টিকটক ভার্সেস ইউটিভব, কনটেন্টের অভাবে সবটাই কি পাব্লিসিটি স্টান্ট
অজয় নাগর ভার্সেস আমির সিদ্দিকি। টিকটক ভার্সেস ইউটিভব। সোশ্যাল মিডিয়া খুললেই এখন এই একই প্রসঙ্গ উঠে আসছে বার বার। ক্যারিমিনাতির অজয় নাগের এবং টিকটকার আমির সিদ্দিকির একে অপরকে রোস্ট করা নিয়ে নেটদুনিয়া এখন সরগরম। অজয়ের ভিডিওটি ইউটিউব থেকে ডিলিট হয়ে যাওয়ার পর টিকটক হেটারসরা আরও খেপে উঠেছে। টিকটকের বিরুদ্ধে পিটিশনও সই করানো হচ্ছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। প্লেস্টোরে গিয়ে কীভাবে টিকটককে রিপোর্ট করা যায় সেই পোস্টও ঘুরে ফিরে বেড়াচ্ছে সোশ্যাল মিডিয়ার আনাচে কানাচে।
- FB
- TW
- Linkdin
তবে এই টিকটক ভার্সেস ইউটিউবের মধ্যে যে সমস্যা সৃষ্টি হয়েছে এই নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে একাংশ নেটিজেনরা।
তাদের প্রশ্ন আদৌ কি ইউটিউবার এবং টিকটকের মধ্যে কোনও ঝামেলার সৃষ্টি হয়েছে নাকি সবটাই বানানো।
চলতি ট্রেন্ডে যাকে বলে পাব্লিসিটি স্টান্ট। আর এই সমস্যা লকডাউনের মাঝেই কেন সৃষ্টি হল।
টিকটক নিয়ে আগেও নান মিম এবং মজার ভিডিও তৈরি হয়েছে। টিকটকার নিয়ে ঠাট্টা করা হয়েছে।
তবে কোনও ঝগড়া কখনও এত নজর কাড়েনি সাধারণ মানুষের। এবারে তো নেটদুনিয়া দুভাগে বিভক্ত হয়ে গিয়েছে।
টিকটককে প্লেস্টোর থেকে ব্যান করে দেওয়ার জন্য পিটিশন সাইন করানো হচ্ছে সোশ্যাল মিডিয়ায়।
এই সমস্যা এতটাই গুরুতর যে তরুণ প্রজন্ম সবরকম প্রসঙ্গ ছেড়ে টিকটক ভার্সেস ইউটিউবে নিয়ে মাতামাতি করছে।
যারা নিউট্রাল দল, অর্থাৎ যারা এই বিষয়টিকে পাব্লিসিটি স্টান্ট বলে দাবি করছে তারা একটি গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্ট তুলে ধরেছে।
তাদের মতে, লকডাউনে ইউটিউবার এবং টিকটকার সকলের কাছে কনটেন্টের অভাব হয়ে পড়েছে।
তাই এমন একটি ঝগড়া সৃষ্টি করলে তরুণ প্রজন্ম তা তাড়িয়ে তাড়িয়ে খাবে এবং বিষয়টি নিয়েই লকডাউনে পড়ে থাকবে।