- Home
- Business News
- Other Business
- কোটি কোটি টাকার মালিক রাকেশ ঝুনঝুনওয়ালা, ভারতের ৩৬তম ধনী ব্যক্তি শেয়ার মার্কেটের বিগবুল
কোটি কোটি টাকার মালিক রাকেশ ঝুনঝুনওয়ালা, ভারতের ৩৬তম ধনী ব্যক্তি শেয়ার মার্কেটের বিগবুল
- FB
- TW
- Linkdin
ফোর্বসের তালিকায় দালাল স্ট্রিটের মুকুটহীন সম্রাট রাশেক ঝুনঝুনওয়ালা ২০২১ সালে ভারতের ২১তম ধনীর তালিকায় ছিলেন। বিশ্ব ধনীর তালিকায় তাঁর স্থান ছিল ৪৩৮তম। ফোর্বসের সর্বশেষ আপডেট অনুযায়ী তাঁর মোট সম্পত্তির পরিমাণ ৪১০০০ কোটি টাকারও বেশি।
১০ অগাস্ট ২০২২ সাল পর্যন্ত রাশেক ঝুনঝুনওয়ালার সম্পদের মূল্য ছিল ৩০,৬৫৪ কোটি টাকা। তিনি বেশ কিছু চলচ্চিত্রে বিনিয়োগ করেছিলেন। ১৯৮৫ সাল থেকে শেয়ার মার্কেটে যাতাযাত শুরু করেছিলেন তিনি। মৃত্যুর আগে পর্যন্ত তা অব্যাহত ছিল।
রাকেশ ঝুনঝুনওয়ালা বিয়ে করে রেখাকে। তিনিও শেয়ার মার্কেটের পরিচিত নাম। বিয়ের ১৭ বছর পরে এক কন্যার জন্য হয়। তাঁর নাম নিষ্ঠা। তার পাঁচ বছর পর দুই যমজ পুত্র আর্যমান এবং আর্যবীর জন্মগ্রহণ করেন। রাকেশ ঝুনঝুনওয়ালার বড় ভাই রাজেশ একজন চার্টার্ড অ্যাকাউন্ট্যান্ট। এ ছাড়া রাকেশ ঝুনঝুনওয়ালারও দুই বোন আছে। রাকেশ ঝুনঝুনওয়ালাও পেশায় চার্টার্ড অ্যাকাউন্ট্যান্ট। কিন্তু শেয়ার মার্কেট সম্পর্কে তাঁর পাণ্ডিত্যই অন্যদের তুলনায় তাঁকে এগিয়ে দিয়েছে। কোন শেয়ারে সাফল্য আসবে তা তিনি অনেকটা চোখ বুজেই বলে দিতে পারতেন।
রাকেশ ঝুনঝুনওয়ালা মাত্র ৩ বছরে শেয়ারে টাকা লগ্নি করে কোটি টাকা লাভ করেছেন। তারপর, তিনি অনেক কোম্পানির শেয়ার ক্রয় করেন এবং প্রচুর লাভ করেন। কিন্তু টাটার টাইটান কোম্পানির শেয়ারের সাহায্যে তিনি হয়ে ওঠেন বিগ বুল। তিনি ২০০৩ সালে টাটা গ্রুপের কোম্পানি টাইটানে অর্থ বিনিয়োগ করেছিলেন এবং সেই সময়ে তিনি ৬ কোটি শেয়ার কিনেছিলেন। যার মূল্য বেড়ে হয়েছে ৭০০০ কোটি টাকারও বেশি।
১৯৬০ সালের ৫ জুলাই হায়দরাবাদে জন্মগ্রহণ করেন রাকেশ ঝুনঝুনওয়ালা। বড়ো হন মুম্বইতে। সিডেনহাম কলেজ থেকে স্নাতক হন। তারপরই চাটার্ড অ্যাকাউন্ট্যান্সস ইনস্টিটিউটে ভর্তি হন। তাঁর স্ত্রী রেখা। যিনিও দালাল স্ট্রিটের পরিচিত নাম। শেয়ার মার্কেটের ওঠা-পড়া চুম্বকের মতই টেনেছিল রাকেশ ঝুনঝুনওয়ালাকে। হাত খালি হলেও বাবার অনুমতি নিয়েই শেয়ার মার্কেটে পা রাখেন তিনি। তবে মাত্র পাঁচ হাজার টাকাই ছিল তাঁর সম্বল। সালটা ১৯৮৫। পাঁচ হাজার টাকা বিনিময় টাটা-টির শেয়ার কিনেছিলেন। সেই সময় প্রতিটি শেয়ারের দাম ছিল ৪৩। এক বছরের মধ্যেই বিশাল লাভের মুখ দেখেন তিনি। স্টকটির দাম বেড়ে হয় ১৪৩ টাকা। তিন বছর পরে ওই শেয়ার থেকেই তিনি লাখপতি হয়ে যান। কারণ সেই সময় শেয়ারের মূল্য ছিল ২০-২৫ লক্ষ টাকা।