মৃত্যুশয্যায় মৌসুমীর মেয়ে, শেষবারের মত দেখা করতে দেয়নি অভিনেত্রীর জামাই
বছর ঘুরতেই ফের সেই বিশেষ দিন। রাত বারোটার পর থেকেই কাছের জনের শুভেচ্ছায় শুরু হয় জন্মদিন। একদিনের জন্য সকল দুঃখ, কষ্ট ভুলে আনন্দে ভরে ওঠে এই দিন। তবে এমনটা হয়তো ঘটল না মৌসুমী চট্টোপাধ্যায়ের জীবনে। গত বছর ডিসেম্বর মাসেই হারিয়েছেন মেয়ে পায়েলকে। বয়স হয়েছিল মাত্র ৪৫। এক ধরণের ডায়েবেটিক রোগী ছিলেন পায়েল। যার কারণে অত্যন্ত হাই মেডিকেশনে রাখতে হত তাঁকে। পাশাপাশি চলত মানসিক চিকিৎসাও। মেয়েকে হারানোর জন্য অভিনেত্রী আজও দায় করে যান তাঁর জামাই ডিকি সিনহাকে। তিনি বছর দুয়ের আগেই ডিকি এবং তাঁর পরিবারের প্রতি এই অভিযোগ এনেছিলেন মৌসুমী।
- FB
- TW
- Linkdin
২০১০ সালে বিয়ে হয় ডিকি এবং পায়েলের। ডিকি পেশায় একজন ব্যবসায়ী।
অল্প বয়েস থেকে পায়েল জুভেনাইল ডায়েবেটিসে ভুগতেন। ২০১৮ সাল থেকে অসুস্থতা বাড়তে থাকে।
শারীরিক অবস্থার এতটাই অবনতি হয় যে সেই সময় কোমায় চলে যান পায়েল।
তবে এর পিছনে মৌসুমী দোষারোপ করেছিলেন ডিকি এবং তাঁর পরিবারকে।
অভিনেত্রীর কথায়, ডিকি ও তাঁর পরিবার পায়েলের দেখাশোনা করেনি, হাসপাতালে ভর্তি করানো হলেও সঠিক চিকিৎসার ব্যবস্থা করেনি।
মৌসুমী যখন ডিকিকে জানান, তিনি নিজের মেয়ের দায়িত্ব নিতে চান, তাতেও আপত্তি জানায় ডিকির পরিবার।
পায়েলকে কিছুতেই ছাড়তে রাজি হননি ডিকি। উল্টে পায়েলের সমস্ত মেডিকেশন বন্ধ করে দেন তাঁর স্বামী।
জানা গিয়েছিল, মানসিক অবসাদেও ভুগতেন পায়েল। যার জন্য চলত মানসিক চিকিৎসাও। সেটাও নাকি বন্ধ করে দেয় ডিকি।
মৌসুমী, ডিকির বিরুদ্ধে মামলাও করেন। পাল্টা মানহানির মামলা করে বসেন ডিকি।
অভিনেত্রীর অভিযোগ, এই কারণের জন্যই নাকি পায়েলের শারীরিক অবস্থার আরও অবনতি হয়।