কোভিডে মৃত্যু থামেনি বাংলার ৭ জেলায়, শীর্ষে দুই ২৪ পরগণা
- FB
- TW
- Linkdin
কোভিডের দ্বিতীয় তরঙ্গের দাপট আগের থেকে কমলেও রাজ্যে মৃত্যুর সংখ্যা ফের বেড়েছে। এখনও মৃত্য়ু হচ্ছে বাংলার ৭ জেলায়। তবে আগের থেকে কমেছে এই সংখ্যাটা।
মৃত্যুর লিস্টে সেই ৭ জেলার শীর্ষে রয়েছে দুই ২৪ পরগণা। যদিও মৃত্য়ুর অভিশাপ মুক্ত এখনও হতে পারেনি হুগলি, ঝাড়গ্রাম, নদিয়া , দার্জিলিং, কালিংপং । মৃত্যু শূন্য কলকাতা ।
শুক্রবারের স্বাস্থ্য ভবনের বুলেটিন অনুযায়ী, পশ্চিমবঙ্গে একদিনে করোনা নিয়ে মৃত্যুর সংখ্যা ৯ জন। এর মধ্যে দুই ২৪ পরগণা ২ জনের মৃত্যু হয়েছে।
শুক্রবারের স্বাস্থ্য ভবনের বুলেটিন অনুযায়ী, হুগলি, ঝাড়গ্রাম, নদিয়া , দার্জিলিং, কালিংপং জেলায় ১ করে প্রাণ হারিয়েছেন। শহরে ভ্য়াকসিনের সংখ্য়া যত বাড়বে, ততোই আক্রান্তের সংখ্যা এবং মৃত্যুর সংখ্যা কমবে বলেই অনুমান বিশেষজ্ঞদের।
শুক্রবারের স্বাস্থ্য ভবনের বুলেটিন অনুযায়ী, কলকাতায় একদিনে আক্রান্তের সংখ্যা ৫৯ জন থেকে বেড়ে ৭১ জন। এবং এখানে মোট সংক্রমণের সংখ্যা ৩১০,৮৬৬ জন এবং মোট মৃতের সংখ্যা ৪৯৭৭ জন।
এবারও রাজ্যের সব জেলার থেকে অনেক বেশি সংখ্যক সংক্রমণ নিয়ে ফের শীর্ষে উত্তর ২৪ পরগণা। তবে একদিনে আক্রান্তের সংখ্যা ১০০ এর নীচে নেমেছে। স্বাস্থ্য ভবনের বুলেটিন অনুযায়ী, উত্তর ২৪ পরগণা একদিনে আক্রান্তের সংখ্যা ৮৬ জন। দার্জিলিং একদিনে আক্রান্তের সংখ্যা ৫৪ জন।
আগে একাধিকবার মৃত্যু শূন্য হয়েও ফের মৃত্য়ু কলকাতা এবং উত্তর ২৪ পরগণায়। বিশেষ করে সংক্রমণ নিয়ে একভাবে সবার উপরে থাকায় উত্তর ২৪ পরগণা নিয়ে আশঙ্কা বাড়ছে। চিন্তায় স্বাস্থ্য ভবন।
শুক্রবারের স্বাস্থ্য ভবনের করোনা বুলেটিন অনুযায়ী, একদিনে বাংলায় করোনা আক্রান্ত ৭১৭ জন । যা আগের থেকে অনেকটাই বেড়েছে। পশ্চিমবঙ্গে এই অবধি মোট অ্য়াক্টিভ আক্রান্তের সংখ্য়া ১০, ৬৪২ জন।
তবে এই মুহূর্তে কোভিড জয়ীর সংখ্যা বেড়েছে। নিঃশ্বাস নিচ্ছে হাসপাতাল গুলি। স্বাস্থ্য ভবনের করোনা বুলেটিন অনুযায়ী, পশ্চিমবঙ্গে একদিনে হাসপাতাল থেকে সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন ৭৮৭ জন। বাংলায় কোভিডজয়ীর সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৫, ০৩,৫৩৫জন।
শুক্রবারের স্বাস্থ্য ভবনের বুলেটিন অনুযায়ী ১৮ জানুয়ারী সুস্থতার হার পেরিয়ে ৯৭ শতাংশ হয়েছিল। তারপর দ্বিতীয় তরঙ্গে ফের পতন হয়। মার্চের পর থেকে। তবে এরপর অভিশপ্ত প্রায় ৭ মাস পেরিয়ে গিয়েছে। স্বাস্থ্য ভবনের বুলেটিন অনুযায়ী, রাজ্যে সুস্থতার হার একদিনে ৯৮.১২ শতাংশ।