- Home
- Business News
- Other Business
- মাসের শুরুতেই ফের বাড়ল ভর্তুকিহীন রান্নার গ্যাসের দাম, লাগাতার ৩ বার কোপ মধ্যবিত্তের হেঁশেলে
মাসের শুরুতেই ফের বাড়ল ভর্তুকিহীন রান্নার গ্যাসের দাম, লাগাতার ৩ বার কোপ মধ্যবিত্তের হেঁশেলে
- FB
- TW
- Linkdin
ফের মাসের শুরুতেই একধাক্কায় বাড়ল রান্নার গ্যাসের দাম। জুন মাস পড়তে না পড়তেই ভর্তুকিহীন রান্নার গ্যাসের দাম ৩২ টাকা করে বেড়েছিল। তারপর পয়লা জুলাইও বেড়েছিল রান্নার গ্যাসের দাম। ১৪.২ কেজি এলপিজি সিলিন্ডারের দাম বেড়ে দাঁড়িয়েছিল ৬২০ টাকা ৫০ পয়সা।
আজ ১ লা আগস্ট রান্নার গ্যাস আবারও ৫০ পয়সা করে বেড়ে গেল। নতুন গ্যাসের দাম বেড়ে দাঁড়াল ৬২১ টাকা।
আজ থেকেই নয়া দাম কার্যকর হয়েছে। গত জুন মাসে মেট্রো শহরগুলিতে রান্নার গ্যাসের দাম একধাক্কায় ৩০ টাকা বেড়ে গিয়েছিল। তখন কলকাতাতেও সিলিন্ডারের দাম বেড়েছিল সাড়ে ৩১ টাকা করে।
গত মাসেও তা একই ছিল। ভর্তুকীহীন রান্নার গ্যাসের দাম বেড়ে হয়েছিল ৬২০ টাকা ৫০ পয়সা। ১ লা আগস্ট অর্থাৎ আজ থেকেই নতুন গ্যাসের দাম বেড়ে দাঁড়াল ৬২১ টাকা।
করোনার পরিস্থিতিতে দেশে অর্থনৈতিক সঙ্কট বেড়ে যাওয়ার ফলেই জ্বালানি তেল ও রান্নার গ্যাস দাম এত বৃদ্বি পাচ্ছে। যার ফলে নাভিশ্বাস উঠছে মধ্যবিত্তদের।
একধাক্কায় এতটা দাম বাড়াতে মধ্যবিত্তের হেঁশেলে আগুন। একদিকে লকডাউন, কাজ হারিয়েছে বহু মানুষ তার উফর যেহারে বাড়ছে গ্যাসের দাম তাতে সমস্যা আগামীদিনে আরও বাড়বে।
তবে গ্রাহকরা আগস্ট মাসে ১৪.২ কেজি এলপিজি সিলিন্ডার কিনতে ভর্তুকি বাবদ কত টাকা ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে ঢুকবে তাও জানানো হয়নি।
২০২০ সালের মে মাস থেকেই ব্যাঙ্কে আসছে না ভতুর্কির টাকা। পরপর একটানা ৩ মাস সেই ভর্তুকির টাকা কারোরই ব্যাঙ্কে ঢোকেনি। গ্যাসের ভতুর্কি নিয়েই এবার বড় সিদ্ধান্ত নিয়েছে কেন্দ্র সরকার, আর যার ফলেই ব্যাঙ্কে ঢোকা বন্ধ হয়েছে ভর্তুকির।
১২টি গ্যাসের জন্য ভর্তুকি দেয় কেন্দ্রীয় সরকার। ভর্তুকিবিহীন দামেই গ্যাস সিলিন্ডার কেনেন গাহকরা। পরে ভর্তুকির টাকা সরাসরি ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে চলে যায় গ্রাহকদের। তবে বারোটার বেশি সিলিন্ডারের প্রয়োজন হলে তা বাজারের মূল্যেই কিনতে হয় তখন আর কোনও ভর্তুকি পান না গ্রাহকরা।
লকডাউনের মধ্যে দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধির বাজারে এই দাম বেড়ে আবারও চিন্তার ভাঁজ পড়ল মধ্যবিত্তের কপালে। সব্জি, মাংসের দাম হু হু করে বেড়েই যাচ্ছে। তার উপর আবার রান্নার গ্যাসের দাম। উর্ধ্বমুখী দামের কথা শুনেই মাথায় হাত পড়ছে। মাসের প্রথম দিন থেকেই আবারও চিন্তার ভাঁজ মধ্যবিত্তের কপালে।