- Home
- Business News
- Other Business
- বড়লোক হওয়ার দৌড়ে এবার আদানি হারিয়ে দিলেন আমাজন কর্তা থেকে শুরু করে মুকেশকে, জানুন তাঁর সম্পত্তির হিসাব
বড়লোক হওয়ার দৌড়ে এবার আদানি হারিয়ে দিলেন আমাজন কর্তা থেকে শুরু করে মুকেশকে, জানুন তাঁর সম্পত্তির হিসাব
- FB
- TW
- Linkdin
বহুদিন আগেই আদানি ধনী শিল্পপতিদের তালিতায় স্থান পেয়েছেন। তিনি আগেই টেক্কা দিয়েছেন আম্বানিকে। ভারতের ধনকুবের হিসেবে সব সময়ই খবরে থাকেন মুকেশ আম্বানী। তাঁদের জীবনযাত্রা সব সময় নজর কাড়ে সাধারণ মানুষের। তাদের বিলাশবহুল জীবনের খুঁটি নাটি জানতে সাধারণের মধ্যে আগ্রহ সব সময়ই বর্তমান। সেই আম্বানিতে সম্প্রতি টেক্কা দিলেন গৌতম আদানি।
গত বছর আম্বানিদের মোট সম্পত্তির ২৪ শতাংশ বেড়েছে। তাঁদের তেল, নেটওয়ার্ক, রিল্যান্সের অন্যান্য ব্যবসা মিলিয়ে সম্পত্তি যা ছিল তার থেকে ২৪ শতাংশ বেড়ে হয়েছিল ১০ হাজার ৩০০ কোটি ডলার। কিন্তু, সেই ধন সম্পত্তির হিসেবকেও টেক্কা দিয়েছে আদানি গ্রুপস। সম্প্রতি, প্রকাশিত হওয়া এমন খবর নজর কেড়েছে সকলের।
রিপোর্ট বলছে, বর্তমানে গৌতম আদানি আট হাজার ১০০ কোটি ডলারের মালিক। ভারতীয় মুদ্রায় যার মূল্য ৬ লক্ষ ১৬ হাজার কোটি টাকা। বন্দর ও বিদ্যুৎ শিল্প সংস্থা আদামি গ্রুপের বর্তমান সম্পত্তি অনেক আগেই টেক্কা দিয়েছে আম্বানিতে। গত বছর তিনি বিশ্বের ধনী ব্যক্তিদের মধ্যে দ্বিতীয় স্থানে ছিলেন।
জানা গিয়েছে, শেষ ১০ বছরের ব্যবসার দিক দিয়ে মুনাফার মুখ দেখছেন গৌতম আদানি। ১০ বছরে আদানির সম্পত্তি বেড়েছে ১ হাজার ৮৩০ শতাংশ। সেখানে আম্বানির সম্পত্তি বেড়েছিল ৪০০ শতাংশ। সম্প্রতি, একটি বেসরকারি সংস্থার পক্ষ থেকে একটি গবেষণা করা হয়। যেখানে জানা গিয়েছে এমন তথ্য।
সদ্য প্রকাশিত হওযা পরিসংখ্যান বলছে, এখন সকলকে টেক্কা দিয়ে এগিয়ে আছেন গৌতম আদানি। গত এক বছরে এইচসিএল সংস্থাক শিব নাদারের সম্পত্তি ২ হাজার ৮০০ কোটি ডলার বেড়েছে। সেরাম ইনস্টিটিউটের সাইরাস পুনাওয়ালার সম্পত্তি বেড়েছে ২ হাজার ৬০০ কোটি ডলার। ইস্পাতা শিল্পপতি লক্ষ্মী মিত্তলের সম্পত্তি বেড়েছে ২ হাজার ৫০০ কোটি ডলার। সেখানে গৌতম আদানির সম্পত্তি বেড়েছে।
এখানেই শেষ নয়, গত ১ বছরে আদানির যে পরিমাণ সম্পত্তি বেড়েছে, সেই পরিমাণ সম্পত্তি বৃদ্ধি হয়নি ধনকুবের জেফ বেজোসেরও। জানা গিয়েছে, বিশ্বের ধ্বনী ব্যক্তিদের মধ্যে দ্বিতীয় স্থানে আছেন জেফ বেজোসেফ। তাঁর মোট সম্পত্তির পরিমাণ ৩.৭৪ বিলিয়ন ডলার কমেছে এবং তার মোট সম্পদের পরিমাণ বর্তমানে ১৬৬ বিলিয়ন। সেখানে গত বছর আম্বানিদের মোট সম্পত্তির ২৪ শতাংশ বেড়েছে।
ইলন মাস্কের মোট সম্পদ এথন ২০০ বিলিয়ন ডলার। তিনি এখন বিশ্বের সব থেকে ধনী ব্যক্তি। ব্লুমবার্গ বিলিয়নেয়ার্স ইনডেক্স অনুসারে, ১৫ মার্চ ২০২২-এ মাস্কের সম্পত্তির মোট মূল্য ১৯৯ বিলিয়ন ডলার। দ্বিতীয় স্থানে আছেন জেফ বেজোসেফ। তাঁর মোট সম্পত্তির পরিমাণ ৩.৭৪ বিলিয়ন ডলার কমেছে এবং তার মোট সম্পদের পরিমাণ বর্তমানে ১৬৬ বিলিয়ন।
ব্লুমবার্গ বিলিয়নেয়ার্স ইনডেক্স অনুসারে, তৃতীয় স্থানে বার্নার্ড আর্লল্ট। লুইস ভিট্ট, মোয়েট, হেননেসে, ফেন্ডি, গিভেনচি ও স্ক্রিস্টিয়ান ডায়রের মালিক তিনি। ১০ ধন কুবের মধ্যে ৮ জনই আমেরিকিন। বিল গ্রেটস রয়েছেন চতুর্থ স্থানে। পঞ্চম স্থানে আছে ওয়ারেন বাফেট। ল্যারি পেজ আছেন ষষ্ঠ স্থানে। সপ্তম স্থানে স্টিভ বলমান।
ব্লুমবার্গ বিলিয়নেয়ার্স ইনডেক্স অনুসারে, ধনী ব্যক্তিদের তালিকায় নবম স্থানে আছে ল্যারি এলিসন। তিনি ওরাকল কর্পোরেশনেক অন্যতম সহ প্রতিষ্ঠাতা। শীর্ষ ১০ ধনীর তালিকায় নেই মার্ক জুকারবার্গ। তাঁর বর্তমান সম্পত্তি ৭১.১ বিলিয়ন। তাই তিনি প্রথম ১০ জনের তালিকায় এখনও স্থান পাননি। গবেষণা বলছে, তিনি রয়েছে ১৩ নম্বর স্থানে। জানা গিয়েছে, গত বছরের তুলনায় এবছর তাঁর সম্পত্তি বৃদ্ধির বদলে কমে গিয়েছে।
পরিসংখ্যান যাই বলুক, ভারতে ধ্বনি ব্যক্তিদের মধ্যে গৌতম আদানি যে সকলের নজর কেড়েছে তা বলার অপেক্ষা রাখে না। গত ১ বছরে তাঁর যে পরিমাণ সম্পত্তি বেড়েছে তা তেমনভাবে কোনও শিল্পপতির বৃদ্ধি হয়নি। সে কারণে, খবরে শীর্ষে এলেন গৌতম আদানি। বহুদিন আগেই আদানি ধনী শিল্পপতিদের তালিতায় স্থান পেয়েছেন। তিনি আগেই টেক্কা দিয়েছেন আম্বানিকে।