বিয়ের তেরো বছর পরও একই প্রশ্ন, অভিষেক-ঐশ্বর্যের সম্পর্কের সবটাই কি শো অফ
দেখতে দেখতে তেরোটা বছর কেটে গেল ঐশ্বর্য রাই বচ্চন এবং অভিষেক বচ্চনের বিয়ের। ফিল্ম সেট থেকে প্রেম শুরু হতেই বিয়ের সিদ্আধন্ত নেন তাঁরা। চট মঙ্গনি পট বিহা যাক বলে তাঁদের ক্ষেত্রে এমনটাই ঘটেছিল। ২০০৭ সালের জানুয়ারি মাসে চুপিসারে বাগদান সেরেছিলেন ঐশ্বর্য-অভিষেক। কয়েক মাস কাটতে না কাটতেই এপ্রিলের ২০ তারিখেই পাপারাৎজী থেকে শতসহস্র হাত দূরে থকে বিয়ে করলেন তাঁরা। তবে তাঁদের বিয়ে কি আদৌ সুখকর, নাকি সবটাই শো অফ। এমনটাই মনে করেন বহু সিনেপ্রেমীরা।

ঐশ্বর্য অভিষেকের প্রেম এবং বিয়ে নাকি পুরোটাই আসলে শো অফ। সিনেপ্রেমীদের থিওরি অনুযায়ী, একে অপরের সঙ্গে সুখি নন সেলেব দম্পতি।
ঐশ্বর্যের ভক্তদের কথায়, ঐশ্বর্য চিরকালই অভিষেকের থেকে বেশি কাজ করেছেন, জনপ্রিয়তাও পেয়েছেন। যা অভিষেক মেনে নিতে পারেননি কখনই।
অভিষেক, ঐশ্বর্যকে বহুবার জনসমক্ষে অপমানও করেছেন। যা সংবাদমাধ্যমের ক্যামেরায় স্পষ্ট দেখা দিয়েছে।
একবার এক অনুষ্ঠানে বচ্চন পরিবারের সকলেই উপস্থিত ছিলেন। জয়া বচ্চন পাপারাৎজীর ক্যামেরায় কোনওদিনই তেমন পোজ দিয়ে ছবি তোলেননি।
অন্যদিকে অমিতাভের ছবি তোলার পরই অভিষেক-ঐশ্বর্যের ছবি তোলার পালা আসে।
সেখানে সকলের সামনেই অপমান করে বসেন ঐশ্বর্যকে। চিত্র সাংবাদিকরা ঐশ্বর্যের সোলো ছবি চাইতেই অভিষেক খানিক ক্ষুব্ধ হয়েই বললেন, এনার ছবিই নাও। বলেই গটগট করে হেঁটে বেরিয়ে গেলেন।
এরপরই ঐশ্বর্যের মুখে অপমানিত হওয়ার সেই দুঃখ ফুটে ওঠে। কোনও রকমে সেটাকে সামলে ছবিও তুললেন অভিনেত্রী।
এমন বহুবার অভিষেক ঐশ্বর্যকে অপমান করেন। সনম কাপুরের বিয়েতেও ছবি তোলা নিয়ে অভিনেত্রীকে অপমানিত হতে হয় অভিষেকের কাছে।