রাজ্যে ২১ লক্ষ ভ্যাকসিন পাঠাচ্ছে কেন্দ্র, একদিনের সংক্রমণে ১০০ ছাড়াল উত্তর ২৪ পরগণা
- FB
- TW
- Linkdin
নবান্নে সূত্রে খবর, পশ্চিমবঙ্গে একইসঙ্গে ২১ লক্ষ ডোজ টিকা পাঠানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার। উল্লেখ্য, দিল্লি সফরে মোদীর সঙ্গে সাক্ষাতে মমতা বন্দ্য়োপাধ্যায় আবেদন জানিয়েছিলেন, পশ্চিমবঙ্গকে যেন জন সংখ্যার অনুপাতে টিকা দেওয়া হয়। আর সেই আবেদনে এবার সাড়া মিলেছে।
কোভিডের দ্বিতীয় তরঙ্গের দাপট আগের থেকে কমলেও রাজ্যে সংক্রমণ এবং মৃত্যুর সংখ্যা বারবার ওঠানামা করছে। এখনও মৃত্য়ু হচ্ছে বাংলার ৮ জেলা থেকে বেড়ে ১০ জেলায়।
সেই ১০ জেলার মৃত্যুর লিস্টে রয়েছে শীর্ষে দার্জিলিং। দ্বিতীয় কোচবিহার। যদিও মৃত্য়ুর অভিশাপ মুক্ত এখনও হতে পারেনি জলপাইগুড়ি, দক্ষিণ দিনাজপুর, নদিয়া, পশ্চিম মেদিনীপুর, পূর্ব বর্ধমান, হুগলি, দুই ২৪ পরগণা।
বুধবারের স্বাস্থ্য ভবনের বুলেটিন অনুযায়ী, পশ্চিমবঙ্গে একদিনে করোনা নিয়ে মৃত্যুর সংখ্যা ১৪ জন। এর মধ্যে দার্জিলিংয়ে ৪ জনের মৃত্যু হয়েছে।
বুধবারের স্বাস্থ্য ভবনের বুলেটিন অনুযায়ী, ২ জনের মৃত্যু কোচবিহারে। জলপাইগুড়ি, দক্ষিণ দিনাজপুর, নদিয়া, পশ্চিম মেদিনীপুর, পূর্ব বর্ধমান, হুগলি, দুই ২৪ পরগণা জেলায় ১ করে প্রাণ হারিয়েছেন।
বুধবারের স্বাস্থ্য ভবনের বুলেটিন অনুযায়ী, কলকাতায় একদিনে আক্রান্তের সংখ্যা ৮১ জন। এবং এখানে মোট সংক্রমণের সংখ্যা ৩১০, ২৪৬ জন এবং মোট মৃতের সংখ্যা ৪৯৬৮ জন।
এদিকে চিন্তা বাড়িয়ে রাজ্যের সব জেলার থেকে অনেক বেশি সংখ্যক সংক্রমণ নিয়ে ফের শীর্ষে উত্তর ২৪ পরগণা। স্বাস্থ্য ভবনের বুলেটিন অনুযায়ী, উত্তর ২৪ পরগণা একদিনে আক্রান্তের সংখ্যা ১১৪ জন। দার্জিলিং একদিনে আক্রান্তের সংখ্যা ৬২ জন।
বুধবারের স্বাস্থ্য ভবনের করোনা বুলেটিন অনুযায়ী, একদিনে বাংলায় করোনা আক্রান্ত ৮১৫ জন । পশ্চিমবঙ্গে এই অবধি মোট অ্য়াক্টিভ আক্রান্তের সংখ্য়া ১১,৩৭০ জন।
তবে এই মুহূর্তে কোভিড জয়ীর সংখ্যা বেড়েছে। নিঃশ্বাস নিচ্ছে হাসপাতাল গুলি। স্বাস্থ্য ভবনের করোনা বুলেটিন অনুযায়ী, পশ্চিমবঙ্গে একদিনে হাসপাতাল থেকে সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন ৮১১ জন। বাংলায় কোভিডজয়ীর সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৪, ৯৬,২৯৪ জন।
স্বাস্থ্য ভবনের বুলেটিন অনুযায়ী ১৮ জানুয়ারী সুস্থতার হার পেরিয়ে ৯৭ শতাংশ হয়েছিল। তারপর ক্রমশ বাড়তে বাড়েতে সুস্থতার হার ৯৭.৮৮ শতাংশে পৌছে গিয়েও ফের পতন হয়।
দ্বিতীয় তরঙ্গে ধ্বংস লীলা লাগে মার্চের পর থেকে। তবে সেই জানুয়ারীর অভিশপ্ত প্রায় ৭ মাস পেরোনোর পর, বুধবারের স্বাস্থ্য ভবনের বুলেটিন অনুযায়ী, রাজ্যে সুস্থতার হার একদিনে ৯৮.০৭ শতাংশ।