- Home
- West Bengal
- West Bengal News
- দিলীপের প্রেস্টিজ ফাইট থেকে জুনের তারকা দ্যুতি - দেখে নিন প্রথম দফা ভোটের সেরা ৫ লড়াই
দিলীপের প্রেস্টিজ ফাইট থেকে জুনের তারকা দ্যুতি - দেখে নিন প্রথম দফা ভোটের সেরা ৫ লড়াই
- FB
- TW
- Linkdin
প্রথম পর্বের নির্বাচনে এবার সবার নজর পুরুলিয়ার দিকে। বর্তমানে বাংলায় যে পদ্মের উত্থান, তার শুরুটা হয়েছিল এই জেলা কেন্দ্র থেকেই। ২০১৬ সালের নির্বাচনে তৃণমূলের জ্যোতি প্রসাদ সিং দেও-কে পরাজিত করে কংগ্রেসের টিকিটে বিধায়ক হয়েছিলেন সুদীপ মুখোপাধ্য়ায়। সম্প্রতি বিজেপিতে যোগ দিয়ে এবার তিনি পদ্মের চিহ্ন নিয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। এবার কংগ্রেস প্রার্থী পার্থপ্রতিম বন্দ্যোপাধ্য়ায়। আর তৃণমূল টিকিট দিয়েছে সুজয় বন্দ্যোপাধ্যায়কে। ২০১৬ সালে, কংগ্রেস পেয়েছিল ৪৪.৫৮ শতাংশ ভোট, তৃণমূল ৪১.৮৯ শতাংশ এবং বিজেপি পেয়েছিল 6.৯৯ শতাংশ ভোট। ২০১৯-এ কিন্তু, এই কেন্দ্রে এগিয়ে ছিল বিজেপি। এবার হবে ত্রিমুখী লড়াই।
এই কেন্দ্রে ২০১৬ সালের বিধানসভা নির্বাচনে সিপিআই প্রার্থী সন্তোষ রানাকে ৩২ হাজারের বেশি ভোটের ব্যবধানে পরাজিত করেছিলেন তৃণমূলের মৃগেন্দ্রনাথ মাইতি৷ কিন্তু, ২০১৯ সালের নির্বাচনে বিজেপি এই কেন্দ্রে অনেকটা এগিয়ে গিয়েছিল। এবার তাই মৃগেন্দ্রনাথ মাইতিকে আর টিকিট দেননি মমতা। তার জায়গায় তৃণমূল প্রার্থী করেছে অভিনেত্রী জুন মালিয়াকে। বিজেপির প্রার্থী সমিত কুমার দাস। তারকা দ্যুতিতে ২০১৯ সালের ব্যবধান মেটাতে পারে কিনা ঘাসফুল শিবির, সেটাই দেখার।
এই আসনেও লড়াইটা ত্রিমুখী। একদিকে আছেন গত দুইবারের বিজয়ী কংগ্রেস বিধায়ক নেপাল চন্দ্র মাহাতো। আর তাঁর বিরুদ্ধে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন তৃণমূলের সুশান্ত মাহাতো এবং বিজেপির জোটসঙ্গী অল ঝাড়খণ্ড স্টুডেন্ট্স ইউনিয়ন বা এজেএসইউ-এর আশুতোষ মাহাতো। ২০১৬ সালে, কংগ্রেস, তৃণমূল ও বিজেপি এই কেন্দ্রে ভোট পেয়েছিল যথাক্রমে ৪৭.১৬ শতাংশ, ৪২.৫৯ শতাংশ এবং ৫.৯৬ শতাংশ ভোট। গত লোকসভা নির্বাচনের ফলের নিরিখে কিন্তু, বাকি দুই পক্ষকে অনেকটাই পিছনে ফেলেছে বিজেপি। পুরুলিয়া লোকসভা আসনে জয়ী বিজেপির জ্যোতির্ময় মাহাতো ৫০ শতাংশেরও বেশি ভোট পেয়ে জিতেছিলেন, আর দ্বিতীয় স্থানে থাকা তৃণমূল কংগ্রেস পেয়েছিল মাত্র ২৪.১২ শতাংশ ভোট।
খড়গপুর বিধানসভা আসনটি মেদিনীপুর লোকসভা কেন্দ্রের অধীনে। যে লোকসভা কেন্দ্রের সাংসদ বঙ্গ বিজেপির সভাপতি দিলীপ ঘোষ। কিন্তু, এই বিধানসভা এলাকায় এগিয়ে ছিল তৃণমূল কংগ্রেসই। তাই এই বিধানসভা কেন্দ্রটি জেতা, তাঁর কাছে বিশেষ চ্যালেঞ্জের। এই কেন্দ্রে তৃণমূল প্রার্থী করেছে বিদায়ী বিধায়ক দীনেন রায়কেই। বিজেপির প্রার্থী তপন ভূঁইঞা। ২০১৬-র নির্বাচনে সিপিএম-এএর সাজাহান আলিকে পরাজিত করেছিলেন দীনেন রায়। এবার সংযুক্ত মোর্চার সমর্থনে সিপিএম-এর প্রার্থী সৈয়দ সাদ্দাম আলি।
এই আসনটি তফসিলি জাতির জন্য সংরক্ষিত আসন। গত দুবার এখানে তৃণমূলের টিকিটে জয়ী হয়েছিলেন রণজিৎ মণ্ডল। এবার তাঁকে সরিয়ে তৃণমূল প্রার্থী পার্থ প্রতিম দাসকে। অথচ ২০১৯সালের লোকসভা নির্বাচনের নিরিখেও এই কেন্দ্রে এগিয়ে ছিল তৃণমূলই। আসলে, এই বিধানসভা আসনটি পড়ে কাঁথি লোকসভা কেন্দ্রের অধীনে। যে কেন্দ্রের সাংসদ শিশির অধিকারী। বিধানসভা নির্বাচনের মাত্র কয়েকদিন আগেই তিনি বিজেপিতে যোগ দিয়েছেন। এই কারণেই বিদায়ী বিধায়ককে সরানো হয়েছে, এমনটাই অনুমান করা হয়। এখানে তৃণমূলের বিরুদ্ধে মোর্চা সমর্থিত সিপিএম প্রার্থী হিমাংশু দাস এবং বিজেপি প্রার্থী করেছে শান্তনু প্রামাণিককে। শিশির অধিকারীর শিবির বদলে এই কেন্দ্র গেরুয়া শিবিরের হাতে যায় কি না, ফোকাস সেখানেই।