্যানিয়েল। লকডাউনের জেরে এবছর তা আর হল না। শপিং করতে ও ঘুরতে ভীষণ ভালবাসেন সানি।
স্বামী হিসেবে ড্যানিয়েল কতটা ভাল তা সাক্ষাৎকারেই প্রকাশ করেছেন সানি। বিয়ের পর দুজনে মিলে প্রোডাকশন হাউস তৈরি করেছিলেন। এবং দুজনেই নীল ছবিতে কাজ করেছেন। তারপর নীল ছবির দুনিয়া ছেড়ে বলিউডে আত্মপ্রকাশ হয়েছে সানির। তবে সানির জীবনে ভীষণ গুরুত্ব রয়েছে ড্যানিয়েলের। স্বামীর পরামর্শ না নিয়ে তিনি কোনও ছবিতেই অভিনয় করেন না।
মা হওয়ার পর থেকেই সোশ্যাল মিডিয়ায় ছেলে-মেয়েদের নিয়েই বেশিরভাগ ছবি শেয়ার করেন। রিল লাইফের পাশাপাশি রিয়েল লাইফেরও নানা মুহূর্ত শেয়ার করে সারাক্ষণ সোশ্যাল মিডিয়ায় লাইমলাইটে থাকেন অভিনেত্রী সানি লিওন।