- Home
- World News
- International News
- বাজারে আসার আগেই চাহিদা তুঙ্গে, না পাওয়া যাওয়ার ভয়ে আগেই ৯ কোটি ভ্যাকসিন কিনে নিল ব্রিটেন
বাজারে আসার আগেই চাহিদা তুঙ্গে, না পাওয়া যাওয়ার ভয়ে আগেই ৯ কোটি ভ্যাকসিন কিনে নিল ব্রিটেন
গাছে কাঁঠাল গোফে তেল দেওয়ার মতোই অবস্থা ব্রিটেনের। এখনো তৈরী হয়নি করোনা ভ্যাকসিন। কিন্তু বিভিন্ন ফার্মাসিউটিক্যাল কোম্পানির সঙ্গে চুক্তির মাধ্যমে সম্ভাব্য করোনাভাইরাস ভ্যাকসিনের ৯ কোটি ডোজের প্রাপ্তি নিশ্চিত করে ফেলেছে ব্রিটেন। প্রয়োজনে ভ্যাকসিন উৎপাদনের জন্য অর্থের যোগানেরও দায়িত্ব নিচ্ছে ব্রিটিশ সরকার। এসব ভ্যাকসিনগুলি অবশ্য ইতোমধ্যেই ট্রায়ালের বিভিন্ন পর্যায়ে রয়েছে।
- FB
- TW
- Linkdin
ব্রিটেনে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা প্রায় ৩ লক্ষ ছুঁই ছুঁই। এখনও পর্যন্ত মারা গিয়েছেন ৪৫ হাজারের বেশি। এই অবস্থায় ভ্যাকসিন আবিষ্কার হলেই যাতে দ্রুত তা পাওয়া যায় এজন্য ব্যবস্থা করে রাখল ব্রিটিশ সরকার। ভ্যাকসিন পেতে ইতিমধ্যে বায়োটেক কোম্পানী বায়োএনটেক, ফাইজার ও ভালনেভা’র সাথে চুক্তি করেছে বরিস জনসনের সরকার।
ইতিমধ্যে ৯ কোটি ভ্যাকসিনের যোগান নিশ্চিত করেছে ব্রিটিশ সরকার। এরমধ্যে তিন কোটি ডোজই নেওয়া হবে বায়োএনটেক এবং ফাইজারের থেকে। এই বিষয়ে ব্রিটিশ সরকারের সঙ্গে প্রথম চুক্তিই হয়েছে এই দু’টি প্রতিষ্ঠানের। তাদের তৈরি ভ্যাকসিনটি বর্তমানে ট্রায়ালের দ্বিতীয় পর্যায়ে রয়েছে।
দ্বিতীয় চুক্তি হয়েছে বায়োটেক কোম্পানি ভালনেভার সঙ্গে। তাদের থেকে প্রাথমিকভাবে ৬ কোটি ডোজ সংগ্রহ হবে। এবং সেই ডোজ নিরাপদ প্রমাণিত হলে আরও ৪ কোটি ডোজ নেওয়ার বিষয়ে ব্রিটিশ সরকারের সঙ্গে নীতিগত সমঝোতা হয়েছে।
স্কটল্যান্ডের লিভিংস্টোনে একটি ফ্যাক্টরি রয়েছে ভালনেভার। সেখানে চলছে তাদের ভ্যাকসিন তৈরির কাজ। এটির ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালে অর্থ যোগানেরও পরিকল্পনা রয়েছে ব্রিটিশ সরকারের। সেক্ষেত্রে প্রতিষ্ঠানটিকে ব্রিটেনসহ গোটা বিশ্বের জন্যে ১০ কোটি ডোজ তৈরির অনুমতি দেওয়া হতে পারে।
ফার্মাসিউটিক্যাল জায়ান্ট অ্যাস্ট্রাজেনেকার সঙ্গে ব্রিটেনের হয়েছে তৃতীয় চুক্তি। এই প্রতিষ্ঠানটির কাছ থেকে অ্যান্টিবডি চিকিৎসার প্রায় ১০ লাখ ডোজ নেবে সরকার। যাদের ভ্যাকসিন দেয়া সম্ভব নয়, তাদের জন্য এসব ডোজ ব্যবহার করা হবে।
অক্সফোর্ড ইউনিভার্সিটি ও অ্যাস্ট্রাজেনেকার তৈরি ভ্যাকসিনটির ব্যাপারেও আগ্রহী ব্রিটিশ সরকার। অক্সফোর্ডের তৈরি ভ্যাকসিনটি গত মে মাসেই তৃতীয় ধাপের ট্রায়ালে প্রবেশ করেছে।
এছাড়া, ইম্পেরিয়াল কলেজ লন্ডনের তৈরি একটি এমআরএনএ ভ্যাকসিনও রয়েছে বরিস জনসনের সরকারের বিবেচনায়। গত জুনেই এটির মানবদেহে ট্রায়াল শুরু হয়েছে।
বর্তমানে করোনা মহামারীর থেকে রক্ষা পেতে বিশ্বজুড়ে ১৫০টি ভ্যাকসিনের পরীক্ষা ও ট্রায়াল চলছে। এদের মধ্যে অক্সফোর্ডের ভ্যাকসিনটিকে নিয়ে ক্রমেই আশার আলো উজ্জ্বল হচ্ছে।