আজও বৃষ্টির পূর্বাভাস, জমা জলে আটকে চরম ভোগান্তি শহরবাসীর, দেখুন ছবি
- FB
- TW
- Linkdin
হাওয়া অফিস, রবিবার সাতসকালেই ফের বৃষ্টির পূর্বভাস দিয়েছে। হাওয়া অফিস আগেই জানিয়েছিল, নিম্নচাপ বাংলা থেকে ৩০০ কিলোমিটার দূরে সরে গিয়েছে। রবিবার হাওয়া অফিস জানিয়েছে, সুস্পষ্ট নিম্নচাপ সরে উত্তরপ্রদেশে অবস্থান করছে।
আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে, শনিবারই নিম্নচাপটি দেওঘরের কাছাকাছি ছিল। তাই দক্ষিণবঙ্গের জেলায় অতি ভারী বৃষ্টি আর হবে না। তবে কলকাতায় ফের ঝাপিয়ে বৃষ্টি হবে।
প্রবল বর্ষণ থেকে বাদ যাবে না উত্তরবঙ্গও। অতি ভারী বৃষ্টি রয়েছে উত্তরবঙ্গের একাধিক জেলায়।
আগামী ৪৮ ঘণ্টায় দার্জিলিং কালিম্পংয়ে অতি ভারী বৃষ্টির সর্তকতা।
আগামী ২৪ ঘণ্টায় দার্জিলিং, কালিম্পং, আলিপুরদুয়ার, কোচবিহার, জলপাইগুড়ি জেলায় ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস। সোমবার দার্জিলিং, কালিম্পং দু-এক পশলা প্রবল বৃষ্টির সম্ভাবনা। বাকি তিন জেলার চেয়েও ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস।
মঙ্গলবার থেকে বৃষ্টি কমবে উত্তরবঙ্গে। বৃষ্টিতে ধ্বস নামতে পারে উত্তরবঙ্গের পার্বত্য এলাকায়। বাড়বে নদীর জল স্তর।
দক্ষিণবঙ্গে বৃষ্টি বাড়বে মঙ্গলবার থেকে। আদ্রতা জনিত অস্বস্তি, দক্ষিণবঙ্গে বাড়বে তাপমাত্রা। যার জেরে ভোগান্তির মুখে পড়তে পারে জেলার সাধারণ মানুষ।
মঙ্গলবার থেকে বাড়বে বৃষ্টি। বুধবার উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনা পূর্ব ও পশ্চিম মেদিনীপুর এবং হাওড়া জেলায় বৃষ্টির পূর্বাভাস। সুস্পষ্ট নিম্নচাপের জেরে বেশকিছু নদী প্লাবিত। নতুন করে ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস এ আশঙ্কা বাড়ছে হাওড়া পশ্চিম মেদিনীপুর সহ বিভিন্ন জেলায়।
টানা বৃষ্টিতে শহর কলকাতায় বিস্তীর্ণ অঞ্চল জুড়ে জল জমেছে। কোথাও কোথাও জল কোমর অবদি পৌঁছে গিয়েছে। জল ঢুকেছে ঘরে ভিতরেও। বাধ্য হয়ে অনেকে আশ্রয় নিয়েছেন ছাদে।
মিলেনিয়াম পার্ক এবং জাজেস ঘাটের লক গেট পরিদর্শন করে কলকাতা পুরসভার মেয়র পারিষদ তারক সিং জানিয়েছেন, ইতিমধ্যে যে সমস্ত জায়গায় জল জমেছে তা পাম্পের সাহায্যে বার করে দেওয়া হচ্ছে।
মূলত এদিকে একটানা বৃষ্টি জেরে কলকাতা সহ দক্ষিণবঙ্গে ফিরছে জুন মাসের স্মৃতি। ভারী বৃষ্টির জেরে জল দাঁড়িয়ে যাচ্ছে জমিতে। চাষ-আবাদ সহ একাধিক ইস্যুতে অর্থনৈতিক ক্ষতির সম্মুখীন সাধারণ মানুষ। ব্যাপক ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছে ভাঙড়ের সবজি চাষীরা।
তবে ছুটির দিনে ছাতা নিয়ে বেরোতে কার ভাল লাগে। উপায় নেই, রবিবার সারাদিনই কমবেশি বৃষ্টি পূর্বাভাস শহরে। মেঘ ও বাতাসে জলীয়বাস্পের কারণে বেলা বাড়লে গরমও অনুভূত হচ্ছে।
পাশাপাশি যাতায়াত ব্যবস্থাতেও চরম ভুক্তভুগী রাজ্যের একাধিক এলাকা। জলের তলায় ডুবে গিয়েছে রেলওয়ে ট্রাক। কোথায় জলের নিচে রাস্তা, পানীয় জলের কল, কোথাও আবার ঘরে মধ্যেই ঢুকেছে ভরা বর্ষার জল।তারই সঙ্গে ডেঙ্গুর আতঙ্কও ঘুরছে শহরজুড়েই।
হাওয়া অফিস জানিয়েছে, রবিবার শহরের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৩১.০ ডিগ্রি সেলসিয়ার্স। স্বাভাবিকের থেকে ১ ডিগ্রি নীচে। সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ২৭.১ ডিগ্রী। স্বাভাবিকের থেকে ১ ডিগ্রি উপরে।
এদিকে আদ্রতা বেড়েও অস্বস্তি অনুভব হচ্ছে। অপরদিকে শহরের বাতাসে জলীয়বাষ্পের সর্বোচ্চ পরিমাণ ৯৭ শতাংশ। সর্বনিম্ন ৭৯ শতাংশ বলে জানিয়েছে হাওয়া অফিস।