- Home
- Entertainment
- Bollywood
- বেঁচে থাকাটাই কঠিন হয়ে পড়েছিল বঙ্গতনয়ার, কীভাবে মুক্তি পেয়েছিলেন জটিল রোগ থেকে
বেঁচে থাকাটাই কঠিন হয়ে পড়েছিল বঙ্গতনয়ার, কীভাবে মুক্তি পেয়েছিলেন জটিল রোগ থেকে
বলিউডের মিস ইউনিভার্স তথা বাঙালি কন্যা সুস্মিতা সেন বরাবরই ফিটনেস ফ্রিক। বহু বছর আগে কঠিন রোগের শিকার হয়েছিলেন প্রাক্তন বিশ্বসুন্দরী। এতটাই অসুস্থ হয়ে পড়েছিলেন যে রীতিমতো বেঁচে থাকাটাই অনিশ্চিত হয়ে পড়েছিল অভিনেত্রীর। মহাসঙ্কটের এই দুর্দিনে ইউটিউবের একটি ভিডিওতে নিজেই সেই অসুস্থতা নিয়ে মুখ খুলেছিলেন অভিনেত্রী। কীভাবে এই জটিল রোগের হাত থেকে বেঁচে ফিরেছিলেন অভিনেত্রী জানলে অবাক হবেন।
- FB
- TW
- Linkdin
করোনা সঙ্কটের মধ্যে প্রকাশ্যে এসেছে বলিউডের মিস ইউনিভার্স তথা বাঙালি কন্যা সুস্মিতা সেনের একটি ভিডিও। ভিডিওটি নিজের জীবনের নির্মম সত্যকে তুলে ধরেছেন অভিনেত্রী।
সালটা ২০১৪। নির্বাক ছবির শ্যুটিং চলছে। হঠাৎই অসুস্থ হয়ে পড়েন সুস্মিতা সেন। বিভিন্ন রকম টেস্ট করেও কোনও সুরাহা মেলে নি।
হঠাৎই একদিন অজ্ঞান হয়ে যায় সুস্মিতা। তারপরই তড়িঘড়ি করে তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। তারপরই জানা যায়, সুস্মিতার শরীরে কর্টিসল হরমোন তৈরি হওয়াই বন্ধ করে দিয়েছে অ্যাড্রিনালিন গ্রন্থি।
সুস্মিতা ভিডিওটিতে জানিয়েছেন, অ্যাডিসন ডিজিজ রোগে আক্রান্ত হয়েছিলেন সুস্মিতা। এই রোগে নিজে থেকেই শরীরে বাসা বাধে। এই রোগের উপসর্গই হল শরীর দুর্বল হয়ে যাওয়া, খিটখিটে চরিত্র, কাজের প্রতি অনিহা, চোখের তলায় কালি পড়ে যাওয়া ইত্যাদি।
তিনি আরও জানিয়েছেন, ২০১৪ সালে এই রোগে আক্রান্ত হওয়ার পর শারীরিক ওমানসিক ভাবে বিধ্বস্ত হয়ে পড়েছিলেন সুস্মিতা। সারাদিন অবসাদ গ্রস্ত থাকতেন সুস্মিতা।
একটানা চার বছর ধরে এই মারণ রোগের সঙ্গে তিনি লড়াই চালিয়ে গেছিলেন। স্টেরয়েড নিতে নিতে আরও বেশি অসুস্থ হয়ে গেছিলেন। তারপরই সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন ঘুরে দাঁড়ানোর।
তারপর যোগার সাহায্যে এই জটিল রোগের হাত থেকে রেহাই পেয়েছিলেন অভিনেত্রী। নিজের মনকে শক্ত করে শরীরকে নতুন করে লড়ার জন্য নানচাকু যোগা শুরু করেন সুস্মিতা। ধীরে ধীরে এই যোগব্যায়ামের সাহায্যে নিজেকে আবার ছন্দে ফিরিয়ে নিয়ে আসেন অভিনেত্রী।
অ্যাড্রিনালিন গ্রন্থিও আবার কাজ করতে শুরু করেন সুস্মিতা। তারপরই স্টেরয়েড মুক্ত হন অভিনেত্রী। ২০১৯ সালের পর থেকে আরও কোনওরকম সেই রোগের উপসর্গ দেখা যায়নি সুস্মিতার শরীরে।
তাকে দেখে বোঝার উপায় নেই তিনি এতটা অসুস্থ। তার মতে, একজন মানুষ নিজের শরীরকে যতটা চেনে আর কেই তাকে বাইরে থেকে চেনে না। তাই শরীরের কথা সবার আগে শুনতে হবে। হাল ছাড়লে চলবে না। নিজের শরীরই নিজেকে যোদ্ধা তৈরি করে দেবে।
সম্প্রতি নানচাকু মেডিটেশনের একটি ছবিও পোস্ট করেছেন অভিনেত্রী। ফিটনেস ফ্রিক অভিনেত্রীর মন ভাল রাখার প্রধান রসদই হল শরীরচর্চা। তাই সবথেকে বেশি শরীরচর্চায় মন রয়েছে তার।
এখন পুরোপুরি সুস্থ তিনি। বর্তমানে বয়ফ্রেন্ড রহমানের সঙ্গে ওয়ার্ক আউট করতে তিনি কতটা স্বাচ্ছন্দ বোধ করেন তা তাদের ছবিতেই স্পষ্ট।