কে এই 'গুঞ্জন সাক্সেনা', জেনে নিন কার্গিল গার্ল-এর ইতিহাস
- FB
- TW
- Linkdin
পা মাটিতে থাকলেও চোখ ছিল আকাশে। এটাই ছিল তার জীবনের চলার পথের মূল মন্ত্র। ভারতের বায়ুসেনার প্রথম মহিলা পাইলট, যিনি ১৯৯৯ সালে কারগিলের যুদ্ধক্ষেত্রে প্রবেশ করেছিলেন।
ফ্লাইট লেফটেন্যান্ট গুঞ্জন সাক্সেনার উত্তরপ্রদেশের সেনা পরিবারেই জন্ম । ছোট্টবেলা থেকে একটাই স্বপ্ন আকাশে ওড়ার। তার বাবা বাদাউনের বাসিন্দা এবং মা এটাওয়ার মেয়ে। বাবার চাকরিরসূত্রে ছোট থেকেই এক জায়গা থেকে আর এক জায়গায় ঘুরে বেরিয়েছেন গুঞ্জন।
বাবা অবসর গ্রহণের পর থেকেই লখনউতেই থাকা শুরু করেন। তারপর থেকেই চাকরির জন্য প্রস্তুতি নিতে শুরু করেছেন গুঞ্জন। ১৯৯৬ সালে ভারতীয় বায়ুসেনায় নিযুক্ত হন তিনি।
বর্তমানে বারাণসীতে থাকেন গুঞ্জন। তার স্বামীও একজন সেনা অফিসার। একটি মেয়েও রয়েছে গুঞ্জনের। সেই কারণে আপাতত বারাণসীতেই রয়েছেন তাঁর বাবা-মাও। প্রতিটি মেয়ের কাছেই গুঞ্জন একটা অনুপ্রেরণা।
কর্মসূত্রে তিনি যখন বায়ুসেনায় নিযুক্ত হয়েছিলেন, তখন সেনাবাহিনীতে মহিলাদের নিযুক্তি খুবই কমই ছিল।
১৯৯৯ সালের মে মাসে গুঞ্জনকে উধমপুরে পোস্টিং দেওয়া হয়েছে। কিছুদিনের জন্য ওর সঙ্গে যোগাযোগ করা যাবে না বলে বাড়িতে জানায় গুঞ্জন। পরে বাড়ির লোক সকলেই বুঝতে পারে যে গুঞ্জন যুদ্ধক্ষেত্রে রয়েছে।
দিল্লির হিংসরাজ কলেজ থেকে স্নাতক পাশ করার পর গুঞ্জন সফদরজঙে ন্যাশনাল ক্যাডেট কর্পস ও দিল্লি ফ্লাইং ক্লাবে যোগ দেন। প্রশিক্ষণের সময় জম্মু ও কাশ্মীরের দ্রাসে দীর্ঘ সময় থাকার কারণে সেখানকার পরিবেশ পরিস্থিতি সম্পর্কে আরও ভালো করে অবহিত ছিলেন গুঞ্জন।
বয়স মাত্র ২৪। কারগিল যুদ্ধের সময় গুঞ্জনকে দায়িত্ব দেওয়া হয় যে তিনি কো-পাইলট ফ্লাইট লেফটেন্যান্ট শ্রীবিদ্যা রাজনকে সঙ্গে নিয়ে চিতা হেলিকপ্টারে করে জওয়ানদের ও যুদ্ধের সামগ্রী প্রায় ১৮,০০০ ফিট উচ্চতায় পৌঁছে দেবেন। আবার সেখান থেকেও জখম জওয়ানদেরকে উদ্ধার করে হেলিকপ্টার নিয়ে চলে তার সংগ্রাম।
কার্গিল অভিযানের সময় অল্পের জন্য মিসাইল হামলা থেকে বাঁচে গুঞ্জন। কার্গিল যুদ্ধ শেষের ৭ বছর পর অবসর গ্রহণ করেন গুঞ্জন।
আজই তার কাহিনি আসতে চলেছে রূপোলি পর্দায়। গোটা বিশ্বের সামনে তুলে ধরা হবে তার সেই জার্নিকে। গুঞ্জনের বায়োপিকে নিজেকে প্রমাণ করতে দীর্ঘ পরিশ্রম করেছেন জাহ্নবী কাপুর। বাস্তবে কার্গিল গালকে রূপোলি পর্দায় কতটা বাস্তবায়িত করতে পারলেন জাহ্নবী, সেটাই দেখার।