- Home
- West Bengal
- কোভিডে মৃত্যু বেড়ে আশঙ্কা ৭ জেলায়, বয়ষ্কদের বাড়ি গিয়ে টিকার দেবার সিদ্ধান্ত নিল পুরসভা
কোভিডে মৃত্যু বেড়ে আশঙ্কা ৭ জেলায়, বয়ষ্কদের বাড়ি গিয়ে টিকার দেবার সিদ্ধান্ত নিল পুরসভা
- FB
- TW
- Linkdin
কোভিড ভ্য়াকসিনেশন নিয়ে বড় সিদ্ধান্ত কলকাতা পুরসভার। ৮০ বছরের থেকে বেশি বয়সী শয্যাশায়ী বৃদ্ধ এবং বৃদ্ধাদের টিকাকরণ করা হবে বাড়িতে গিয়ে। এমনটাই ঘোষণা করলেন পুর প্রশাসক ফিরহাদ হাকিম।
কোভিডের দ্বিতীয় তরঙ্গের দাপট আগের থেকে কমলেও রাজ্যে সংক্রমণ এবং মৃত্যুর সংখ্যা বারবার ওঠানামা করছে। এখনও মৃত্য়ু হচ্ছে বাংলার ৭ জেলায়। ফের আগের থেকে বেড়েছে সেই সংখ্যাটা।
সেই ৭ জেলার মৃত্যুর লিস্টে রয়েছে শীর্ষে উত্তর ২৪ পরগণা । যদিও মৃত্য়ুর অভিশাপ মুক্ত এখনও হতে পারেনি কলকাতা, দক্ষিণ ২৪ পরগণা, হুগলি,নদিয়া, দুই মেদিনীপুর। মৃত্যু শূন্য জলপাইগুড়ি, দার্জিলিং।
শনিবারের স্বাস্থ্য ভবনের বুলেটিন অনুযায়ী, পশ্চিমবঙ্গে একদিনে করোনা নিয়ে মৃত্যুর সংখ্যা ৮ জন। এর মধ্যে উত্তর ২৪ পরগণাতে ২ জনের মৃত্যু হয়েছে।
শনিবারের স্বাস্থ্য ভবনের বুলেটিন অনুযায়ী, কলকাতা সহ দক্ষিণ ২৪ পরগণা, হুগলি,নদিয়া, দুই মেদিনীপুর জেলায় ১ করে প্রাণ হারিয়েছেন। শহরে ভ্য়াকসিনের সংখ্য়া যত বাড়বে, ততোই আক্রান্তের সংখ্যা এবং মৃত্যুর সংখ্যা কমবে বলেই অনুমান বিশেষজ্ঞদের।
শনিবারের স্বাস্থ্য ভবনের বুলেটিন অনুযায়ী, কলকাতায় একদিনে আক্রান্তের সংখ্যা ৭৫ জন। এবং এখানে মোট সংক্রমণের সংখ্যা ৩১০, ৪৫৯ জন এবং মোট মৃতের সংখ্যা ৪৯৭৩ জন।
এদিকে চিন্তা বাড়িয়ে রাজ্যের সব জেলার থেকে অনেক বেশি সংখ্যক সংক্রমণ নিয়ে ফের শীর্ষে উত্তর ২৪ পরগণা। স্বাস্থ্য ভবনের বুলেটিন অনুযায়ী, উত্তর ২৪ পরগণা একদিনে আক্রান্তের সংখ্যা ৮৯ জন। দার্জিলিং একদিনে আক্রান্তের সংখ্যা ৬৫ জন।
শনিবারের স্বাস্থ্য ভবনের করোনা বুলেটিন অনুযায়ী, একদিনে বাংলায় করোনা আক্রান্ত ৭৬৯ জন । পশ্চিমবঙ্গে এই অবধি মোট অ্য়াক্টিভ আক্রান্তের সংখ্য়া ১১,১১৩ জন। যা আগের থেকে অনেকটাই কমেছে।
তবে এই মুহূর্তে কোভিড জয়ীর সংখ্যা বেড়েছে। নিঃশ্বাস নিচ্ছে হাসপাতাল গুলি। স্বাস্থ্য ভবনের করোনা বুলেটিন অনুযায়ী, পশ্চিমবঙ্গে একদিনে হাসপাতাল থেকে সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন ৮১৯ জন। বাংলায় কোভিডজয়ীর সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৪, ৯৮,৭৭০ জন।
শনিবারের স্বাস্থ্য ভবনের বুলেটিন অনুযায়ী ১৮ জানুয়ারী সুস্থতার হার পেরিয়ে ৯৭ শতাংশ হয়েছিল। তারপর ক্রমশ বাড়তে বাড়েতে সুস্থতার হার ৯৭.৮৮ শতাংশে পৌছে গিয়েও ফের পতন হয়। দ্বিতীয় তরঙ্গে ধ্বংস লীলা লাগে মার্চের পর থেকে। তবে সেই জানুয়ারীর অভিশপ্ত প্রায় ৮ মাস পেরিয়ে গিয়েছে। শনিবারের স্বাস্থ্য ভবনের বুলেটিন অনুযায়ী, রাজ্যে সুস্থতার হার একদিনে ৯৮.০৯ শতাংশ।
নবান্নে সূত্রে খবর, পশ্চিমবঙ্গে একইসঙ্গে ২১ লক্ষ ডোজ টিকা পাঠানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার। উল্লেখ্য, দিল্লি সফরে মোদীর সঙ্গে সাক্ষাতে মমতা বন্দ্য়োপাধ্যায় আবেদন জানিয়েছিলেন, পশ্চিমবঙ্গকে যেন জন সংখ্যার অনুপাতে টিকা দেওয়া হয়। আর সেই আবেদনে এবার সাড়া মিলেছে।