- Home
- World News
- International News
- টবের আড়ালে ধরা পড়েছিল লেডি ডায়নার অর্ধনগ্ন প্রেমিক, ফাঁস ব্রিটিশ রাজ পরিবারের কেচ্ছা
টবের আড়ালে ধরা পড়েছিল লেডি ডায়নার অর্ধনগ্ন প্রেমিক, ফাঁস ব্রিটিশ রাজ পরিবারের কেচ্ছা
- FB
- TW
- Linkdin
অর্ধ বা পুরো নগ্ন লোকেদের দৌড়াদৌড়ি
কেনসিংটন প্যালেসের কর্মীরা জানিয়েছেন প্রাসাদে সবসময়ই কোনও না কোনও অর্ধ নগ্ন বা পুরো নগ্ন লোকেদের দৌড়াদৌড়ি লেগেই থাকত। কখনও রাজপরিবারের কোনও গুরুত্বপূর্ণ সদস্য, কখনও তাদের অবৈধ প্রেমিক বা প্রেমিকা আবার কখনও বা স্বয়ং রানির কোনও বৃদ্ধ আত্মীয় যিনি হয়ত অন্তর্বাস পরা অবস্থায় বাইরে আসতেই তার ঘরের দরজা কোনওভাবে বনব্ধ হয়ে গিয়েছে।
ব্যভিচারের প্রতিযোগিতায় মেতেছিলেন রানীর বোন
প্রথমেই বলা যাক প্রিন্সেস মার্গারেট, অর্থাৎ বর্তমান ইংলন্ডেশ্বরী রানি এলিজাবেথের ছোট বোন-এর কথা। তিনি বিভিন্ন অবৈধ পুরুষ ও মহিলার সঙ্গে যৌন সম্পর্ক স্থাপন করে রসিয়ে রসিয়ে সেইসব ব্যভিচারের কাহিনি শোনাতেন তাঁর স্বামী লর্ড স্নোডেন-কে বলে জানিয়েছেন তাঁর এক পরিচারক। সেই নিয়ে তুমুল ঝামেলা হত তাঁদের। প্রতিশোধ নিতে অন্য মহিলার সঙ্গে যৌন সম্পর্ক স্থাপন করতেন লর্ড স্নোডেন। দুজনের মধ্যে এই নিয়ে প্রতিয়োগিতা চলত বলে জানিয়েছেন প্রিন্সেস মার্গারেটের এক পরিচারক। এমনকী একবার প্রিন্সেস মার্গারেট লর্ড স্নোডেন-এর এক পুরুষ বন্ধুর সঙ্গে যৌনতা করার পর, ইচ্ছাকৃতভাবে লর্জ স্নোডেনও তার সঙ্গে সমকামী যৌনতায় মেতেছিলেন। ওই পরিচারক জানিয়েছেন প্রিন্সেস মার্গারেট কারোর তোয়াক্কা করতেন না, যা করতেন দরজা-জানলা খুলে করতেন। কে কী দেখল, কার কানে কী গেল গায়েই মাখতেন না। রানীর বোনের মুখ থেকে অশ্লীল শব্দ শোনা এক অদ্ভূত অভিজ্ঞতা ছিল বলে জানিয়েছে সে।
মদ্যপ, বোহেমিয়ান জীবন, ভ্রান্তির জীবন
১৯৭৮ সালে এই দম্পতির বিবাহবিচ্ছেদের পরে, ৪৩ বছর বয়সী প্রিন্সেস মার্গারেট-এর সম্পর্ক তৈরি হয়েছিল ২৫ বছরের রডি লেভলিন-এর সঙ্গে। একটি বিলাসবহুল অ্যাপার্টমেন্টে তাঁরা থাকতেন, সেটি তাঁর বোহেমিয়ান বন্ধুদের, এবং স্নোডনের সূত্রে আলাপ হওয়া বিভিন্ন শিল্পীদের আড্ডার ঠেক হয়ে উঠেছিল। সেখানে রাজকন্যা দিন কাটাতেন অবিরাম আনন্দে। তাদের ছদ্ম প্রশংসা ও প্রচুর মদ্যপানের ফলে রানীর বোন নিজেকেও প্রতিভাবান শিল্পী ভাবতেন। একবার এক পার্টিতে প্রচুর মদ্যপান করে প্রিন্সেস গান গাইতে গিয়েছিলেন। এমনিতে তিনি জঘন্য গাইলেও সকলে ভালো বলতো, কিন্তু, সেইদিন এমনই বেসুরো গেয়েছিলেন যে সবাই বিস্ময়ে বিহ্বল হয়ে পড়েছিলেন। তাতে মার্গারেটের মুখ রাগে লাল হয়ে গিয়েছিল।
শুনেও না শোনার ভান
এবার আসা যাক একবিংশ শতাব্দীতে যে মহিলার ছবি সবচেয়ে বেশি তোলা হয়েছিল সেই লেডি ডায়না-র কথায়। ১৯৮১ সালে প্রিন্স চার্লস এবং লেডি ডায়না স্পেন্সার বিয়ে করে কেনসিংটন প্যালেসের একটি বিশাল অ্যাপার্টমেন্টে উঠেছিলেন। কেনসিংটনের এক প্রাক্তন কর্মচারীর মতে একেবারে প্রথম দিন থেকেই দুজনের মতানৈক্য শুরু হয়েছিল। তাদের বলা হয়েছিল, সব কিছু শুনেও না শোনার ভান করে থাকতে। তাদের ঝগরা থামলে তবে তাঁরা ঘরে প্রবেশ করতেন।
নির্মাণকর্মীদের সামনে নগ্ন ডায়ানা
তবে ১৯৯২ সালে প্রিন্স চার্লস প্রাসাদ ছাড়ার পর থেকেই তিনি দারুণভাবে উপভোগ করেছিলেন প্রাসাদ। মাঝেমধ্যে তিনি পোশাক ছাড়াই বেড়িয়ে পরতেন, খেয়াল রাখতে পারতেন না কোথায় আছেন। একবার ওই অবস্থাতেই তিনি হঠাৎ মুখোমুখি হয়ে গিয়েছিলেন দুই নির্মাণ কর্মীর। ডায়ানা পোশাক নিতে দৌড়বার আগেই অবশ্য তারা চোখ নামিয়ে ঘুরে চলে গিয়েছিল।
লজ্জায় দৌড় লাগাতেন ঘরে
তবে প্রাসাদের অভ্যন্তরে থাকাকালীন লেডি ডায়ানা মনে করতেন কেউ তাঁকে দেখতে পাবে না। তাই অনেক সময় নগ্ন হয়েই বা অত্যন্ত স্বল্পবাসে তিনি রোদ পোয়াতেন। এমনকী কোনও হেলিকপ্টার প্রাসাদের উপর দিয়ে উড়ে গেলে তিনি তাদের দিকে আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে হাত-ও নাড়তেন। প্রাসাদের কর্মীরা তাঁকে মনে করিয়ে দিতেন, অনেক হেলিকপ্টারেই উচ্চমানের বাইনোকুলার থাকে। তাই যে কেউ তাঁকে ওই অবস্থায় দেখে ফেলতে পারে। তখন তিনি লজ্জায় ঘরে দৌড় লাগাতেন।
টবের পিছনে অর্ধনগ্ন হয়ে লুকিয়ে
কেনসিংটন প্যালেসেই ডায়ানার অনেক প্রেমের কাহিনি বিকশিত হয়েছিল। এর মধ্যে পুরোনো 'ইটোনিয়ান' শিল্পের ব্যবসায়ী অলিভার হোয়ার-এর জন্য একেবারে পাগল পাগল দশা হয়েছিল তাঁর। সেই সময় মোবাইল নেই, তাই তিনি প্রাসাদের মধ্যে ছদ্মবেশে ঘুরে বেড়াতেন, টেলিফোন বক্স খুঁজে খুঁজে দিনে অন্তত তাকে কয়েকশ ফোন করার জন্য। একবার কেনসিংটন প্যালেসের একটি করিডোরের একটি গাছের টবের পিছনে অর্ধনগ্ন হয়ে লুকিয়ে থাকা অবস্থায় ধরা পড়েছিলেন হোয়ার।
ডায়ানার শেষ প্রেমিক
ডায়ানার শেষ সম্পর্ক ছিল ডোডি ফায়েদ-এর সঙ্গে। কিন্তু প্রাসাদের পরিচারকরা তাঁকে পছন্দ করত না। কারণ তাঁর নিজের সম্পর্কে উচ্চ ধারণা ছিল, মাঝে মধ্য়েই পরিচারকদের সঙ্গে খারাপ ব্যবহার করতেন। তার হয়ে ক্ষমা চাইতেন ডায়ানা। একবার, একটি করিডোর ধরে হাঁটতে হাঁটতে আয়নায় নিজেকে বিভিন্নভাবে দেখতে দেখতে তিনি পা পিছলে পড়ে গিয়েছিলেন। সেই নিয়ে বহুদিন পর্যন্ত প্রাসাদের কর্মীরা হাসাহাসি করেছিল।
হিংসুটে রাজ বধূ মেগান মর্কেল
এবার আশা যাক বর্তমান সময়ে। বাইরে থেকে লেডি ডায়ানার মতো মেগান মর্কেল জনসাধারণের মধ্যে মিশতে চাইলেও রাজ পরিবারের সদস্য হয়ে তাঁর মাথা অনেকটাই ঘুরে গিয়েছে বলে মত দিয়েছেন কেনসিংটন প্যালেসের কর্মীরা। তাঁদের বরং প্রিন্স উইলিয়ামের স্ত্রী অনেক মাটির মানুষ। তাঁদের মতে রাজ পরিবারে বিয়ে হলেও তাঁর প্রিন্স হ্যারি যে রাজা হওয়ার দৌড়ে নেই, এই বিষয়টি নিয়ে খচখচানি ছিল মেগাানের মনে। একেবারে শুরু থেকেই প্রিন্স উইলিয়াম ও লেডি কেট-এর অ্যাপার্টমেন্ট তাঁদের গ্রাউন্ড ফ্লেরের অ্যাপার্টমেন্ট থেকে অনেক ছোট বলে অভিযোগ করেছেন তিনি। সেই সঙ্গে কেট-এর এক পরিচারকের সঙ্গে বিশ্রীভাবে চেচামেচিও করেন। সেই থেকেই দুই রাজ পরিবারের দুই বউ-এর সম্পর্কে বিরাট ফাটল দেখা দিয়েছে।