গ্র্যাজুয়েশন শেষে কোন খাতে বইবে কেরিয়ার, রইল তার সুলুক সন্ধান
গ্র্যাজুয়েশন শেষ কোন বিষয়ে কেরিয়ার তৈরি করবেন এই নিয়ে অনেকেই সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে পারেন না। অনেকে আবার মনে করেন এমন কোনও বিষয় কেরিয়ার গড়তে হবে যেখানে আগামী দিনে আয়ের পথও প্রসস্থ হবে। সেই রকমই ১০ টি কেরিয়ার অপশন রইল আপনাদের জন্য।
- FB
- TW
- Linkdin
আপনার কী গ্র্যাজুয়েশন (Graduation) শেষ হয়ে গেছে...আর গ্র্যাজুয়েশন (Graduation) শেষের পর কোন পথে কেরিয়ারকে (career) এগিয়ে নিয়ে যাবেন সেই নিয়ে চিন্তিত...চাকরি খুঁজছেন (Job) অথচ সেটাও পাচ্ছেন না...এই রকম পরিস্থিতিতে আপনি কিন্তু কখনই ভেঙে পড়বেন না। কারন আজকের দিনে গ্রাজুয়েশন শেষ করার পর উপার্জনের (Income) অনেক পথ খোলা রয়েছে। আপনি এই একই সমস্যায় ভুক্তভোগী হয়ে থাকেন তাহলে জেনে নিন গ্র্যাজুয়েশন (Graduation) শেষের পর আপনি কোন পথে নিজের কেরিয়ার গড়তে পারেন এবং সেই সঙ্গে আয়ের (Income) পথও মসৃণ করতে পারেন।
গ্রাজুয়েশন শেষের পর আপনি অনায়াসেই জুয়েলারির ডিজাইন নিয়ে পড়াশুনা করু করতে পারেন। আজকের দিনে জুয়েলারি ডিজাইন অত্যন্ত জনপ্রিয় একটি কেরিয়ার অপশনের তালিকায় উঠে এসেছে। এই জুয়েলারি ডিজাইনের জন্য বিভিন্ন জায়গায় প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়। সেখান থেকে সার্টিফিকেট পাওয়ার পর অনেক নামী দামী সংস্থা তাদের জুয়েলারি ইউনিক ডিজাইনের জন্য প্রকৃত ডিজাইনারের খোঁজ করে থাকেন। এছাড়াও জুয়েলারি ডিজাইন শিখলে আপনি নিজেও একটি ব্যবসা শুরু করতে পারেন। দিল্লির এনআইএফটিতে আন্ডার গ্রাজুয়েট ডিগ্রি কোর্স এবং মুম্বইয়ের SNDT মহিলা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এই কোর্স করার সুযোগ রয়েছে। এই কোর্স শেষে চাকরি পেলে মাসিক ১৫ থেকে ২৫ হাজার টাকা পর্যন্ত উপার্জনের সুযোগ রয়েছে।
চীনের পর ভারতই একমাত্র দেশ, যেখানে লেদারের জিনিসের প্রোজাকশনের হার সবচেয়ে বেশী। প্রয় ১৩ শতাংশ পর্যন্ত লেদারের জুতোর প্রোডাকশন হয় ভারত থেকে। কেও যদি এই ইন্ডাস্ট্রির সঙ্গে যুক্ত হতে চান তাহলে ফিনিশড প্রোডাক্টের ওপর কাজ থেকে ডিজাইন, প্রোডাকশন আর মার্কেটিং-এর কাজ শেখার সুযোগ পাবেন। নয়ডার আন্ডার গ্রাজুয়েট কোর্স ফুটওয়্যার ডিজাইন অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট ইন্সটিটিউট এবং উত্তরপ্রদেশের সেন্ট্রাল ফুটওয়্যার ট্রেনিং ইন্সটিটিউট থেকে ডিপ্লোমা করার সুযোগ পেয়ে যাবেন। আগামী দিনে এই সেক্টরে চাকরি করতে চাইলে মাসিক ২০ হাজার থেকে ৩০ হাজার টাকা আয়ের সুযোগ পেয়ে যাবেন।
আজরের দিনে ফুড টেকনোলজির চাহিদা অত্যন্ত বেশী। এটি মূলত বৈজ্ঞানিক পদ্ধতিতে করা ফ্রুড প্রসেসিং। এই পদ্ধতি পড়ুয়াদের শেখানো হয় কীভাবে সঠিক পদ্ধতিতে খাবারকে সংরক্ষণ করা যায়। উল্লেখ্য, এটি সম্পূর্ণ বৈজ্ঞানিক পদ্ধতি। আর এই প্রশিক্ষণ নেওয়ার জন্য নয়ডার অ্যামিটি ইউনিভার্সিটিতে বিশেষ কোর্স করানো হয়। এই কোর্স করার পর আপনি অনায়াসেই ২৫ হাজার থেকে ৪০ হাজার পর্যন্ত আয়ের সুযোগ পাওয়া যায়।
আপনার যদি গার্মেন্টস নিয়ে পড়াশুনায় উৎসাহ থাকে তাহলে গ্রাজুয়েশন শেষের পর এই বিষয়টি নিয়েই চর্চা করুন। এই পর্যায়ে আপনি গার্মেন্টস তৈরি, প্যাটার্ন তৈরি, প্রোডাকশন এক্সিকিউটিভ, কোয়ালিটি কনট্রোল এক্সজিকিউটিভ হিসাবে নিজের কেরিয়ার গড়ার সুবর্ণ সুযোগ পেয়ে যাবেন। দিল্লি আর কলকাতার এনআইএফটি থেকে কোর্স করে মাসে প্রায় ২০ হাজার থেকে ৪০ হাজার পর্যন্ত আয়ের সুযোগ পেতে পারেন।
হ্যান্ডক্রাফ্টের ক্ষেত্রে ভারত একেবারে শীর্ষ স্থানে রয়েছে। আজকের দিনে হ্যান্ডক্রাপ্টের চাহিদাও বেড়েছে প্রচুর। তাই আপনি যদি হ্যান্ডক্রাফ্ট নিয়ে নিজের কেরিয়ারে এগিয়ে যেতে চান তাহলে একটা উজ্জ্বল ভবিষ্যতও অপেক্ষা করছে আপনার জন্য। এর জন্য আপনি ইচ্ছে হলে হ্যান্ডলুম অ্যান্ড টেকনোলজি নিয়ে ৩ বছরের ডিপ্লোমা কোর্স করতে পারেন। আবার এক বছরের ক্লোদিং অ্যান্ড ফ্যাশন টেকনোলজি বা ফেব্রিক ফার্মিং টেকনোলজি নিয়ে পড়াশুনা করতে পারেন। কুন্নুড় ও কেরালা, জয়পুরে এই বিষয়ে ডিপ্লোমা কোর্স করানো হয়। ১৫ হাজার থেকে ২৫ হাজার পর্যন্ত উপার্জনের সুযোগ পাবেন।
ফার্মাকিউটিক্যালস কোর্সে যারা নিজেদের কেরিয়ার গড়তে ইচ্ছুক তাঁদের রিসার্চ, ইন্ডাস্ট্রিয়াল ফার্মাসি, রিটেল ফার্মাসি ও হসপিটাল ফার্মাসি নিয়ে পড়ানো হয়। পাঞ্জাব ইউনিভার্সিটি ও ইন্দোরের দেবী আহিলা ইউনিভার্সিটিতে এই কোর্স করানো হয়। কোর্স শেষে চাকরি পেলে ২৫ হাজার থেকে ৪০ হাজার পর্যন্ত উপার্জনের সুযোগ রয়েছে।
টুরিজিম অ্যান্ড হসপিটালিটি সেক্টের আজকের দিনে চাকরির প্রচুর সুযোগ রয়েছে। ইয়ং জেনারেশনও এই ইন্ডাস্ট্রির প্রতি একটা বিশেষ ঝোঁক রয়েছে। রেস্তোরা থেকে হোটেল ও ট্রাভেল এজেন্টের চাকরির প্রচুর সুযোগ রয়েছে। মনিপাল ইউনিভার্সিটি থেকে টুরিজিম অ্যান্ড হসপিটালিটি-তে মাস্টার ডিগ্রি করার সুযোগ রয়েছে। এছাড়াও দিল্লির অ্যামিটি ইউনিভার্সিটিতেও রয়েছে এই কোর্সের সুযোগ। কোর্স শেষে মাসিক উপার্জনের হার ২০ হাজার থেকে ৪০ হাজার।
আমাদের দেশে আইটি -তে সফল ছাত্রছাত্রীদের বিদেশে বিশেষ চাহিদা রয়েছে। কম্পিউটার তৈরি, হার্ডওয়্যার ও সফ্টওয়্যারের সমস্যা দূর করার মত বিষয়গুলোই আইটি প্রফেশনালদের প্রধান কাজ। আপনি যদি নিজেকে একজন সফল আইটি-র স্টুডেন্ট হিসাবে দেখতে চান তাহলে দিল্লির জামিয়া মিলিয়া ইসলামিয়া থেকে পড়াশুনা করুন। এছাড়াও নয়ডার অ্যাপটেক থেকে আইটি-র কোর্স করতে পারেন। তারপর মাসিক ২৫ হাজার থেকে ৩৫ হাজার টাকা কামানোর সুযোগ পান।
গ্রাজুয়েশন শেষ হওয়ার পরই নয়, মাধ্যমিক দিয়েও অটোমোবাইল ইঞ্জিয়ারিং নিয়ে পড়ার সুযোগ রয়েছে। বিভিন্ন কলেজে অটোমোবাইল ইঞ্জিয়ারিং নিয়ে পোস্ট গ্রাজুয়েট ডিপ্লোমা কোর্স করানো হয়। চেন্নাইয়ের আন্না ইউনিভার্সিটি ও দিল্লি টেকনোলজি ইউনিভার্সিটিতে এই কোর্স করানো হয়। মাসে ২০ হাজার থেকে ৪৫ হাজার টাকা পর্যন্ত আয়ের সুযোগ রয়েছে।
গ্রাজুয়েশন বা ব্য়াচেলার ডিগ্রি পাওয়ার পর সেলস অফিসার হিসাবে কাজ শুরু করতে পারেন। এরপর এমবিএ নিয়ে পড়াশুনা করে ম্যামেজমেন্ট ট্রেনি থেকে আগামী দিনে এড়িয়া ম্যানেজারের পোস্টে কাজের সুযোগ পাবেন। নিউ দিল্লির ম্যানেজমেন্ট ইন্সটিটিউট থেকে এই কোর্স করতে পারেন। মাসে ২৫ হাজার থেকে ৬০ হাজার পর্যন্ত আয়ের সুযোগ রয়েছে।