দীপিকার Cleavage বিতর্ক, নিমেষে গর্জে উঠেছিলেন নিম্ন মানসিকতার বিরুদ্ধে
- FB
- TW
- Linkdin
এমনকি ভিডিওতে জুম ইন করা হয়েছিল তাঁর বক্ষবিভাজিকায়। সেই নিয়ে খবর তৈরি করে শিরোনামে জ্বলজ্বল করছে 'দীপিকার ক্লিভেজ' শব্দগুলি।
কোনও অভিনেত্রীকে নিয়ে এমন শিরোনাম ও খবর তৈরি করা সাধারণত নামকরা সংবাদ পত্রিকার কাজ নয়।
তবে এই ধরণের সাংবাদিকতা কিংবা যাকে বলে ইয়েলো জার্নালিজম সর্বত্রই দেখা যায় এখন।
তবে সর্বত্র দেখা গেলেই যে সেই বিষয়টিকে মেনে নিতে হবে তার কোনও অর্থ নেই। গর্জে উঠেছিলেন দীপিকা।
তাঁকে নিয়ে এমন খবর তৈরি হতেই তিনি ক্ষোভ উগরে দিয়ে বলেছিলেন, "হ্যাঁ আমি নারী আর আমার স্তান আছে এবং আমার ক্লিভেজও আছে।"
"যা অত্যন্ত স্বাভাবিক। আপনাদের তাতে কোনও সমস্যা আছে। নারী ক্ষমতায়নের ব্যাপারে কথা বলার সাহস কীকরে হয় যখন নারীদের ন্যূনতম সম্মান করতে জানেন না।"
দীপিকার সম্বন্ধে এমন মন্তব্য করেই সাংঘাতিক সমালোচনার মুখে পড়তে হয় সেই সংবাদমাধ্যমকে। দীপিকা অবশ্য সেই মুহূর্তে খবরটির বিরুদ্ধে মুখ খোলেননি।
তাঁর ছবি ফাইন্ডিং ফ্যানি মুক্তি পাওয়ার কথা ছিল ২০১৪ সালে। ছবির প্রচার চালকালীন এই পুরনো খবরটি নিয়ে টুইটারে সরব হন দীপিকা পাডুকোন।
সেই নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিল নেটিজেনরা। কেন এক বছর পর এর বিরোধীতা করেছিলেন দীপিকা। সেই সময় কেন মুখ খোলেননি অভিনেত্রী।
দীপিকাকে সেই সংবাদমাধ্যম 'হিপোক্রিট'র তকমা দিয়েছিল। ফাইন্ডিং ফ্যানির প্রচারের জন্যই নাকি এমন কাজ করেছিলেন তিনি বলে দাবি ছিল তাদের।
দীর্ঘদিন চলেছিল সেই বিতর্ক। পরবর্তীকালে আর এক সাক্ষাৎকারে একজন সাংবাদিক দীপিকাকে প্রশ্ন করেন, "এই ছোট বিষয়টি নিয়ে বিতর্কের সৃষ্টি কেন করছেন?"
তাতে আরও চটেছিলেন 'মস্তানি'। সেই সাংবাদিকের উপর জনসমক্ষে চিৎকার করে উঠে বলেছিলেন, "আপনি একজন মহিলা হয়ে বলছেন বিষয়টি ছোট্ট একটা ঘটনা ছিল।" দীপিকার এই বিতর্ক আজও বলিউড বিতর্কের ইতিহাসের পাতায় স্পষ্ট।