COVID 19: করোনা লড়াইয়ে দেশে স্বস্তি দিচ্ছে R ভ্যালু, কিন্তু উদ্বেগ কলকাতাকে নিয়ে
- FB
- TW
- Linkdin
করোনাভাইরাস
করোনাভাইরাসের সংক্রমণের বিরুদ্ধে দীর্ঘ দেড় বছরেরও বেশি সময় ধরে লড়াই চালিয়ে যাচ্ছে ভারত। এখনও পর্যন্ত তিন কোটিরও বেশি মানুষ আক্রান্ত হয়েছে। ইতিমধ্যেই দেশ প্রথম ও দ্বিতীয় তরঙ্গে সাক্ষী থেকেছে।
নতুন রিপোর্ট
নতুন রিপোর্টে বলা হয়েছে. অগাস্টা মাসের প্রথম সপ্তাহে আর ভ্যালুর (R Factor)এর মান ১ এর নিচে ছিল। R এর মাধ্যমে বোঝা যায় করোনা মহামারি কত দ্রুত ছড়িয়ে পড়ছে।
গবেষকদের বক্তব্য
গবেষণায় নেতৃত্ব দিয়েছিলেন সিতবারা সিনহা। তিনি বলেন ভারতে R প্রায় ০.৯-তে নেমে এসেছে। R যদি ১এর তুলনায় কম হয় তাহলে বুঝতে হবে আগেস সময়ের সংক্রমিত মানুষের সংখ্যার চেয়ে কম। আর রোগের প্রকোপ কমছে।
কেরলে R ভ্য়ালু
কেরলে R ভ্যালু ছিল দেশের সবথেকে বেশি। দেশের সর্বোচ্চ সক্রিয় মামলা এই রাজ্যে বেশি। কিন্তু সাম মাস পরে এই রাজ্যেও মান ১এর নিচে নেমে গেছে। যা রাজ্যের ইনজেকশনের মাত্র কমিয়ে সাহায্য করবে।
উত্তর পূর্বের রাজ্যগুলি
উত্তর পূর্বের রাজ্যগুলি বর্তমানে করোনাভাইরাসের দ্বিতীয় তরঙ্গ থেকে বেরিয়ে এসেছে বলে মনে করা হচ্ছে। গবেষকদের সমীক্ষা রিপোর্ট অনুযায়ী ১৪-১৬ অগাস্টের মধ্যে এই রাজ্যগুলিতে R ভ্যালুর মান ০.৮৯ এর রয়েছে।
মহারাষ্ট্রের পরিস্থিতি
দেশের করোনা আক্রান্ত রাজ্যের তালিকায় শীর্ষে রয়েছে মহারাষ্ট্র। প্রথম ও দ্বিতীয় তরঙ্গে এই রাজ্য যথেষ্ট ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। সেখানেও R ভ্যালুর মান নিম্নগামী। R ভ্যালুর মান ০.৮৯।
উদ্বেগে হিমাচল প্রদেশ
গোটা দেশে R ভ্যালুর মান নিম্নগামী হলেও উদ্বেগ বাড়াচ্ছে হিমাচল প্রদেশ। সেখানে মান একএর উপরে রয়েছে। যদিও কিছুদিন ধরে তা কমছে। তামিল নাড়ুও R ভ্যালু একের কাছাকাছি রয়েছে।
প্রধান শহরগুলি
প্রধান শহরগুলির মধ্যে R ভ্যালুর মান- মুম্বই (০.০৭), দিল্লি (০.৮৫), বেঙ্গালুরু (০.৯৪), চেন্নাই (০.৯৭)। মার্চ মাসের সময় গোটা দেশেই সংক্রমণ দ্রুত ছড়িয়েছিল। সেই সময় প্রচুর মানুষ আক্রান্ত হয়েছিলেন। অনেকের মৃত্যু হয়েছিল।
কলকাতায় R ভ্যালু
করোনাভাইরাসের সংক্রমণ কলকাতায় তুলনামূলক ভাবে বেশি কবলেও জানিয়েছেন গবেষকরা। কলকাতায় R-এর মান গত ১১-১৫ অগাস্টের মধ্যে ছিল ১.০৪। প্রায় একই ছবি দেখা গেছে পুনেতে। সেখানে মান ১.০৫।
R-এর মানে
R-এর মাধ্যমে প্রজননের সংখ্যা বোঝায়। এক জন ব্যক্তি কতজনকে সংক্রমিত করছেন তা বুঝতে পারা যায়। R-এর মান বেশি হলে বোঝা যাবে সংক্রমণ দ্রুততার সঙ্গে ছড়াচ্ছে। আর কম থাকলে বোঝা যায় রোগের সংখ্যা কমছে। দ্বিতীয় তরঙ্গের পর এই প্রথম R-এর মান কমতে শুরু করেছে।