- Home
- World News
- International News
- কোভিডে মস্তিষ্কের বয়স বেড়ে যেতে পারে ১০ বছর, কাদের ক্ষেত্রে ভয় সবচেয়ে বেশি
কোভিডে মস্তিষ্কের বয়স বেড়ে যেতে পারে ১০ বছর, কাদের ক্ষেত্রে ভয় সবচেয়ে বেশি
- FB
- TW
- Linkdin
ইম্পেরিয়াল কলেজ লন্ডন-এর চিকিত্সক অ্যাডাম হ্যাম্পশায়ার এই গবেষণার নেতৃত্বে দিয়েছেন। ৮৪,০০০ জনেরও বেশি রোগীকে নিয়ে তাঁরা গবেষণা করে দেখেছেন সংক্রমণের মাত্রা যেইসব ক্ষেত্রে গুরুতর, সেইসব রোগীর ক্ষেত্রে করোনাভাইরাস সংক্রমণের কারণে দীর্ঘ কয়েক মাস পর্যন্ত কগনিটিভ ডেফিসিয়েন্সি বা জ্ঞানগত ঘাটতির দেখা দিতে পারে। উপসর্গমুক্ত হয়ে যাওয়ার পরও রোগীদের উল্লেখযোগ্য জ্ঞানগত ঘাটতি দেখা যাচ্ছে বলে তাঁরা গবেষণাপত্রে জানিয়েছেন।
অক্ষর-শব্দ মনে রাখা কিংবা কোনও ধাঁধার সমাধান করার মতো জ্ঞানগত পরীক্ষাগুলির মাধ্যমে মস্তিষ্কের কার্যক্ষমতা পরীক্ষা করা হয়। আলঝাইমার্স-এর মতো রোগের ক্ষেত্রে মস্তিষ্কের কার্যকারিতা মূল্যায়নের জন্য এই পরীক্ষাগুলি ব্যাপকভাবে ব্যবহার করা হয়। অস্থায়ীভাবে মস্তিষ্কের দুর্বলতাও এই পরীক্ষাগুলির মাধ্যমেই ধরতে পারেন ডাক্তাররা। ৮৪,২৮৫ জন কোভিড জয়ীর ক্ষেত্রে এই ধরণের পরীক্ষাগুলি করেছে অ্যাডাম হ্যাম্পশায়ারের গবেষক দল।
যেসব কোভিড-১৯ আক্রান্তদের হাসপাতালে ভর্তি করতে হয়েছে তাদের মধ্যেই জ্ঞানীয় ঘাটতি 'যথেষ্ট পরিমাণে' দেখা গিয়েছে বলে উঠে এসেছে এই গবেষণায়। গবেষকদের দাবি গোটা বিশ্বেই ২০ থেকে ৭০ বছর বয়সীদের মধ্যে যাদের কোভিড-১৯ সংক্রমণের পরিমাণ বাড়াবাড়ি পর্যায়ের হচ্ছে, তাদের ক্ষেত্রে মস্তিষ্কের বয়স গড়ে ১০ বছর বেড়ে যাচ্ছে। অর্থাৎ মস্তিষ্কের কার্যক্ষমতা ১০ বছর কমে যাচ্ছে।
এই গবেষণার সঙ্গে জড়িত না থাকা অন্যান্য গবেষকরা ফলাফলগুলি সতর্কতার সঙ্গে বিচার করার পরামর্শ দিয়েছেন। অনেকের মতেই এই ফলাফলগুলি দীর্ঘমেয়াদী না হওয়ার সম্ভাবনাই বেশি। মানুষের জ্ঞানের উপর করোনার প্রভাব স্বল্পমেয়াদী বলেই মনে করছেন তাঁরা। কোনও কোনও গবেষক উল্লেখ করেছেন, কোভিডের আগে এই ব্যক্তিদের জ্ঞানগত পরীক্ষা করা হয়নি তাই, কোভিডের আগে এবং পরের তুলনা করা যায়নি। তাই এই গবেষণার ফলাফল পুরোপুরি নির্ভরযোগ্য নয়।
তারপরেও মস্তিষ্কে কোভিডের প্রভাব সম্পর্কে এই গবেষণা যথেষ্ট উদ্বেগজনক বলে মেনে নিচ্ছেন সকলেই। তবে কোভিডের দীর্ঘমেয়াদী প্রভাবকে আরও ভালভাবে বুঝতে গেলে সংক্রমণের কয়েক সপ্তাহ এবং কয়েক মাস পরে জ্ঞানের উপর কী প্রভাব পড়ছে তা খতিয়ে দেখার পরামর্শ উঠে এসেছে। মস্তিস্কের ক্রিয়ায় স্থায়ী ক্ষতির বিষয়ে আরও অনুসন্ধান ও গবেষণার প্রয়োজনিয়তার উপর জোর দেওয়া হচ্ছে।