- Home
- Business News
- Other Business
- Infosys Journey-ইনফোসিসের ইতিকথা,স্টার্টআপ কোম্পানি থেকে আইটি সেক্টরের আইকন হয়ে ওঠার কাহিনি
Infosys Journey-ইনফোসিসের ইতিকথা,স্টার্টআপ কোম্পানি থেকে আইটি সেক্টরের আইকন হয়ে ওঠার কাহিনি
১৯৮১ সাল থেকে স্টার্টআপ সংস্থা হিসাবে ইনফোসিসের জার্নি শুরু হয়। মাত্র ১০ হাজার টাকার বিনিয়োগে ইনফোসিস কনসালটেন্ট নামে স্টার্টাপ সংস্থা হিসাবে মার্কেটে আত্মপ্রকাশ করে। ইনফোসিসের উন্নতির গ্রাফ উর্ধ্বমুখী হতে শুরু করে ১৯৯৩ সাল থেকে।
- FB
- TW
- Linkdin
ভারতে স্টার্টআপ সংস্থাগুলোর গ্রোথ উত্তরোত্তর বৃদ্ধি পাচ্ছে। ভারতের বুকে এই রকমই একটি স্টার্ট সংস্থা ছিল ইফসোসিস কনসালটেন্ট, আজ গোটা বিশ্ব যাকে একনামে ইনফোসিস বলে চেনে। আসুন আজ জেনে নি একটা স্টার্টআপ সংস্থা থেকে কর্পোরেট জগতে ইনফোসিসের ইতিকথা। ১৯৮১ সাল থেকে স্টার্টআপ সংস্থা হিসাবে ইনফোসিসের জার্নি শুরু হয়। মাত্র ১০ হাজার টাকার বিনিয়োগে ইনফোসিস কনসালটেন্ট নামে স্টার্টাপ সংস্থা হিসাবে মার্কেটে আত্মপ্রকাশ করে। সুধা মুর্থে তাঁর স্বামীকে এই টাকাটা দিয়েছিলেন।
প্রাথমিকভাবে এই সংস্থাতে ছিল একটা ছোট্ট অফিস রুম। সুধা মুর্থের বাড়ির সামনের ঘরটা ছিল অফিস রুম। আর রেজিস্ট্রার্ড অফিস ছিল রাঘবনের বাড়ি। ১৯৮৩ সাল পর্যন্ত এই সংস্থাতে কোনও কম্পিউটার ছিল না। কারণ সেই সময় কম্পিউটার কেনার মত সামর্থ ছিল না সংস্থার। প্রায় দুবছর সময় লেগে গিয়েছিল একটা কম্পিউটার কিনতে। কম্পিউটারের সেই মডেলটা ছিল Data General 32-bit MV8000
কর্পোরেট জগত বা আইটি সেক্টর যেটাই হোক না কেন, এক নামে আজ বিশ্বের দরবারে পরিচিত ইনফোসিস। কিন্তু ইনফোসিস হল মূলত সংস্থার শর্ট ফর্ম। ইনফোসিসের পুরো কথাটা হল ইনফরমেশন সিস্টেম। ইনফোসিস হল পরবর্তী প্রজন্মের ১৮৭ হাজার কর্মীদের উদ্দেশ্যে ডিজিটাল সার্ভিসের পরিষেবা প্রদান করার লক্ষ্যে এগিয়ে যাওয়া একটি সংস্থা। ইনফোসিসের প্রতিষ্ঠতা এন.আর নারায়ন মুর্থে, নন্দন নীলকানি, এস.ডি শিবুলাল, কৃষ গোপালাকৃষ্ণাণ, অশোক অরোরা, এন.সি রাঘবন এবং কে. দীনেশ।
পাওয়ার্ড বাই ইনটেলেক্ট, ড্রাইভেন বাই ভ্যালুস- এটাই হল ইনফোসিসের বেসিক ট্যাগলাইন ভ্যালু। এটি মূলত পুনরায় যোগাযোগ স্থাপনের ওপর ফোকাস করে। সংস্থার তরফে বিভিন্ন সময় বিভিন্ন রকমের প্রচারমূলক স্লোগান ব্যবহার করা হয়ে থাকে।
বিশিষ্ট কর্পোরেট সংস্থা বা আইটি সেক্টর ইনফোসিস ১টি ফান্ডিং রাউন্ডে মোট 200 মিলিয়ন ডলার তহবিল সংগ্রহ করেছে।
ইনফোসিসের উন্নতির গ্রাফ উর্ধ্বমুখী হতে শুরু করে ১৯৯৩ সাল থেকে। এটি সম্ভব হয়েছে শুধুমাত্র ব্যবসায় মাথাপিছু আয় বৃদ্ধি করার এবং সংস্থাকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য বিনিয়োগের প্রতি আকর্ষণ তৈরি করার ক্ষমতা ছিল।
২০২২ সালের মধ্যে স্থানীয় মার্কিন কর্মচারী নিয়োগ করার পরিকল্পনা রয়েছে ইনফোসিসের। বিশেষত, প্রযুক্তি জগতের
অভিজ্ঞ পেশাদার কর্মী ও নামী শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের স্নাতকদের নিয়োগের দিকে বিশেষ নজর দেওয়া হবে। উল্লেখ্য, H-1B ভিসার উপর তাদের নির্ভরতা কমাতে এই পদক্ষেপ নেওয়া হবে। এটি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে স্থানীয় নিয়োগ বাড়ানোর একটি কৌশল ছাড়া আর কিছুই নয়।
ইনফোসিসের বিজনেস মডেল একেবারে আদর্শ। প্রাথমিকভাবে এই সংস্থা শুধুমাত্র ইউরোপ আর মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের পারফরমেন্সের গ্লোবাল ডেলিভারি মডেলের ওপরই জোড় দিয়েছিল। ১৯৯০ সাল থেকে ইনফোসিস ফোকাস করে ব্যাঙ্কিং আর ফিন্যান্সিয়াল সার্ভিসেসের ওপর, ম্যানুফ্যাকচরিং, অ্যাপলিকেশন ডেভেলপমেন্ট, মেইন্টেনস এবং টেস্টিং-র ওপর। এই সবের সমন্বয়েই আজ আই টি জগতের আইকন ইনফোসিস।
প্রথমবার ইনফোসিসের মার্কেট ৭ ট্রিলিয়নে পৌঁছেছে। ভারতের সবচেয়ে পুরনো ও বৃহত্তম সফ্টওয়্যার কোম্পানি হল ইনফোসিস। এই সংস্থার শেয়ার ভ্যালু ৭১ শতাংশ। আর এই শেয়ার ভ্যালুর ভিত্তিতে ভারতীয় কোম্পানি হিসাবে চতুর্থ স্থানে উঠে এসে রেকর্ড গড়েছে ইনফোসিস।
আইটি সেক্টের ইনফোসিসের প্রতিযোগী হিসাবে উঠে উল্লেখযোগ্য, টিসিএস, উইপ্রো এবং এইচসিএল। টিসিএস-ও আইটি জগতের একটি নামজাদা কোম্পানি। ১৯৬৮ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল টিসিএস। এই সংস্থার হেডকোয়াটার রয়েছে মুম্বই, মহারাষ্ট্র আর ভারতে। টিএসএসের সঙ্গে আইটি জগতের আরও একটি নামী কোম্পানী হল উইপ্রো। এই সংস্থার হেডকোয়াটার রয়েছে বেঙ্গালুরু, কর্ণাটক আর ভারতে। এই সংস্থার প্রতিষ্ঠতা দিবস ১৯৪৫ সাল। ইনফোসিসের তৃতীয় প্রতিযোগী এইটসিএল। এই সংস্থার হেডকোয়াটার আছে নয়ডা, উত্তরপ্রদেশ আর ভারতে।