অমিতাভ নন, 'ডন' হিসেবে এই সুপারস্টাররাই ছিলেন পরিচালকের প্রথম পছন্দ
- FB
- TW
- Linkdin
অনেকেই জানলে অবাক হবেন, ডন ছবির জন্য প্রথমে অমিতাভ বচ্চনকে ভাবা হয়নি। এমনকি তিনি দ্বিতীয় বা তৃতীয় পছন্দেও ছিলেন না। তাঁর জনপ্রিয়তা সেই সময় শীর্ষে থাকলেও তাঁরও উপরে ছিলেন আরও কয়েকজন।
অমিতাভ বচ্চনকে ছাড়া ডন হিসেবে আর কাউকে ভাবাই সম্ভব নয়। বিগ বির ভক্তরা এবং সিনেপ্রেমীরা আজও ডন হিসেবে শাহরুখ খানকেও তেমন মেনে নিতে পারেন না, সেখানে অমিতাভের জায়গায় অন্য সুপারস্টারকে ভাবা তো দূরের বিষয়।
দেব আনন্দঃ অমিতাভের চেয়ে জনপ্রিয়তা তাঁর বেশ কয়েক গুণ বেশই ছিল। পরিচালক চন্দ্র বারতের প্রথম পছন্দ ছিল দেব আনন্দই। সত্তরের দশকে তাঁকে নিয়ে সিনেপ্রেমীদের মধ্যে উত্তেজনাও তুঙ্গে।
তবে পরিচালক কেনই বা দেব আনন্দকে ডনের জন্য নিশ্চিত করতে পারলেন না, তা জানা যায়নি। তবে এখানেই পরিচালক এবং প্রযোজকের লড়াই থেমে যায়নি।
ধর্মেন্দ্রঃ দেব আনন্দের নাকোচের পর তাঁরা ধর্মেন্দ্রকে ভেবেছিলেন ডনের চরিত্রে। তাঁর মত করেই চিত্রনাট্যের বেশ কিছু অংশ তৈরি হয়ে গিয়েছিল। ডনের মত ভিলেন হিসেবে ধর্মেন্দ্রকে ভআলই মানাতো বলে আশা করেছিলেন তাঁরা।
তবে জায়া যায়, অভিনেতার মনে হয়েছিল কেরিয়ারের পিক টাইমে এমন নেগেটিভ রোলের দিকে ঝুঁকতে চান না তিনি। চিত্রনাট্য নিঃসন্দেহে পছন্দ হয়েছিল। তবে বলিউড ট্যাবু আটক ফেলেছিল ধর্মেন্দ্রকে।
জিতেন্দ্রঃ ধর্মেন্দ্রের মতই জিতেন্দ্রেরও একই মত ছিল বলে সূত্র মারফত জানা যায়। সেই সময় হিরো হিসেবে দেখে আশা দর্শক নেগেটিভ চরিত্রে দর্শক তাঁদের কেমন ভাবে গ্রহণ করবে, সেই নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করেছিলেন অভিনেতারা।
তাঁরা চাননি কোনও বিতর্কে থাকতে। নেগেটিভ চরিত্রে কোনও কারণে ক্লিক করে গেলে, সেই ভিলেন হিসেবেই বলিউড তাঁদের প্রত্যেক ছবিতে চিত্রায়ন করার চেষ্টা করবে, এই ভয়তেই তাঁরা ডন ছবিটি নাকোচ করে দেন।
ছবির প্রোডাকশন শুরু হয়ে যেতে পরিচালক-প্রযোজকরা চিন্তায় পড়ে গিয়েছিলেন। সকলের পর পর রিজেকশনের পর তাঁরা ছুঁটে গিয়েছিলেন অমিতাভের কাছে।
শেষ মুহূর্তে তিনি রাজি হয়ে ব্লকবাস্টার দিলেন পরিচালককে। সিনেপ্রেমীরা প্রথমদিকে খানিক নাঁক শিটকোলেও ডন হিসেবে অমিতাভকে দেখে মুগ্ধ হয়। অমিতাভের জনপ্রিয়তা যেন নিমেষে আকাশ ছুঁয়ে ফেলল। তা দেখে হয়তো স্বাভাবিকভাবেই আফসোস করেছেন দেব আনন্দ, জিতেন্দ্র এবং ধর্মেন্দ্র।